নিউইয়র্ক ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী: বাইডেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০ বার পঠিত

রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না, নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী।’ যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফোর্বস এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন পুতিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। জালিয়াতি, চরমপন্থীদের সমর্থন দেওয়াসহ একাধিক মামলায় ২০ বছরেরও বেশি সাজা ভোগ করছিলেন তিনি। নাভালনির মৃত্যু নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘নাভালনির সঙ্গে যা ঘটেছে তা পুতিনের বর্বরতার প্রমাণ। নিজের লোকদের ওপরই ভয়ানক অপরাধ ঘটাচ্ছেন পুতিন।’

প্রতিবেদনে নাভালনির মৃত্যুর যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘(নাভালনির সঙ্গে) ঠিক কী ঘটেছে তা জানি না। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পুতিন ও তাঁর কিছু গুন্ডার বর্বরতার কারণেই নাভালনির মৃত্যু হয়েছে।’ এ সময় নাভালনিকে ‘সাহসী ও নীতিবান’ হিসেবে আখ্যা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আইনের শাসন রয়েছে এমন এক রাশিয়া গড়ে তোলার জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন নাভালনি।

মৃত্যুকালে নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল, ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া।’ রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।

নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচিত করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।

২০১৪ সালে দায়ের করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রুশ এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী: বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দোষারোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না, নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী।’ যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফোর্বস এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন পুতিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। জালিয়াতি, চরমপন্থীদের সমর্থন দেওয়াসহ একাধিক মামলায় ২০ বছরেরও বেশি সাজা ভোগ করছিলেন তিনি। নাভালনির মৃত্যু নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘নাভালনির সঙ্গে যা ঘটেছে তা পুতিনের বর্বরতার প্রমাণ। নিজের লোকদের ওপরই ভয়ানক অপরাধ ঘটাচ্ছেন পুতিন।’

প্রতিবেদনে নাভালনির মৃত্যুর যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘(নাভালনির সঙ্গে) ঠিক কী ঘটেছে তা জানি না। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পুতিন ও তাঁর কিছু গুন্ডার বর্বরতার কারণেই নাভালনির মৃত্যু হয়েছে।’ এ সময় নাভালনিকে ‘সাহসী ও নীতিবান’ হিসেবে আখ্যা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আইনের শাসন রয়েছে এমন এক রাশিয়া গড়ে তোলার জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন নাভালনি।

মৃত্যুকালে নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল, ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া।’ রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।

নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচিত করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।

২০১৪ সালে দায়ের করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রুশ এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা।