নিউইয়র্ক ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৈষম্য বাড়ছে! প্রথম ট্রিলিনিয়রের দেখা মিলবে কত সালে জানালো অক্সফাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৭ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ২০২০ সালের পর বিশ্বের সবথেকে ধনী পাঁচ ব্যক্তির সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আর একই সময়ে বিশ্বের পাঁচ বিলিয়ন মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত দাতব্য সংস্থা অক্সফামের একটি নতুন প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। দরিদ্রদের সম্পদ দিনে দিনে জমা হচ্ছে ধনীদের হাতে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ধারা চলতে থাকলে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৪ সালের মধ্যেই বিশ্ব প্রথম ট্রিলিনিয়রের দেখা পাবে। আর বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূর হতে লাগবে ২২৯ বছর।

অক্সফামের রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের সম্মিলিত সম্পদ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আর্নল্ট, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং প্রবীণ বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী ব্যক্তি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি ঘণ্টায় তাদের সম্পদ বাড়ছে ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে।

প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে, বিশ্বের দশটি বৃহত্তম কর্পোরেশনের মূল্য ১০.২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সমস্ত দেশের সম্মিলিত জিডিপি-র সমান। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্র্বতীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার বলেন, আমরা বৈষম্যের একটি নতুন দশকের সূচনা প্রত্যক্ষ করছি।

কোটি কোটি মানুষ মহামারী, মুদ্রাস্ফীতি এবং যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু অপরদিকে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েই চলেছে। এই বৈষম্য কোন দুর্ঘটনা নয়, বিলিয়নিয়ার শ্রেণী নিশ্চিত করছে যাতে সম্পদ তাদের হাতে জমা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ধনীদের কাছে চরম হারে সম্পদ জমা হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য প্রাক-মহামারী স্তরে আটকে আছে। ২০২০ সালের তুলনায় বিলিয়নিয়াররা এখন ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ধনী। তাদের সম্পদ বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি। বেহার বলেন, কর্পোরেট সংস্থাগুলো হল একটি বৈষম্য-উৎপন্নকারী যন্ত্র। তারা কর্মীদের চাপা দিয়ে, কর ফাঁকি দিয়ে, রাষ্ট্রকে বেসরকারীকরণ করে এবং জলবায়ু ধ্বংসকে উৎসাহিত করে ক্রমশ ধনী হয়ে চলেছে। কর্পোরেশনগুলি তাদের অতি-ধনী মালিকদের কাছে অফুরন্ত সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে যারা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তারা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে ৮০০ মিলিয়ন শ্রমিকের সম্পদ গত দুই বছরে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে। একেক জন শ্রমিকের ২৫ দিনের মজুরি হারিয়ে গেছে। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৈষম্য বাড়ছে! প্রথম ট্রিলিনিয়রের দেখা মিলবে কত সালে জানালো অক্সফাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ২০২০ সালের পর বিশ্বের সবথেকে ধনী পাঁচ ব্যক্তির সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আর একই সময়ে বিশ্বের পাঁচ বিলিয়ন মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত দাতব্য সংস্থা অক্সফামের একটি নতুন প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। দরিদ্রদের সম্পদ দিনে দিনে জমা হচ্ছে ধনীদের হাতে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ধারা চলতে থাকলে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৪ সালের মধ্যেই বিশ্ব প্রথম ট্রিলিনিয়রের দেখা পাবে। আর বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূর হতে লাগবে ২২৯ বছর।

অক্সফামের রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের সম্মিলিত সম্পদ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আর্নল্ট, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং প্রবীণ বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী ব্যক্তি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি ঘণ্টায় তাদের সম্পদ বাড়ছে ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে।

প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে, বিশ্বের দশটি বৃহত্তম কর্পোরেশনের মূল্য ১০.২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সমস্ত দেশের সম্মিলিত জিডিপি-র সমান। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্র্বতীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার বলেন, আমরা বৈষম্যের একটি নতুন দশকের সূচনা প্রত্যক্ষ করছি।

কোটি কোটি মানুষ মহামারী, মুদ্রাস্ফীতি এবং যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু অপরদিকে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বেড়েই চলেছে। এই বৈষম্য কোন দুর্ঘটনা নয়, বিলিয়নিয়ার শ্রেণী নিশ্চিত করছে যাতে সম্পদ তাদের হাতে জমা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে ধনীদের কাছে চরম হারে সম্পদ জমা হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য প্রাক-মহামারী স্তরে আটকে আছে। ২০২০ সালের তুলনায় বিলিয়নিয়াররা এখন ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ধনী। তাদের সম্পদ বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি। বেহার বলেন, কর্পোরেট সংস্থাগুলো হল একটি বৈষম্য-উৎপন্নকারী যন্ত্র। তারা কর্মীদের চাপা দিয়ে, কর ফাঁকি দিয়ে, রাষ্ট্রকে বেসরকারীকরণ করে এবং জলবায়ু ধ্বংসকে উৎসাহিত করে ক্রমশ ধনী হয়ে চলেছে। কর্পোরেশনগুলি তাদের অতি-ধনী মালিকদের কাছে অফুরন্ত সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে যারা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তারা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে ৮০০ মিলিয়ন শ্রমিকের সম্পদ গত দুই বছরে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে। একেক জন শ্রমিকের ২৫ দিনের মজুরি হারিয়ে গেছে। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন