জিততে হলে রেকর্ড করতে হবে ইংল্যান্ডকে
- প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৭৯ বার পঠিত
‘বাজবল’ যুগ শুরু হওয়ার পর ১৪টি টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ৮টিই রান তাড়া করে। বিশাখাপত্তনমেও অভ্যস্ত রান তাড়ায় নেমে পড়েছে ইংল্যান্ড। তবে এবার কিন্তু রেকর্ড করতে হবে। শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২৫৫ রান করলে ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়িয়েছে ৩৯৯। ভারতের মাটিতে আবার এত রান তাড়ার নজির নেই।
এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৬৭ রান করেছে সফরকারীরা। চতুর্থদিন নেমে এখন পর্যন্ত আরও এক উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান যোগ করেছে ইংল্যান্ড। হাতে আছে আরও দুইদিন। জিততে হলে আরও ২৭৪ রান দরকার ইংল্যান্ডের, হাতে আছে ৮ উইকেট।
ভারতের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড হলো ৩৮৭। ২০০৮ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই এ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। বিশাখাপত্তনমে সেই শোধ তোলার সুযোগ ইংল্যান্ডের সামনে। ভারতের মাটিতে আড়াইশর বেশি রান তাড়ার নজির মাত্র ৫টি, এর মধ্যে চারটিই ভারতের। একমাত্র উইন্ডিজ ১৯৮৭ সালে আড়াইশর বেশি টার্গেট তাড়া করে জিতেছিল। তাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ‘বাজবল’ নামক আগ্রাসী কৌশলে অভ্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের জন্য কাজটা বেশ কঠিন।
বিশাখাপত্তনমের পিচে মাঝেমধ্যে বল পড়ে নিচু হয়ে গেলেও এখনও ব্যাটারদের প্রতি একেবারে শত্রুতাপূর্ণ আচরণ শুরু করেনি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে এই পিচে যে অশ্বিন, কুলদীপ, অক্ষর– এই স্পিনত্রয়ীকে খেলা মোটেও সহজ হবে না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর দুরন্ত ফর্মে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ তো রয়েছেনই। তবে সফরকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে দুই বছর আগের এজবাস্টন টেস্ট। ২০২২ সালে এজবাস্টনে ভারতের ৩৭৮ রানের টার্গেট দাপটের সঙ্গে তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সে রান তাড়ায় সেঞ্চুরি করা জো রুট আবার ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পেয়েছেন। তাই তাঁর ব্যাটিং করা নিয়ে কিঞ্চিৎ হলেও শঙ্কা রয়েছে।
ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেটটা অবশ্য আরও বড় হতে পারত। কিন্তু শুভমান গিল ছাড়া ভারতের আর কেউ দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি। তার পরও প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের লিডের কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিকরা। শুভমান গিলের সঙ্গে সর্বোচ্চ জুটিটা হয়েছে অক্ষর প্যাটেলের। পঞ্চম উইকেটে তারা দু’জন ৮৯ রান যোগ করে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান। এর মধ্যে ১১ মাস পর লাল বলের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন শুভমান। তবে চা-বিরতির আগে দু’জনই আউট হয়ে যান। এর পর ভারতের ইনিংস আর বেশি দূর এগোয়নি। সূত্র : সমকাল।