নিউইয়র্ক ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জোকস শুনে জ্ঞান ফিরলো ৫ বছর ধরে কোমায় থাকা নারীর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৩৪ বার পঠিত

মানসিক অবসাদের মতো ‘অসুখ’ সারাতে চিকিৎসকেরা প্রায় সব সময়ই বলেন, ‘হাসি, খুশি, মজায় থাকুন!’ হাসিই অসুখের সেরা ওষুধ, এমন প্রবাদ ফের এক বার প্রমাণিত হল। তবে মানসিক অবসাদ নয়, পাঁচ বছর কোমায় থাকা এক নারী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেন। মায়ের মুখে শোনা একটি ‘জোক’ মেয়ের শরীরে স্পন্দন ফিরিয়ে দিয়েছে!

সংবাদমাধ্যম পিপল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা জেনিফা ফ্লেভেলেন নামে এক নারী ২০১৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাথায় বেশ আঘাত পান তিনি। চিকিৎসকেরা তাকে প্রাণে বাঁচাতে সক্ষম হলেও কোমায় চলে যান তিনি। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। নিস্পন্দ মেয়ের শরীরটাকে আগলে রেখেছিলেন মা পেগি।

পাঁচ বছর পর আচমকাই এক ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এক দিন মেয়েকে ‘জোকস’ শোনাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি জেনিফার শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি, সে কোমা থেকে ফিরে এসেছে।’ মা পেগি মনে করেন, তার বলা ‘জোকস’ই এই ‘আশ্চর্যজনক’ ঘটনা ঘটিয়েছে।

পেগি যখন কথাগুলি বলছিলেন তখন তার চোখ জলে ভরে গিয়েছে। দুঃখের নয়, পাঁচ বছর পর মেয়েকে ‘ফিরে’ পেয়ে খুশিতে কাঁদছেন। তার কথায়, জেনিফার চার বছর ১১ মাস ‘নিথর’ থাকার পর ‘যুদ্ধ’ জয়ের হাসি হেসেছে। সেই হাসি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা পরিবারের মুখে। যদিও জেনিফার এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। কথা বলার ক্ষমতা এখনও ফিরে পাননি। তবে চিকিৎসকেরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি আবার জেনিফার স্বাভাবিক জীবনে চলে আসবেন।

পেগি জানান, জেনিফার এ ভাবে ফিরে আসাকে চিকিৎসকেরা ‘বিরল’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। তার চিকিৎসা এখনও চলছে। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে সকলের কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। পেগি বিশ্বাস করেন তার মেয়ে আবার আগের মতো কথা বলবে, হেঁটে চলে বেরাবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনিফার এবং পেগির জীবনের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, কী ‘জোকস’ শুনে জেনিফা কোমা থেকে বেরিয়ে এলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। তাদের দাবি, সেই মজার কথা শুনে আনন্দ পেতে চান তারাও। সকলেই জেনিফার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জোকস শুনে জ্ঞান ফিরলো ৫ বছর ধরে কোমায় থাকা নারীর

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মানসিক অবসাদের মতো ‘অসুখ’ সারাতে চিকিৎসকেরা প্রায় সব সময়ই বলেন, ‘হাসি, খুশি, মজায় থাকুন!’ হাসিই অসুখের সেরা ওষুধ, এমন প্রবাদ ফের এক বার প্রমাণিত হল। তবে মানসিক অবসাদ নয়, পাঁচ বছর কোমায় থাকা এক নারী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেন। মায়ের মুখে শোনা একটি ‘জোক’ মেয়ের শরীরে স্পন্দন ফিরিয়ে দিয়েছে!

সংবাদমাধ্যম পিপল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা জেনিফা ফ্লেভেলেন নামে এক নারী ২০১৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাথায় বেশ আঘাত পান তিনি। চিকিৎসকেরা তাকে প্রাণে বাঁচাতে সক্ষম হলেও কোমায় চলে যান তিনি। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। নিস্পন্দ মেয়ের শরীরটাকে আগলে রেখেছিলেন মা পেগি।

পাঁচ বছর পর আচমকাই এক ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এক দিন মেয়েকে ‘জোকস’ শোনাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি জেনিফার শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি, সে কোমা থেকে ফিরে এসেছে।’ মা পেগি মনে করেন, তার বলা ‘জোকস’ই এই ‘আশ্চর্যজনক’ ঘটনা ঘটিয়েছে।

পেগি যখন কথাগুলি বলছিলেন তখন তার চোখ জলে ভরে গিয়েছে। দুঃখের নয়, পাঁচ বছর পর মেয়েকে ‘ফিরে’ পেয়ে খুশিতে কাঁদছেন। তার কথায়, জেনিফার চার বছর ১১ মাস ‘নিথর’ থাকার পর ‘যুদ্ধ’ জয়ের হাসি হেসেছে। সেই হাসি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা পরিবারের মুখে। যদিও জেনিফার এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। কথা বলার ক্ষমতা এখনও ফিরে পাননি। তবে চিকিৎসকেরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি আবার জেনিফার স্বাভাবিক জীবনে চলে আসবেন।

পেগি জানান, জেনিফার এ ভাবে ফিরে আসাকে চিকিৎসকেরা ‘বিরল’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। তার চিকিৎসা এখনও চলছে। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে সকলের কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। পেগি বিশ্বাস করেন তার মেয়ে আবার আগের মতো কথা বলবে, হেঁটে চলে বেরাবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনিফার এবং পেগির জীবনের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, কী ‘জোকস’ শুনে জেনিফা কোমা থেকে বেরিয়ে এলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। তাদের দাবি, সেই মজার কথা শুনে আনন্দ পেতে চান তারাও। সকলেই জেনিফার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। সূত্র : ডেইলি-বাংলাদেশ।