নিউইয়র্ক ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কথা ঘোষণা করল ইরান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩ বার পঠিত

ইরানে তৈরি হচ্ছে নতুন পরমাণু চুল্লি। ছবি : পিকচার এলিয়েন্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান এ কথা জানিয়েছেন। ইরান জানিয়েছে, এটি দেশের চতুর্থ পরমাণু চুল্লি। ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রে এই চুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইরান সরকার জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে একটি পরমাণু প্রকল্পের কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান মহম্মদ ইসলামি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিতে কংক্রিট ঢালা হয়েছে।’ ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে।

তারা জানিয়েছে, নতুন এই পরমাণু চুল্লি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। সঙ্গে এটি আরো বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম হবে। এই চুল্লি তেল এবং পরমাণু সংক্রান্ত জিনিস পরীক্ষা করতে পারবে। রেডিওআইসোটোপ তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির।

এ ছাড়া রেডিওফারমাসিউটিকলসও তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। ইসফাহানের এই কেন্দ্রে এর আগে তিনটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। নতুনটি চতুর্থ চুল্লি।

আন্তর্জাতিক সমালোচনা

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই উদ্বিগ্ন। তাদের জানায়, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুদ করছে তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়।

মূলত একের পর এক পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তুলে ইরান আসলে অস্ত্র তৈরির পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইরান অবশ্য কখনোই এই বক্তব্য সমর্থন করেনি। তারা বরাবরই জানিয়ে এসেছে, তাদের সব পরমাণু প্রকল্পই জনগণের জন্য। অর্থাৎ মূলত বিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের এই বক্তব্য সমর্থন করে না।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি বাদ দিয়েছে। ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্পসংক্রান্ত বিষয়ের সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য ইরান তাদের দিচ্ছে না।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের সব প্রকল্পই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তা করে। সে কারণে দেশের দক্ষিণে একটি নতুন পরমাণু কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। ২০৪১ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লি থেকে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যেই প্রকল্পগুলো তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া হলো পাঁচটি দেশ যারা, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি করে। ইরানে আপাতত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি হয়। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কথা ঘোষণা করল ইরান

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান এ কথা জানিয়েছেন। ইরান জানিয়েছে, এটি দেশের চতুর্থ পরমাণু চুল্লি। ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রে এই চুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইরান সরকার জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে একটি পরমাণু প্রকল্পের কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান মহম্মদ ইসলামি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিতে কংক্রিট ঢালা হয়েছে।’ ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে।

তারা জানিয়েছে, নতুন এই পরমাণু চুল্লি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। সঙ্গে এটি আরো বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম হবে। এই চুল্লি তেল এবং পরমাণু সংক্রান্ত জিনিস পরীক্ষা করতে পারবে। রেডিওআইসোটোপ তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির।

এ ছাড়া রেডিওফারমাসিউটিকলসও তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। ইসফাহানের এই কেন্দ্রে এর আগে তিনটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। নতুনটি চতুর্থ চুল্লি।

আন্তর্জাতিক সমালোচনা

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই উদ্বিগ্ন। তাদের জানায়, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুদ করছে তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়।

মূলত একের পর এক পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তুলে ইরান আসলে অস্ত্র তৈরির পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইরান অবশ্য কখনোই এই বক্তব্য সমর্থন করেনি। তারা বরাবরই জানিয়ে এসেছে, তাদের সব পরমাণু প্রকল্পই জনগণের জন্য। অর্থাৎ মূলত বিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের এই বক্তব্য সমর্থন করে না।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি বাদ দিয়েছে। ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্পসংক্রান্ত বিষয়ের সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য ইরান তাদের দিচ্ছে না।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের সব প্রকল্পই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তা করে। সে কারণে দেশের দক্ষিণে একটি নতুন পরমাণু কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। ২০৪১ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লি থেকে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যেই প্রকল্পগুলো তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া হলো পাঁচটি দেশ যারা, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি করে। ইরানে আপাতত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি হয়। সূত্র : কালের কণ্ঠ

হককথা/নাছরিন