নিউইয়র্ক ১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ড. ইউনূসকে নিয়ে ১২ সিনেটরের চিঠি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি : খুরশীদ আলম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৮২ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হেনস্তা’ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো ১২ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের চিঠি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১২ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের বক্তব্য অবান্তর, অযৌক্তিক এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে বায়াস্ট হয়ে, না জেনে, না শুনে তাদের এমন বক্তব্য দেওয়া আমি মনে করি বিচারব্যবস্থায় অযাচিত হস্তক্ষেপ।

খুরশীদ আলম খান বলেন, তারা শ্রম আদালতের রায়টি পড়ুক, বিচার বিশ্লেষণ করে তার পর বক্তব্য দিক। না পড়ে, না শুনে মন্তব্য করা সরাসরি বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের শামিল। যদিও আমরা এগুলো আমলে নেই না, পাত্তা দিই না। কোন দেশের কোন সিনেটর কি বলল আমরা সেগুলো গায়ে মাখি না।

আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে— সম্প্রতি এমন অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ১২ মার্কিন সিনেটর। চিঠিতে স্বাক্ষরিত ১২ সিনেটর হলেন— টিম কাইন, ড্যান সুলিভান, জেফরি এ মার্কেলি, এডওয়ার্ড জে মার্কি, জিন শাহীন, পিটার ওয়েলচ, শেরোড ব্রাউন, শেলডন হোয়াইটহাউস, রন ওয়াইডেন, কোরি এ বুকার।

এতে বলা হয়, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্রমাগত হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে, যা এখনো প্রমাণিত হয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের যুক্তি, রাজনৈতিকভাবে ফৌজদারি কার্যধারা ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ড. ইউনূসের মতো ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধ পরিবেশে বাংলাদেশি সুশীল সমাজের অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছে।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পরে ওই দিন এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মামলায় রায় ঘোষণার পর এ আদেশ দেন আদালত। এদিকে শ্রম আদালতের সব সার্টিফায়েড নথি বারবার চাওয়ার পরও না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের আইনজীবী। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ড. ইউনূস আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূসকে নিয়ে ১২ সিনেটরের চিঠি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি : খুরশীদ আলম

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক :  শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হেনস্তা’ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো ১২ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের চিঠি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১২ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের বক্তব্য অবান্তর, অযৌক্তিক এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে বায়াস্ট হয়ে, না জেনে, না শুনে তাদের এমন বক্তব্য দেওয়া আমি মনে করি বিচারব্যবস্থায় অযাচিত হস্তক্ষেপ।

খুরশীদ আলম খান বলেন, তারা শ্রম আদালতের রায়টি পড়ুক, বিচার বিশ্লেষণ করে তার পর বক্তব্য দিক। না পড়ে, না শুনে মন্তব্য করা সরাসরি বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের শামিল। যদিও আমরা এগুলো আমলে নেই না, পাত্তা দিই না। কোন দেশের কোন সিনেটর কি বলল আমরা সেগুলো গায়ে মাখি না।

আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হেনস্তা’ করা হচ্ছে— সম্প্রতি এমন অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ১২ মার্কিন সিনেটর। চিঠিতে স্বাক্ষরিত ১২ সিনেটর হলেন— টিম কাইন, ড্যান সুলিভান, জেফরি এ মার্কেলি, এডওয়ার্ড জে মার্কি, জিন শাহীন, পিটার ওয়েলচ, শেরোড ব্রাউন, শেলডন হোয়াইটহাউস, রন ওয়াইডেন, কোরি এ বুকার।

এতে বলা হয়, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্রমাগত হয়রানি বন্ধ করার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে, যা এখনো প্রমাণিত হয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের যুক্তি, রাজনৈতিকভাবে ফৌজদারি কার্যধারা ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ড. ইউনূসের মতো ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধ পরিবেশে বাংলাদেশি সুশীল সমাজের অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছে।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পরে ওই দিন এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মামলায় রায় ঘোষণার পর এ আদেশ দেন আদালত। এদিকে শ্রম আদালতের সব সার্টিফায়েড নথি বারবার চাওয়ার পরও না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের আইনজীবী। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ড. ইউনূস আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন