নিউইয়র্ক ১২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আরো তীব্র হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে জার্মানি সফরে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলেনস্কি। তিনি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সেও যোগ দেবেন। সেখানে ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানরা যোগ দেবেন। প্রচুর সামরিক বিশেষজ্ঞও থাকবেন।

জেলেনস্কির কাছে এ সময়টা রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার হাতে গোলাগুলির সংখ্যা কমে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলি উৎপাদন বাড়িয়েছে, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তা ইউক্রেনের হাতে পৌঁছবে না। রাশিয়াও আক্রমণ আরো তীব্র করতে পারে। ইউক্রেনের সেনাকে এখন হিসাব করে গোলাগুলি খরচ করতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে মিউনিখে আলোচনা হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও যোগ দেবেন।

এদিকে,যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে জো বাইডেনের ডেমক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে ইউক্রেনকে ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে তা পাস হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, সেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোলাগুলি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন বিপাকে পড়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে যদি পাঁচটা গোলা থাকে তো, ইউক্রেনের হাতে একটি গোলা আছে। সামরিক বিশ্লেষক মার্কাস রেইসনার ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ক্রমশ বিপজ্জনক হচ্ছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘অন্তত ১৫টি জায়গায় রাশিয়ার সেনা এগোচ্ছে। কয়েক সপ্তাহে কিছু জয়গায় তারা ছয় কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে এনেছে। কিছু জায়গায় দেড় কিলোমিটার এলাকা তারা অধিকার করেছে।’ ‘তিনি বলেছেন, ‘এর প্রধান কারণ, ইউক্রেনের হাতে এখন গোলাগুলি খুবই কমে গেছে। তার সুয়োগ নিয়ে রাশিয়ার কামান এখন সুবিধাজনক জায়গায় পৌচ্ছে যাচ্ছে।’

রেইসনার বলেছেন, ‘এই বছর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছাবে। ইউরোপ ও ৫০টি দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’ ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে গিয়ে প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। তিনি বাইডেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। সুরক্ষা বিশষজ্ঞ গুস্তাভ গ্রিসেল বলেছেন, ‘২০২৪ হলো ইউক্রেনের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। তাদের এবার পুরোদস্তুর আগ্রাসনের মুখে পড়তে হবে।’ সূত্র : ডিডাব্লিউ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থা

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আরো তীব্র হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে জার্মানি সফরে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলেনস্কি। তিনি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সেও যোগ দেবেন। সেখানে ৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানরা যোগ দেবেন। প্রচুর সামরিক বিশেষজ্ঞও থাকবেন।

জেলেনস্কির কাছে এ সময়টা রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার হাতে গোলাগুলির সংখ্যা কমে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলি উৎপাদন বাড়িয়েছে, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তা ইউক্রেনের হাতে পৌঁছবে না। রাশিয়াও আক্রমণ আরো তীব্র করতে পারে। ইউক্রেনের সেনাকে এখন হিসাব করে গোলাগুলি খরচ করতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে মিউনিখে আলোচনা হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও যোগ দেবেন।

এদিকে,যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে জো বাইডেনের ডেমক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে ইউক্রেনকে ছয় হাজার কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে তা পাস হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, সেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোলাগুলি আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন বিপাকে পড়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে যদি পাঁচটা গোলা থাকে তো, ইউক্রেনের হাতে একটি গোলা আছে। সামরিক বিশ্লেষক মার্কাস রেইসনার ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ক্রমশ বিপজ্জনক হচ্ছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘অন্তত ১৫টি জায়গায় রাশিয়ার সেনা এগোচ্ছে। কয়েক সপ্তাহে কিছু জয়গায় তারা ছয় কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে এনেছে। কিছু জায়গায় দেড় কিলোমিটার এলাকা তারা অধিকার করেছে।’ ‘তিনি বলেছেন, ‘এর প্রধান কারণ, ইউক্রেনের হাতে এখন গোলাগুলি খুবই কমে গেছে। তার সুয়োগ নিয়ে রাশিয়ার কামান এখন সুবিধাজনক জায়গায় পৌচ্ছে যাচ্ছে।’

রেইসনার বলেছেন, ‘এই বছর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছাবে। ইউরোপ ও ৫০টি দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’ ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে গিয়ে প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। তিনি বাইডেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। সুরক্ষা বিশষজ্ঞ গুস্তাভ গ্রিসেল বলেছেন, ‘২০২৪ হলো ইউক্রেনের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। তাদের এবার পুরোদস্তুর আগ্রাসনের মুখে পড়তে হবে।’ সূত্র : ডিডাব্লিউ।