নিউইয়র্ক ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে চীন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৪ বার পঠিত

চীনে নিম্নমুখী অর্থনীতির মধ্যে প্রধান প্রধান ব্র্যান্ডগুলো বন্ধ হতে চলেছে। যেমন অ্যাডিডাস সম্প্রতি শেনজেনের ফুটিয়ানে তাদের বড় গুদামঘর বন্ধ করে দিয়েছে। দেশজুড়ে এ রকম আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে, যা থেকে বলা যায় চীন বৃহত্তর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এমন মন্তব্য করা হয়েছে এশিয়ান লাইটের একটি প্রতিবেদনে।

মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনৈতিক বাস্তবতা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে শেনজেনের ওপর। চীনের সিলিকন ভ্যালি নামেই পরিচিতি রয়েছে এই শেনজেনের। এই শহরে সম্প্রতি অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে চাকরিচ্যুত হয়েছে অনেক কর্মী। যেমন ফ্যাং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কোনো দোকানপাটই আর নেই। কারণ সেখানে মানুষের যাতায়াতই আর নেই। এমনকি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোও ব্যবসা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান হলো এলকো ইলেকট্রনিকস। এদের ইলেকট্রনিকস ফ্যাক্টরি চরম সংকটে পড়েছে। ৩৬ বছর গড়ে ওঠা এই ফ্যাক্টরিতে এক সময় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করত। এখন এটি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এ রকম আরও ৪৯টি কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক সুনাম হারাতে বসেছে শেনজেন।

প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, তরুণদের মধ্যে রেকর্ড বেকারত্বের হার, বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা, দুর্বল রপ্তানি আয়, স্থানীয় মুদ্রার দরপতন এবং আবাসন শিল্পে সংকট ইত্যাদি কারণে চীনের নিম্নমুখী অর্থনীতি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই সমালোচনা হচ্ছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর আগে বলেছিলেন, ‘চীনের অর্থনীতি অনেক টেকসই, এর সম্ভাবনা দারুণ আর আছে অনেক প্রাণশক্তি।’ বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতি খুব সহসাই ধসে পড়বে এমন সম্ভাবনা কম। তবে চীনের সামনে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ, যার মূল অনেক গভীরে। সূত্র : আমাদের সময়।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে চীন

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চীনে নিম্নমুখী অর্থনীতির মধ্যে প্রধান প্রধান ব্র্যান্ডগুলো বন্ধ হতে চলেছে। যেমন অ্যাডিডাস সম্প্রতি শেনজেনের ফুটিয়ানে তাদের বড় গুদামঘর বন্ধ করে দিয়েছে। দেশজুড়ে এ রকম আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে, যা থেকে বলা যায় চীন বৃহত্তর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এমন মন্তব্য করা হয়েছে এশিয়ান লাইটের একটি প্রতিবেদনে।

মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনৈতিক বাস্তবতা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে শেনজেনের ওপর। চীনের সিলিকন ভ্যালি নামেই পরিচিতি রয়েছে এই শেনজেনের। এই শহরে সম্প্রতি অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে চাকরিচ্যুত হয়েছে অনেক কর্মী। যেমন ফ্যাং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কোনো দোকানপাটই আর নেই। কারণ সেখানে মানুষের যাতায়াতই আর নেই। এমনকি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোও ব্যবসা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান হলো এলকো ইলেকট্রনিকস। এদের ইলেকট্রনিকস ফ্যাক্টরি চরম সংকটে পড়েছে। ৩৬ বছর গড়ে ওঠা এই ফ্যাক্টরিতে এক সময় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করত। এখন এটি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এ রকম আরও ৪৯টি কোম্পানি দেউলিয়া হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক সুনাম হারাতে বসেছে শেনজেন।

প্রবৃদ্ধির ধীরগতি, তরুণদের মধ্যে রেকর্ড বেকারত্বের হার, বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা, দুর্বল রপ্তানি আয়, স্থানীয় মুদ্রার দরপতন এবং আবাসন শিল্পে সংকট ইত্যাদি কারণে চীনের নিম্নমুখী অর্থনীতি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই সমালোচনা হচ্ছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর আগে বলেছিলেন, ‘চীনের অর্থনীতি অনেক টেকসই, এর সম্ভাবনা দারুণ আর আছে অনেক প্রাণশক্তি।’ বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতি খুব সহসাই ধসে পড়বে এমন সম্ভাবনা কম। তবে চীনের সামনে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ, যার মূল অনেক গভীরে। সূত্র : আমাদের সময়।