যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন ‘নিশ্চিত’ করে ইতিহাস গড়লেন হিলারি ক্লিনটন
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০১৬
- / ৯০৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রধান দলের মনোনয়ন ‘নিশ্চিত’ করে ইতিহাস গড়লেন হিলারি ক্লিনটন। এ ঘটনাকে নারীদের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। আর এ অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে হিলারি বলেছেন, ‘আমরা একটি মাইলফলক ছুঁয়েছি।’ বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক পার্টির উচ্ছ্বসিত নারী সমর্থকদের উদ্দেশে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন নারী একটি প্রধান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাবেন।’
গত মঙ্গলবার (৭ জুন) অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারি নির্বাচনে ছয়টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ ক্যালিফোর্নিয়া, নিউজার্সিসহ মোট চারটি অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন ২ হাজার ৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন। অবশ্য এ ‘মহা মঙ্গলবারের’ নির্বাচনের আগেই তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হন তিনি।
নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে তাঁর নির্বাচনী সদর দপ্তরে এক ভাষণে হিলারি এই ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য নারী অধিকার আন্দোলনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই বিজয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব যাতে কারও কাছে হারিয়ে না যায়, সে লক্ষ্যে হিলারি মঙ্গলবার তাঁর টুইটারবার্তায় ‘ইতিহাস নির্মিত হলো’ এই নতুন শ্লোগান যুক্ত করেছেন। ব্রুকলীনের ভাষণেও তিনি বারবার সে কথায় ফিরে যান। দেশের সব নারীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা বড় ধরনের স্বপ্ন দেখা থামাবেন না, আপনারা চাইলে সবকিছু, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হতে পারেন।
এদিকে হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এখনো লড়াই থেকে সরে দাঁড়াননি। বাছাইপর্বের নির্বাচনের শেষ দিনটি পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করলেও হিলারির সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বার্নি স্যান্ডার্সের ‘রাজনৈতিক বিপ্লবের’ ফলে যে লাখ লাখ তরুণ তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের নিজের পক্ষে টানা। জনমত জরিপে দেখা গেছে, তিরিশ অনূর্ধ্ব এমন স্যান্ডার্স সমর্থকদের এক-চতুর্থাংশ হিলারিকে কোনো অবস্থাতেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁর বিজয় ভাষণে হিলারি সে কথা মাথায় রেখেই স্যান্ডার্স ও তাঁর সমর্থকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়গুলো বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন। এসবের মধ্যে ছিল উচ্চহারের ন্যূনতম বেতন, সম্পদের অধিক ন্যায়সম্মত বণ্টন, ওয়ালস্ট্রিটের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস ও পরিবেশের ভারসাম্য। তিনি সাহসিকতাপূর্ণ নির্বাচনী অভিযান পরিচালনার জন্য স্যান্ডার্সকে বিশেষভাবে অভিনন্দিত করেন। ২০০৮ সালে ওবামার হাতে নিজের পরাজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, বিজয়ের এত কাছে আসার পর হার স্বীকার করার বেদনা তাঁর জানা আছে। (প্রথম আলো)