নিউইয়র্ক ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অর্থমূল্যে দ্বিগুণ কফি রফতানি ভিয়েতনামের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭ বার পঠিত

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অর্থমূল্যে ভিয়েতনামের কফি রফতানি বেড়েছে ‍দ্বিগুণ। ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে এমন প্রবৃদ্ধি এসেছে। পাশাপাশি রফতানির পরিমাণও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ভিয়েতনাম নিউজ।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম ২ লাখ ৩০ হাজার টন কফি রফতানি করেছে। পরিমাণের দিক থেকে রফতানি ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থমূল্যে রফতানি হয়েছে ৬২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের কফি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

ভিয়েতনাম বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্তা কফি উৎপাদক ও রফতানিকারক। দেশটিতে পানীয় পণ্যটির বাণিজ্য কার্যক্রম চাঙ্গা হয়ে ওঠে। চন্দ্রবর্ষের ছুটি শুরুর আগেই রফতানির জন্য পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা বাগান মালিকদের থেকে বিপুল পরিমাণে কফি কিনেছেন। বাড়তি চাহিদার কারণে এ সময় দামও বেড়ে যায়।

গত বছরের শেষ দিক থেকেই সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডের প্রদেশগুলোয় অব্যাহত বাড়ছে কফির গড় দাম। ওই সময় কিছু অঞ্চলে প্রতি কেজির মূল্য উঠেছিল ৭৮ হাজার ২০০ থেকে ৭৯ হাজার ৪০০ ডংয়ে। বর্তমানেও বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় আছে। শিগগিরই প্রতি কেজি কফির দাম ৮০ হাজার ডংয়ে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটিতে চন্দ্রবর্ষ ছুটি শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এ কারণেই মূলত বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। গত বছরের মতো সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা থেকেও রফতানিকারকদের মাঝে আগ্রাসী ক্রয়প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে ডাক লাক প্রদেশে কফি উৎপাদন ৫ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ৩০ হাজার টনে। এখনকার মতো দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলে এবং নিকট ভবিষ্যতে কিছুটা উত্থান-পতন দেখা দিলে প্রদেশটির কফি রফতানি আয় ৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে লাম ডং প্রদেশে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন কফি উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০২৩ সালে ভিয়েতনাম ১৬ লাখ টন কফি উৎপাদন করেছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। তবে ওই বছর রফতানি আয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪২৪ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছিল।ভিয়েতনাম কফি অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভিয়েতনামে ১৬-১৭ লাখ টন কফি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : বণিক বার্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অর্থমূল্যে দ্বিগুণ কফি রফতানি ভিয়েতনামের

প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অর্থমূল্যে ভিয়েতনামের কফি রফতানি বেড়েছে ‍দ্বিগুণ। ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে এমন প্রবৃদ্ধি এসেছে। পাশাপাশি রফতানির পরিমাণও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ভিয়েতনাম নিউজ।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম ২ লাখ ৩০ হাজার টন কফি রফতানি করেছে। পরিমাণের দিক থেকে রফতানি ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থমূল্যে রফতানি হয়েছে ৬২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের কফি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

ভিয়েতনাম বিশ্বের শীর্ষ রোবাস্তা কফি উৎপাদক ও রফতানিকারক। দেশটিতে পানীয় পণ্যটির বাণিজ্য কার্যক্রম চাঙ্গা হয়ে ওঠে। চন্দ্রবর্ষের ছুটি শুরুর আগেই রফতানির জন্য পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা বাগান মালিকদের থেকে বিপুল পরিমাণে কফি কিনেছেন। বাড়তি চাহিদার কারণে এ সময় দামও বেড়ে যায়।

গত বছরের শেষ দিক থেকেই সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডের প্রদেশগুলোয় অব্যাহত বাড়ছে কফির গড় দাম। ওই সময় কিছু অঞ্চলে প্রতি কেজির মূল্য উঠেছিল ৭৮ হাজার ২০০ থেকে ৭৯ হাজার ৪০০ ডংয়ে। বর্তমানেও বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় আছে। শিগগিরই প্রতি কেজি কফির দাম ৮০ হাজার ডংয়ে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশটিতে চন্দ্রবর্ষ ছুটি শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এ কারণেই মূলত বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। গত বছরের মতো সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা থেকেও রফতানিকারকদের মাঝে আগ্রাসী ক্রয়প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে ডাক লাক প্রদেশে কফি উৎপাদন ৫ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ৩০ হাজার টনে। এখনকার মতো দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলে এবং নিকট ভবিষ্যতে কিছুটা উত্থান-পতন দেখা দিলে প্রদেশটির কফি রফতানি আয় ৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে লাম ডং প্রদেশে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন কফি উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০২৩ সালে ভিয়েতনাম ১৬ লাখ টন কফি উৎপাদন করেছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। তবে ওই বছর রফতানি আয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪২৪ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছিল।ভিয়েতনাম কফি অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভিয়েতনামে ১৬-১৭ লাখ টন কফি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : বণিক বার্তা।