‘পরিকল্পনামাফিক কোনো কিছু হয় না’
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৫৪ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল হিমি। তার নাটক মানেই দর্শকের কোটি কোটি ভিউ। গেল বছরটা এ অভিনেত্রীর দারুণ কেটেছে বলে জানান। চলতি বছরেও বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- অনিন্দ্য শুভ…
ক্যারিয়ারের বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। জার্নিটা কেমন যাচ্ছে?
গত বছর আমার খুব ভালো কেটেছে, কাজের ভীষণ ব্যস্ততা ছিল। দর্শকের প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। তবে ক্যারিয়ারে এই মোড়টা না এলে চিত্র ভিন্ন হতো। পরিকল্পনা ছিল বিবিএ শেষ করে দেশের বাইরে চলে যাব মাস্টার্স করতে। কিন্তু যখন দেখলাম কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি, দর্শকের সাড়া পাচ্ছি, আমারও ভালো লাগছে তখন আগের পরিকল্পনাগুলো বাদ দিতে হয়েছে। জীবন সম্পর্কিত বড় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আপনাকে সাধারণত প্রান্তিক বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। কেন?
একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীর চরিত্র, কিংবা প্রেমের গল্পে অভিনয় করতে ভালোই লাগে। কিন্তু কিছু চরিত্র আছে যেমন বস্তির মেয়ে, পোশাক শ্রমিক এই চরিত্রগুলোতে আমি বেশি আগ্রহী। কারণ এগুলোতে নিজেকে ভাঙার সুযোগ থাকে। চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই। তা ছাড়া অভিজ্ঞতাও হয়।
এরকম একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন?
যেমন বস্তিতে কাজ করার সুবাদে ওখানকার অনেকের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়ে গেছে। শুটিং দেখলে তারা আসেন। এ রকম একবার আমি দাঁড়িয়ে আছি, তারা এসেছে নায়িকা খুঁজতে। কিন্তু আমাকে চিনতে পারছে না। আমাকেই জিজ্ঞেস করছে নায়িকা এসেছে কি না। আমি তাদের মতো করেই উত্তর দিচ্ছি হ্যাঁ নায়িকা এসেছে। এই বিষয়গুলো ভালো লাগে।
একই সহকর্মীদের সঙ্গে বারবার কাজের সুবিধা কী?
একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে বোঝাপড়া ভালো থাকে। একজনের শরীর খারাপ থাকলে তার অংশগুলো আগে করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পারিবারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাজের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে পরামর্শ করা যায়। কাজটি করা ঠিক হবে কি না জিজ্ঞেস করা যায়। নিলয় ভাই, কিংবা মাসুম আংকেল (ফখরুল বাশার মাসুম) বা অন্য যারা আছেন তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি, পরামর্শ চাইতে পারি। এগুলো হচ্ছে সুবিধা।
কোনো অসুবিধা আছে?
অসুবিধা তেমন নেই। তবে মাঝে মাঝে অনেক আর্টিস্টের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হয়। যাদের সঙ্গে কাজ হয় না। তাদের মিস করি।
কাজের জায়গায় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আর এখন কোনো তফাত মনে হয় কি?
শুরুর দিকে হয়েছে। যখন কোনো একটি নাটকের গল্প শোনাত, মনে হতো ভালো কিছু হতে যাচ্ছে। কিন্তু শুটিংয়ে যাওয়ার পর গরমিল পেতাম। তখন বিষয়গুলো নিয়ে বলার মতো অবস্থান আমার ছিল না। তা ছাড়া এমনিতেও আমি স্বল্পভাষী। তাই বলতে পারতাম না। কিন্তু এ রকম অভিজ্ঞতা যাদের সঙ্গে হতো পরে তাদের এড়িয়ে গেছি। এখনকার চিত্র ভিন্ন। অনেকের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে। বুঝতে পারি কার কাজ কেমন, কার আউটপুট কেমন হবে। তা ছাড়া কখনো কোনো জায়গায় আলোচনা করার মনে হলে পরিচালকের সঙ্গে শেয়ার করি। বোঝাই কাজটি এ রকম না হয়ে অন্যরকম হলে ভালো হতো। দেখা যায় পরিচালকও সংশোধন করেন।
সমসাময়িকদের অনেকে ওটিটি মাধ্যমে যুক্ত হচ্ছে। আপনাকে দেখা যাবে কবে?
পরিকল্পনামাফিক কোনো কিছু হয় না আমার। দেখা যাবে হুট করে একদিন করে ফেলেছি। তবে ভালো কাজ তো সবাই করতে চায়। সে রকম কাজের সুযোগ এলে করে ফেলব।
সিনেমার কী খবর?
নাটকে যে কাজ করছি সেটা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট তাই সিনেমার ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি। সে রকম সুযোগ এলে ভেবে দেখব। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/নাছরিন