৪ কিশোরীকে বন্দুকের মুখে আটক, ২১ কোটি টাকায় দফারফা
- প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৯৭ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : মেয়ে ও ভাইঝিদের নিয়ে গাড়িতে চড়ে সেলুনে যান মা। কিন্তু গিয়ে দেখেন সেলনু বন্ধ। তাই ফিরে আসেন গাড়িতে। তবে পুলিশের বাধায় তারা আর বাড়ি ফিরে যেতে পারেননি। বন্দুকের মুখে তাদের মাটিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য করে পুলিশ। পুলিশের এমন কাণ্ড থেকে রেহাই পায়নি শিশুরা পর্যন্ত। এমনকি দুজনের হাতে হাতকড়া পর্যন্ত পরানো হয়। এমন কাণ্ড করে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে ১৯ লাখ ডলারে বিষয়টির সুরাহা করেছে পুলিশ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের অরোরা শহরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তেভোগী পরিবার মামলা করলে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২১ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২০ সালে ব্রিটনি গিলিয়ামকে তার ছয় বছরের মেয়ে, ১৪ ও ১৭ বছর বয়সী ভাইঝি এবং ১২ বছর বয়সী বোনসহ পার্কিং লটে অন্যায়ভাবে থামানো হয়। একপর্যায়ে তাদের সবাইকে বন্দুকের মুখে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্ষোভের জন্ম হয়।
এ ঘটনার পর অরোরা শহরের পুলিশ জানায়, তারা ধারণা করেছিলেন গিলিয়ামের গাড়ি চুরি গেছে। এ জন্য ঝুঁকি সত্ত্বেও গাড়ি থামাতে বাধ্য করে পুলিশ। অবশ্য পরে ভুল বুঝতে পেরে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চায় পুলিশ। এমনকি এই কারণে শিশুদের থেরাপি দেওয়ার খরচের প্রস্তাব দেয় পুলিশ।
তবে পুলিশের এমন কথায় আশ্বস্ত না হায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন গিলিয়াম। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় তাদের সঙ্গে এমনটা করেছে পুলিশ। এ জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘গভীর ও পদ্ধতিগত’ বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন তিনি।
সোমবার ভুক্তভোগী এই পরিবারের আইনজীবী ডেভিড লেন বলেন, অরোরা শহর পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতায় সব পক্ষই অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
হককথা/নাছরিন