নিউইয়র্ক ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে ৮ বছরে আত্মহত্যা ১৮৭, খুন ৮৯ কয়েদির

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭২ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কারাগারসমূহে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে ১৮৭ জন কয়েদি আত্মহত্যা এবং খুন হয়েছেন ৮৯ জন। দুর্ঘটনায় মারা গেছেন আরো ৫৬ জন। অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১২ কয়েদির। দেশটির বিচার বিভাগীয় মহাপরিদর্শক মাইকেল হরোউইটজ ১৫ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য ইউএস সিনেটকে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনের (বিওপি) অধীনে সারা আমেরিকায় শতাধিক কারাগারে বন্দির সংখ্যা হচ্ছে ১৫৫০০০। এর বাইরে স্টেট প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কারাগারের সংখ্যা হচ্ছে ৪৬৮২টি। ইমিগ্রেশন-ডিটেনশন সেন্টারের সংখ্যা ১৮১। আরো রয়েছে, কিশোর-কিশোরী সংশোধনাগার-১৩২৩টি। তবে সিনেটে শুনানির জন্যে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন কারাগারসমূহকে বেছে নেয়া হয়েছে।

কারণ, এগুলো সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এতদসত্বেও কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটছে-এটাই প্রশ্ন জনপ্রতিনিধিগণের। এছাড়া- বন্দিশালায় প্রতিনিয়ত প্রতিটি কারাকক্ষ পরিদর্শন করার কথা। তাহলে আত্মহত্যার সুযোগ হয় কীভাবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে। ইউএস সিনেটে জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান ডিক ডারবিন (ইলিনয়-ডেমক্র্যাট) বলেছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে শুনানি। হত্যা এবং আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব ছিল যদি সংশ্লিষ্টরা যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করতেন। কারাগারে বন্দিরা কীভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন-সেটিও খতিয়ে দেখতে চাই। দায়ীদের চিহ্নিত এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আর এমন দাবি অনেক পুরনো। সূত্র : নিউজজোন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে ৮ বছরে আত্মহত্যা ১৮৭, খুন ৮৯ কয়েদির

প্রকাশের সময় : ১১:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কারাগারসমূহে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে ১৮৭ জন কয়েদি আত্মহত্যা এবং খুন হয়েছেন ৮৯ জন। দুর্ঘটনায় মারা গেছেন আরো ৫৬ জন। অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১২ কয়েদির। দেশটির বিচার বিভাগীয় মহাপরিদর্শক মাইকেল হরোউইটজ ১৫ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য ইউএস সিনেটকে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনের (বিওপি) অধীনে সারা আমেরিকায় শতাধিক কারাগারে বন্দির সংখ্যা হচ্ছে ১৫৫০০০। এর বাইরে স্টেট প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কারাগারের সংখ্যা হচ্ছে ৪৬৮২টি। ইমিগ্রেশন-ডিটেনশন সেন্টারের সংখ্যা ১৮১। আরো রয়েছে, কিশোর-কিশোরী সংশোধনাগার-১৩২৩টি। তবে সিনেটে শুনানির জন্যে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন কারাগারসমূহকে বেছে নেয়া হয়েছে।

কারণ, এগুলো সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এতদসত্বেও কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটছে-এটাই প্রশ্ন জনপ্রতিনিধিগণের। এছাড়া- বন্দিশালায় প্রতিনিয়ত প্রতিটি কারাকক্ষ পরিদর্শন করার কথা। তাহলে আত্মহত্যার সুযোগ হয় কীভাবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে। ইউএস সিনেটে জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান ডিক ডারবিন (ইলিনয়-ডেমক্র্যাট) বলেছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে শুনানি। হত্যা এবং আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব ছিল যদি সংশ্লিষ্টরা যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করতেন। কারাগারে বন্দিরা কীভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন-সেটিও খতিয়ে দেখতে চাই। দায়ীদের চিহ্নিত এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আর এমন দাবি অনেক পুরনো। সূত্র : নিউজজোন