বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক  চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, যারা ১১ মিনিটে বাকশাল তৈরি করে নিজের দলকে জবাই করতে পারেন তাদের মুখে গণতন্ত্র শোভা পায় না। তাদের আমরা বিশ্বাস কর‍তে পারি না। তাই অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করেন, মানুষকে বাঁচান। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল হলে এই মুহূর্তে সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক দলের মতামত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিন।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন বাতিল ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, সংসদ চলছে, আজও চলবে। এটা একটা তেলেসমাতি সংসদ। এই সংসদকে মুরব্বিরা বলে আওয়ামী লীগের এ টিম আর বি টিম। এই সংসদে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, অংশগ্রহণ করে নাই। তবুও এই সরকার নির্বাচন কমিশনের কারচুপিতে ক্ষমতায় বসে গত মাসের ১০ তারিখে শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছে। তাই মুরব্বিরা বলে এই সংসদ টিকে থাকতে পারে না, জনগণও বলে এই সংসদ আর টিকে থাকার কথা নয়। কারণ বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আজ যেভাবে ঘোলাটে হচ্ছে, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে, সেখানে নতুন করে সিন্ডিকেট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করে কোটি কোটি টাকা কীভাবে রোজগার করা যায় সেটা ভাবছে।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাগর-রুনির বিচার হতে আইনমন্ত্রী বলেছে ৫০ বছর লাগবে। যদি আপনার (আইনমন্ত্রী) শরম থাকতো, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন তাহলে কোনদিনও এরকম কথা বলতে পারতেন না। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল। তারপর যেদিন ডিআরইউ’র সামনে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করে সেদিন আপনার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আপনি পদত্যাগ করেন নাই। করবেন কেন? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ তো আপনাকে ভোট দেয় নাই। তারা আপনাকে জনগণের সেবা করার জন্য নির্বাচিত করে নাই। আপনি তো নির্বাচিত হয়েছেন এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কথাগুলো সংসদে তুলে ধরার জন্য। এর জন্যই আপনি বলতে পারেন সাগর-রুনি হত্যার বিচার হতে ৫০ বছর লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সংসদে যে ১১ জনের বিরোধী দল আছে সেটাও বানিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার প্রধান। ডানে আর বায়ে ডামি আর ভাই, তারাই সরকার। আবার আওয়ামী লীগের বদান্যতার কারণে বিরোধী দল তৈরি হয়েছে। এই বিরোধী দল দিয়ে বাংলাদেশের সার্বিক সমস্যার সমাধান হবে না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম আনিসুর রহমান আনিসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আ. গাফফার হোসেন ডিপটির সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীসহ অন্য নেতারা।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

হককথা/নাছরিন