‘যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিতে কিউবায় পরমাণু বোমা মোতায়েন করুন’

- প্রকাশের সময় : ১২:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৬৫ বার পঠিত
কিউবাসহ যুক্তরাষ্ট্রের আশপাশের দেশগুলোতে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাশিয়ার সংসদ সদস্য অ্যালেক্সি জুরাভলেভ। তিনি বলেন, রাশিয়াকে লক্ষ্য করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার জবাবে মস্কোরও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সোমবার এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
শনিবারের ওই প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফ জানায়, ব্রিটেনে আবারও পরমাণু বোমা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গেলো ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে ওয়াশিংটন। জুরাভলেভ বলেন, ব্রিটেনের নিজেরই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তারপরেও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্রিটেনসহ রাশিয়ার কাছাকাছি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করছে। তাই ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে কিউবা, ভেনিজুয়েলা এবং নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলোতে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা উচিত। রাশিয়ার হাতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র সাবসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দ্রুতগতিতে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
এর আগে টেলিগ্রাফ জানায়, সাফোকের ল্যাকেনহেথের রয়্যাল এয়ারফোর্স স্টেশনে একটি নতুন স্থাপনার জন্য চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্র আনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনার ইঙ্গিত বহন করে। রয়াল এয়ারফোর্স ল্যাকেনহেথে বি৬১-১২ বোমা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা বোমাগুলোর চেয়ে তিনগুণ বেশি ধ্বংসাত্বক। এদিকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর বহু নেতা ন্যাটো জোটকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন। ইউরোপে একটি বড় যুদ্ধ আসন্ন এমনটাও বলছেন অনেকে। গেলো সপ্তাহে অ্যাডমল রব বাউয়ার, একজন জ্যেষ্ঠ ন্যাটো সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।
একই সুরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনা সেক্রেটারি কার্লোস দেল তোরো বলেন, ব্রিটেনকে তার সশস্ত্র বাহিনীর আকার বড় করতে হবে। যদিও এ বিষয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু ওয়ারহেড ব্রিটেনে ফেরত আনা হলে মস্কোও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা পরাজিত হয়েছে। এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় তারা। সূত্র : একাত্তর টিভি।