এভাবে চললে লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে যাই : সরকার আইন ভাঙলে অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ

- প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৮২ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: কোথাও পরিবেশের বারোটা বাজতে দেখলে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। কখনও মাঠে প্রতিবাদ, কখনও আদালতে চালিয়ে যান লড়াই। পিছপা হওয়ার নজির নেই তাঁর অভিধানে। বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন সৈয়দা রিজওয়ানা। যুক্তরাষ্ট্রের সাহসিকা খেতাব পাওয়া এই পরিবেশবিদ বলেন, জলাশয় রক্ষা করা যাচ্ছে না। এর কারণ, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গীকার নেই। আমরা যদিও সরকারপ্রধানকে সব সময় বলতে শুনি- জলাশয়ে কোনো উন্নয়ন নয়। জলাশয়ে শুধু বেসরকারি কোম্পানি কিংবা ভূমিদস্যূরা প্রকল্প নিচ্ছে না; খোদ সরকারও বন্যাপ্রবাহ এলাকা, ঝিল, খালে প্রকল্প নিচ্ছে। বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরও প্রভাবশালীদের হাত থেকে মেঘনা নদীকে আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা অনেক লড়াই করে বিজিএমইএ ভবন সরিয়েছি। কিন্তু সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে খুঁটি গাড়া হচ্ছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার যদি নিজের আইন ও পরিকল্পনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়, তার আইনকে যদি সম্মান না করে লঙ্ঘন করে, তাহলে বেসরকারি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার নৈতিক শক্তি সরকার হারিয়ে ফেলে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পের পুরোটা বন্যাপ্রবাহ এলাকাতেই হয়েছে।
রিজওয়ানা আক্ষেপ করে বলেন, আইন ভাঙলে যাদের কাছে আমরা যাব; সেই সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেরাই আইন ভাঙলে মানুষের অসহায়ত্ব অনেক বেড়ে যায়। আর এই নগরীকে বাসযোগ্য করতে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, সে লড়াইয়ে আমরা অনেক ধাপ পিছিয়ে যাই। তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিশ্রæতি, আদালতের নির্দেশ, দেশের প্রধান নির্বাহীর একের পর এক নির্দেশের পরও জলাশয় ভরাট হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। তখন ধরেই নিতে হবে, আসলে সত্যিকার অর্থে জলাশয় রক্ষার জন্য যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রæতি ও প্রত্যয়ের প্রয়োজন, সেটি আমাদের নেই। (দৈনিক সমকাল)