নিউইয়র্ক ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পশ্চিমারা : ৮০০ কর্মকর্তার উদ্বেগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েক শ সরকারি কর্মকর্তা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে নিজ নিজ সরকারের নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধ নিয়ে তাঁদের সরকারের নীতি সম্ভবত আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১১টি ইউরোপীয় দেশের ৮০০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা বিবৃতিটিতে সই করেছেন।

আটলান্টিক মহাসাগরের উভয় পারের প্রভাবশালী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের বিবৃতির একটি অনুলিপি ব্রিটিশ বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির হাতে এসেছে।

এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের নিজ নিজ দেশের সরকারগুলো ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটিতে’ জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। এই বিষয়ে তাঁদের বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করছে এসব সরকার। সাড়া ফেলা এই বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে দেশটির পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সরকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিন্নমতের আভাস মিলছে। এতে স্বাক্ষরকারী এক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

গাজা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ ‘অব্যাহতভাবে খারিজ’ করা হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যাঁরা ওই অঞ্চল ও সেখানকার গতি-প্রকৃতি বোঝেন তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমরা কোনো কিছু প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছি না, বরং আমরা তাতে সক্রিয়ভাবে সহযোগী হচ্ছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা অভিযানে কোনো বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। এতে এমন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত।

ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে হাজারো সাধারণ মানুষ অনাহার ও মৃতপ্রায় হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। বিবৃতিতে সরকারি কর্মকর্তারা আরো বলেন, ‘আমাদের সরকারের অনুসৃত নীতিগুলো আন্তর্জাতিক আইনের গভীর লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ, এমনকি জাতিগত নির্মূল বা গণহত্যায় মদদ দিতে পারে এমন ঝুঁকি আছে।’

বিবিসি জানায়, বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। বিবিসিও বিবৃতির ভাষ্য ছাড়া তাঁদের নামের তালিকা দেখেনি। তবে এটি বোঝা গেছে যে এই কর্মকর্তাদের প্রায় অর্ধেকেরই অন্ততপক্ষে এক দশক সরকারি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পশ্চিমারা : ৮০০ কর্মকর্তার উদ্বেগ

প্রকাশের সময় : ০৬:১০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েক শ সরকারি কর্মকর্তা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে নিজ নিজ সরকারের নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধ নিয়ে তাঁদের সরকারের নীতি সম্ভবত আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ১১টি ইউরোপীয় দেশের ৮০০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা বিবৃতিটিতে সই করেছেন।

আটলান্টিক মহাসাগরের উভয় পারের প্রভাবশালী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের বিবৃতির একটি অনুলিপি ব্রিটিশ বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির হাতে এসেছে।

এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের নিজ নিজ দেশের সরকারগুলো ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটিতে’ জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। এই বিষয়ে তাঁদের বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করছে এসব সরকার। সাড়া ফেলা এই বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে দেশটির পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সরকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিন্নমতের আভাস মিলছে। এতে স্বাক্ষরকারী এক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

গাজা নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ ‘অব্যাহতভাবে খারিজ’ করা হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যাঁরা ওই অঞ্চল ও সেখানকার গতি-প্রকৃতি বোঝেন তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমরা কোনো কিছু প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছি না, বরং আমরা তাতে সক্রিয়ভাবে সহযোগী হচ্ছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা অভিযানে কোনো বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। এতে এমন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেত।

ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃত ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে হাজারো সাধারণ মানুষ অনাহার ও মৃতপ্রায় হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। বিবৃতিতে সরকারি কর্মকর্তারা আরো বলেন, ‘আমাদের সরকারের অনুসৃত নীতিগুলো আন্তর্জাতিক আইনের গভীর লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ, এমনকি জাতিগত নির্মূল বা গণহত্যায় মদদ দিতে পারে এমন ঝুঁকি আছে।’

বিবিসি জানায়, বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। বিবিসিও বিবৃতির ভাষ্য ছাড়া তাঁদের নামের তালিকা দেখেনি। তবে এটি বোঝা গেছে যে এই কর্মকর্তাদের প্রায় অর্ধেকেরই অন্ততপক্ষে এক দশক সরকারি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সূত্র : বিবিসি

হককথা/নাছরিন