নিউইয়র্ক ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সমকামিতা নিয়ে ডা. সাবরিনার বিষয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪২ বার পঠিত

কারাগারে সমকামিতা নিয়ে মন্তব্য করে ফের আলোচনায় এসেছেন বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে সমকামিতার বিষয়ে মন্তব্য করেন। ওই সংবাদমাধ্যমে ডা. সাবরিনা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের কারাগারে সমকামিতা চলছে। তরুণ বয়সে যারা জেলে এসে দীর্ঘদিন বন্দী আছেন, তাদের মাঝেই এই প্রবণতা বেশি দেখেছেন তিনি।

তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবি প্রধান বলেন, ডা. সাবরিনা যদি কারা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন তবে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি যখন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ছিলাম, তখন করোনার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

তিনি বলেন, এর ভিত্তিতে আদালত ডা. সাবরিনাকে সাজার আদেশ দেন। সম্প্রতি সাজাভোগ শেষে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারাগারের বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। তবে তিনি কী বলছেন সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ, মহামান্য আদালত তার অপরাধ বিবেচনায় তাকে সাজা দিয়েছেন।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করছেন সাবরিনা। তিনি আদৌ কারাগারে এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন কি না বা সমস্যায় পড়লে তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন কি না, নাকি ভাইরাল হওয়ার জন্য বা ভিউ বাড়াতে এসব বলছেন তা জানি না। তবে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা মনে করি বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্র : কালবেলা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সমকামিতা নিয়ে ডা. সাবরিনার বিষয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

প্রকাশের সময় : ১১:৩১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কারাগারে সমকামিতা নিয়ে মন্তব্য করে ফের আলোচনায় এসেছেন বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে সমকামিতার বিষয়ে মন্তব্য করেন। ওই সংবাদমাধ্যমে ডা. সাবরিনা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের কারাগারে সমকামিতা চলছে। তরুণ বয়সে যারা জেলে এসে দীর্ঘদিন বন্দী আছেন, তাদের মাঝেই এই প্রবণতা বেশি দেখেছেন তিনি।

তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবি প্রধান বলেন, ডা. সাবরিনা যদি কারা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেন তবে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, আমি যখন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ছিলাম, তখন করোনার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

তিনি বলেন, এর ভিত্তিতে আদালত ডা. সাবরিনাকে সাজার আদেশ দেন। সম্প্রতি সাজাভোগ শেষে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারাগারের বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। তবে তিনি কী বলছেন সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ, মহামান্য আদালত তার অপরাধ বিবেচনায় তাকে সাজা দিয়েছেন।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করছেন সাবরিনা। তিনি আদৌ কারাগারে এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন কি না বা সমস্যায় পড়লে তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন কি না, নাকি ভাইরাল হওয়ার জন্য বা ভিউ বাড়াতে এসব বলছেন তা জানি না। তবে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা মনে করি বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্র : কালবেলা।