নিউইয়র্ক ০৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমদানির তিন গুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে খেজুর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : দেশের বাজারে যেসব খেজুর মেলে সবটাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয় ব্যবসায়ীদের। আর এসব আমদানি করা খেজুরই সারা বছর মানুষের চাহিদা মেটায়। মানুষ সবচেয়ে বেশি খেজুর খেয়ে থাকে রমজান মাসে। ইফতারির এই পণ্যটি কত টাকা দিয়ে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা এমন কৌতূহল ভোক্তাদের।

উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, দেশে আসা খেজুরের গড় আমদানিমূল্য ও শুল্ককর মিলিয়ে সাড়ে তিন শ টাকার বেশি নয়। তবে আমদানি মূল্যের খেজুর বাজারের কোথাও দেখা মিলছে না। প্রায় তিন থেকে চার গুণ দামে মিলছে এসব আমদানি করা খেজুর। এ ছাড়া সরকার খেজুরের শুল্ককর কমানোর পরও দাম কমছে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের আমদানি তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খেজুর আমদানি হয়েছে এক কোটি ৭৯ হাজার ৯৩০ কেজি। এসব খেজুরের আমদানিমূল্য দেখানো হয় ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আমদানিমূল্যের বিপরীতে ব্যবসায়ীরা শুল্ককর পরিশোধ করেছেন ১০২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আমদানিমূল্য ও শুল্ককর মিলে ৩২৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ যোগ করে প্রতি কেজি খেজুরের গড় দাম পড়ে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা।

এ ছাড়া এবার দেশে গত বছরের তুলনায় ৫৯ শতাংশ কম খেজুর আমদানি হয়েছে। একই সময়ে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খেজুর আমদানি হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৩০ কেজি। কাস্টমস শুল্ককর পেয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। শুল্ক কম পেলেও আমদানি মূল্য ছিল ২৬৬ কোটি সাত লাখ টাকা। গত বছর খেজুরের গড় দাম পড়ছিল ১০৯ টাকা। তখন প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একাধিক খেজুর বিক্রেতাকে জরিমানা করেছিল।

এদিকে গত বুধবার চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমুণ্ডি ও খুচরা বাজারে ঘুরে কোথাও সাড়ে তিন শ টাকা দামের খেজুর পাওয়া যায়নি। এখন বাজারে মেজদুল খেজুর (ভিআইপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা; অথচ এক বছর আগে ৫০০ টাকা কমে ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন বিক্রেতারা। মেজদুল (সাধারণ) বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৪০ টাকায়। সেটিরও ২৪০ টাকা বেড়েছে। আগে ছিল ৯৬০ টাকা।

মাশরুক (ভিআইপি) কেজি এক হাজার ৪৪০ টাকা। বছর আগে ছিল এক হাজার টাকা। বেড়েছে ৪৪০ টাকা। মরিয়ম খেজুরের কেজি এখন ৮৬০ টাকা। দাম বেড়েছে ৩২০ টাকা। গত বছর ছিল ৫৪০ টাকা। আজোয়া খেজুর ২০২৩ সালে ছিল কেজি ৬৪০ টাকা। এখন ৮৪০ টাকা। বেড়েছে ২০০ টাকা। সুগাইয়ের কেজি ৫০০ টাকা। সেটির দাম বেড়েছে ১৪০ টাকা। আগে ছিল ৩৬০ টাকা। আর মাব্রুম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৪৯ টাকা। আগে ছিল ৫০০ টাকা। বেড়েছে ১৪০ টাকা।

সাত ধরনের খেজুরের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখন গড়ে প্রতি কেজি খেজুরের দাম পড়ছে ৯৭৫ টাকা। কিন্তু কাস্টমসের প্রদর্শিত আমদানিমূল্য ও শুল্ক এবং পরিবহন-শ্রমিক খরচ যোগ করে প্রতি কেজি খেজুরের গড় মূল্য দাঁড়ায় ৩৫০ টাকা। বাড়তি নিচ্ছেন প্রতি কেজিতে ৬২৫ টাকা। তবে একেক খেজুরে ব্যবসায়ীরা একেক রকম মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।

খেজুরের ক্রেতা মো. মহসিন বলেন, এখন তো নিম্নমানের খেজুরের দাম সাড়ে ৪০০ টাকার ওপরে। ভালোমানের খেজুরের দাম জিজ্ঞেস করতে ভয় করে। এত দাম! চট্টগ্রামের ফলমুণ্ডির ব্যবসায়ী কাউছার আহমেদ সুজন বলেন, বাড়তি আমদানি শুল্কের কারণে অনেক আমদানিকারক খেজুর আমদানি করেননি। আর এখন খেজুরের সংকট রয়েছে। তাই দামও বাড়ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে বস্তায় আসা প্রতি কেজি জায়েদি খেজুরের জন্য শুল্ক দিতে হতো ১০ টাকা। ডিসেম্বরে বেড়েছে ৬২ টাকা। এ ছাড়া কার্টনে করে আসা জায়েদি খেজুরের জন্য অক্টোবরে শুল্ককর দিতে হয়েছে ১১০ টাকা। ডিসেম্বরে ১৭০ টাকা বেশি শুল্ক দিতে হয়েছে। এভাবে সব জাতের খেজুরে আমদানি শুল্ক বেড়েছে। ফলে আমদানি করা খেজুরের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর শুল্ককর বেশি হওয়ায় এবার খেজুর আমদানিও কমেছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।

তবে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। এখন সাধারণ মানের খেজুর আমদানিতে শুল্ককর কমেছে কেজিতে ৩৩ টাকা। কিন্তু শুল্ককর কমানোর পর এখন পর্যন্ত সাধারণ মানের খেজুরের কোনো চালান দেশে আসেনি।

ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, রমজানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। অতীতে যে শুল্ক ধরা হতো, তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে যে শুল্ক, তা বাজারমূল্য থেকে অনেক বেশি। তাই চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা হয়নি। তিনি বলেন, খেজুরে যেভাবে ডিউটি কমানোর কথা, সেভাবে তো কমেইনি, বরং আমদানির চেয়ে তিন গুণ শুল্ক ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে খেজুরের দাম এ বছর মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ ডলার কমেছে। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার এই পণ্যে কয়েক গুণ শুল্ক দিয়ে দাম বাড়িয়েছে।

ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, আসন্ন রমজানে সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে খেজুর আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যে দামে খেজুর আমদানি করেন, তার দ্বিগুণ দামেও দেশে খেজুর মেলে না। এর কারণগুলো প্রশাসনকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিলে খেজুরের দাম ভোক্তার নাগালে আসবে। ব্যবসায়ীরা গত রমজানে ১০৫ টাকায় কেনা খেজুর বিক্রি করেছেন ৪০০-৫০০ টাকায়। এবারও তাঁরা তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে খেজুর বিক্রি করছেন। দ্রুত বাজার তদারকির দাবি জানাচ্ছি।

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টন। সাধারণত ইরাক, সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া ও জর্দান থেকে প্রায় ৩০ প্রজাতির খেজুর দেশে আসে। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমদানির তিন গুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে খেজুর

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : দেশের বাজারে যেসব খেজুর মেলে সবটাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয় ব্যবসায়ীদের। আর এসব আমদানি করা খেজুরই সারা বছর মানুষের চাহিদা মেটায়। মানুষ সবচেয়ে বেশি খেজুর খেয়ে থাকে রমজান মাসে। ইফতারির এই পণ্যটি কত টাকা দিয়ে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা এমন কৌতূহল ভোক্তাদের।

উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, দেশে আসা খেজুরের গড় আমদানিমূল্য ও শুল্ককর মিলিয়ে সাড়ে তিন শ টাকার বেশি নয়। তবে আমদানি মূল্যের খেজুর বাজারের কোথাও দেখা মিলছে না। প্রায় তিন থেকে চার গুণ দামে মিলছে এসব আমদানি করা খেজুর। এ ছাড়া সরকার খেজুরের শুল্ককর কমানোর পরও দাম কমছে না।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের আমদানি তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খেজুর আমদানি হয়েছে এক কোটি ৭৯ হাজার ৯৩০ কেজি। এসব খেজুরের আমদানিমূল্য দেখানো হয় ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আমদানিমূল্যের বিপরীতে ব্যবসায়ীরা শুল্ককর পরিশোধ করেছেন ১০২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আমদানিমূল্য ও শুল্ককর মিলে ৩২৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ যোগ করে প্রতি কেজি খেজুরের গড় দাম পড়ে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা।

এ ছাড়া এবার দেশে গত বছরের তুলনায় ৫৯ শতাংশ কম খেজুর আমদানি হয়েছে। একই সময়ে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে খেজুর আমদানি হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৩০ কেজি। কাস্টমস শুল্ককর পেয়েছিল ১৪ লাখ টাকা। শুল্ক কম পেলেও আমদানি মূল্য ছিল ২৬৬ কোটি সাত লাখ টাকা। গত বছর খেজুরের গড় দাম পড়ছিল ১০৯ টাকা। তখন প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একাধিক খেজুর বিক্রেতাকে জরিমানা করেছিল।

এদিকে গত বুধবার চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমুণ্ডি ও খুচরা বাজারে ঘুরে কোথাও সাড়ে তিন শ টাকা দামের খেজুর পাওয়া যায়নি। এখন বাজারে মেজদুল খেজুর (ভিআইপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা; অথচ এক বছর আগে ৫০০ টাকা কমে ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন বিক্রেতারা। মেজদুল (সাধারণ) বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৪০ টাকায়। সেটিরও ২৪০ টাকা বেড়েছে। আগে ছিল ৯৬০ টাকা।

মাশরুক (ভিআইপি) কেজি এক হাজার ৪৪০ টাকা। বছর আগে ছিল এক হাজার টাকা। বেড়েছে ৪৪০ টাকা। মরিয়ম খেজুরের কেজি এখন ৮৬০ টাকা। দাম বেড়েছে ৩২০ টাকা। গত বছর ছিল ৫৪০ টাকা। আজোয়া খেজুর ২০২৩ সালে ছিল কেজি ৬৪০ টাকা। এখন ৮৪০ টাকা। বেড়েছে ২০০ টাকা। সুগাইয়ের কেজি ৫০০ টাকা। সেটির দাম বেড়েছে ১৪০ টাকা। আগে ছিল ৩৬০ টাকা। আর মাব্রুম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৪৯ টাকা। আগে ছিল ৫০০ টাকা। বেড়েছে ১৪০ টাকা।

সাত ধরনের খেজুরের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখন গড়ে প্রতি কেজি খেজুরের দাম পড়ছে ৯৭৫ টাকা। কিন্তু কাস্টমসের প্রদর্শিত আমদানিমূল্য ও শুল্ক এবং পরিবহন-শ্রমিক খরচ যোগ করে প্রতি কেজি খেজুরের গড় মূল্য দাঁড়ায় ৩৫০ টাকা। বাড়তি নিচ্ছেন প্রতি কেজিতে ৬২৫ টাকা। তবে একেক খেজুরে ব্যবসায়ীরা একেক রকম মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।

খেজুরের ক্রেতা মো. মহসিন বলেন, এখন তো নিম্নমানের খেজুরের দাম সাড়ে ৪০০ টাকার ওপরে। ভালোমানের খেজুরের দাম জিজ্ঞেস করতে ভয় করে। এত দাম! চট্টগ্রামের ফলমুণ্ডির ব্যবসায়ী কাউছার আহমেদ সুজন বলেন, বাড়তি আমদানি শুল্কের কারণে অনেক আমদানিকারক খেজুর আমদানি করেননি। আর এখন খেজুরের সংকট রয়েছে। তাই দামও বাড়ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে বস্তায় আসা প্রতি কেজি জায়েদি খেজুরের জন্য শুল্ক দিতে হতো ১০ টাকা। ডিসেম্বরে বেড়েছে ৬২ টাকা। এ ছাড়া কার্টনে করে আসা জায়েদি খেজুরের জন্য অক্টোবরে শুল্ককর দিতে হয়েছে ১১০ টাকা। ডিসেম্বরে ১৭০ টাকা বেশি শুল্ক দিতে হয়েছে। এভাবে সব জাতের খেজুরে আমদানি শুল্ক বেড়েছে। ফলে আমদানি করা খেজুরের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর শুল্ককর বেশি হওয়ায় এবার খেজুর আমদানিও কমেছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।

তবে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। এখন সাধারণ মানের খেজুর আমদানিতে শুল্ককর কমেছে কেজিতে ৩৩ টাকা। কিন্তু শুল্ককর কমানোর পর এখন পর্যন্ত সাধারণ মানের খেজুরের কোনো চালান দেশে আসেনি।

ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, রমজানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। অতীতে যে শুল্ক ধরা হতো, তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে যে শুল্ক, তা বাজারমূল্য থেকে অনেক বেশি। তাই চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা হয়নি। তিনি বলেন, খেজুরে যেভাবে ডিউটি কমানোর কথা, সেভাবে তো কমেইনি, বরং আমদানির চেয়ে তিন গুণ শুল্ক ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে খেজুরের দাম এ বছর মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ ডলার কমেছে। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার এই পণ্যে কয়েক গুণ শুল্ক দিয়ে দাম বাড়িয়েছে।

ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, আসন্ন রমজানে সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে খেজুর আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যে দামে খেজুর আমদানি করেন, তার দ্বিগুণ দামেও দেশে খেজুর মেলে না। এর কারণগুলো প্রশাসনকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিলে খেজুরের দাম ভোক্তার নাগালে আসবে। ব্যবসায়ীরা গত রমজানে ১০৫ টাকায় কেনা খেজুর বিক্রি করেছেন ৪০০-৫০০ টাকায়। এবারও তাঁরা তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে খেজুর বিক্রি করছেন। দ্রুত বাজার তদারকির দাবি জানাচ্ছি।

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টন। সাধারণত ইরাক, সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া ও জর্দান থেকে প্রায় ৩০ প্রজাতির খেজুর দেশে আসে। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন