উচ্চতা বাড়ছে হিমালয়ের, দুই টুকরো হয়ে যাচ্ছে তিব্বত!
- প্রকাশের সময় : ০৬:০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৬৯ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে মাটির স্তর উঠে আসছে ক্রমশ। মাটির নিচে থাকা মহাদেশীয় টেকটোনিক প্লেটে ফাটল ধরার ফলেই এমন ঘটছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
বুধবার লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট দুই টুকরো হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর এতেই হিমালয় পর্বতের উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে। তবে বিষয়টি আরও একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ভূবিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, টেকটোনিক প্লেটে ফাটল ধরে হিমালয়ের উচ্চতা বাড়লেও দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে তিব্বত অঞ্চল।
আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে এ-সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্র তুলে ধরা হয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু হিমালয় পর্বতমালার নিচে, ভূগর্ভে বড় ধরনের ওঠানামা শুরু হয়েছে।
বিষয়টিকে অত্যন্ত জটিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, দুই মহাদেশীয় প্লেট, ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ফলে খোসা ছাড়ানোর মতো মাটির স্তর ওপরের দিকে উঠে আসছে, যার ফলে হিমালয় পর্বতমালার উচ্চতা বাড়ছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাসাগরীয় ও মহাদেশীয় প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হলে যে প্লেটের ঘনত্ব বেশি, সেটি হালকা পাতের নিচে ঢুকে যায়। আর যদি দুই প্লেটের ঘনত্ব সমান হয়, সে ক্ষেত্রে আগে থেকে ধারণা করার উপায় থাকে না কোন প্লেট নিচে থাকবে আর কোনটি ওপরে উঠে আসবে। হিমালয় অঞ্চলের মাটির নিচেও ঠিক তেমনই এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ঘনত্বের বিচারে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের তুলনায় ঘনত্ব বেশি। এমন হলে ইউরেশীয় প্লেটের নিচে ঢুকে যেতে পারে ভারতীয় প্লেটটি।
বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের তুলনামূলক নিচু এলাকাগুলো মাটিতে বসে যাচ্ছে। আর ওপরের অংশ তিব্বতের ভার সহ্য করেও টিকে রয়েছে। এর ফলেই মাটির স্তর ফুলে উঠছে এবং উচ্চতা বাড়ছে হিমালয়ের।
সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেক্ট ইউনিভার্সিটির জিওডায়নামিসিস্ট ডুয়ে ভ্যান হিন্সবার্গেন বলেন, ‘মহাদেশ যে এমন আচরণ করতে পারে, ধারণা ছিল না আমাদের।’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিপথ খতিয়ে দেখে বিষয়টি নজরে এসেছে তাঁদের। ভারত মহাদেশীয় প্লেটের ওপরের অংশে চিড় ধরেছে বলে ধরা পড়েছে গবেষণায়। কিছু স্থানে ভারত মহাদেশীয় পাতের নিচের অংশ প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীর। আবার কিছু জায়গায় গভীরতা মাত্র ১০০ কিলোমিটার। তাই উঁচু অংশটি আসল অবস্থান থেকে ওপরের দিকে উঠে এসেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। সূত্র : আজকের পত্রিকা
হককথা/নাছরিন