নিউইয়র্ক ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আতিকুর রহমান সালু ছিলেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৬৬ বার পঠিত

প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালুর সর্বজনীন স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধীতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তার সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বক্তরা আরও বলেন, দেশ প্রেমিক সালু যেমন দেশের মঙ্গলের জন্য দেশে আন্দোলন করেছেন, তেমনি প্রবাসে এসেও প্রবাসীদের কল্যাণেও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।গত ৭ জানুয়ারী রোববার আতিকুর রহমান সালু শোক পালন কমিটির উদ্যোগে সিটির উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসে সর্বজনীন সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং আতিকুর রহমান সালুর সহযোদ্ধা আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান।

শোক পালন কমিটির সদস্য সচিব আলী ইমাম শিকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব সাংবাদিক ইমরান আনসারী ও মোহাম্মদ আলীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, আজকাল প্রকাশক শাহ নেওয়াজ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা. এম বিল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, ওয়াহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান ও সুব্রত চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ফার্মাসিস্ট নূরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ মাফ মিসবাহ উদ্দিন, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জামান তপন, সউদ চৌধুরী ও ফারুক হোসেন মজুমদার, ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারী কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, সন্দ্বীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ইকবাল হায়দার, আক্তারুজ্জামান হ্যাপি, দেলোয়ার হোসেন শিপন, আনোয়ার হোসেন লিটন, তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, আমিন মেহেদী বাবু, জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর সৈয়দ আজাদ, সালেহ আহমেদ মানিক, নাজমুল আলম শ্যামল, বেলাল মাহমুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ, রফিকুল মাওলা প্রমুখ।অনুষ্ঠানে আতিকুর রহমান সালুর লেখা কবিতা পাঠ করেন মোহাম্মদ সাদেক এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ফায়েক উদ্দিন।

সভায় সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধীতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধুর সময় আমাদের ফাক্কার পানি চুক্তি হয়েছিল ভারতের সঙ্গে, পরবর্তীতেও চুক্তি হয় কিন্তু ভারত কখনো আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। রাষ্ট্র কখনো এর প্রতিবাদ করতে পারেনি, তবে এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল। এসবের বিরোধিতা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার থাকতে হবে। তিনি বলেন, আতিকু রহমান সালুর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু তিনি ছিলে এক খাঁটি দেশপ্রেমিক।

তিনি প্রবাসের রাজনীতি নিয়ে বলেন, প্রবাসে প্রায় দেড় লাখ প্রবাসী রয়েছেন তারাও দেশের ন্যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্ত দেশের স্বার্থে আমরা এক হতে পারছি না। এ নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, আতিকুর রহমান সালু সবকিছু স্বচ্ছভাবে দেখলে পারতেন। আল্লাহ তাকে সেই রাডার দিয়েছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন এটাই করতেন এবং বলতেন। তিনি বলেন, আমি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলতে পারি, এখন ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজকেও একজন বললেন মাওলানা ভাসানী উর্দু জানতেন না, এটা ঠিক নয়, তিনি কয়েকটি ভাষা জানতেন। পরে তিনি আতিকুর রহমান সালুকে নিয়ে তার বন্ধু ড. মনিরুল কাদের মির্জার লেখা অসমাপ্ত একটি কবিতা পাঠ করে শুনান।

ফখরুল আলম বলেন, আমরা শুনে আসছি মৃত্যু নাকি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ কলে কিন্তু আজকে আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না। কারণ আমি এখানের উপস্থিতিতে বিভাজনের চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, অসুস্থ্য আতিকুর রহমান সালুকে আমরা কয়জন দেখতে গিয়েছি? আমারও যাওয়া হয়নি, তকে তার মেয়ের মৃত্যুর পর গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সালু একজন সংগ্রামী মানুষ ছিলেন। সারা জীবন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

শোক সভার সভাপতি সৈয়দ টিপু সুলতান অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান সালু ইউসুফজাই স্মরণে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এই প্রকাশনা কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন মনজুর আহমদ, বেলাল মোহাম্মদ ও মঈনুদ্দীন নাসের।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আতিকুর রহমান সালু ছিলেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালুর সর্বজনীন স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধীতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তার সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বক্তরা আরও বলেন, দেশ প্রেমিক সালু যেমন দেশের মঙ্গলের জন্য দেশে আন্দোলন করেছেন, তেমনি প্রবাসে এসেও প্রবাসীদের কল্যাণেও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।গত ৭ জানুয়ারী রোববার আতিকুর রহমান সালু শোক পালন কমিটির উদ্যোগে সিটির উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসে সর্বজনীন সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং আতিকুর রহমান সালুর সহযোদ্ধা আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান।

শোক পালন কমিটির সদস্য সচিব আলী ইমাম শিকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব সাংবাদিক ইমরান আনসারী ও মোহাম্মদ আলীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ, আজকাল প্রকাশক শাহ নেওয়াজ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসের, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা. এম বিল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, ওয়াহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান ও সুব্রত চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, ফার্মাসিস্ট নূরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ মাফ মিসবাহ উদ্দিন, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জামান তপন, সউদ চৌধুরী ও ফারুক হোসেন মজুমদার, ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারী কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, সন্দ্বীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ইকবাল হায়দার, আক্তারুজ্জামান হ্যাপি, দেলোয়ার হোসেন শিপন, আনোয়ার হোসেন লিটন, তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, আমিন মেহেদী বাবু, জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর সৈয়দ আজাদ, সালেহ আহমেদ মানিক, নাজমুল আলম শ্যামল, বেলাল মাহমুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ, রফিকুল মাওলা প্রমুখ।অনুষ্ঠানে আতিকুর রহমান সালুর লেখা কবিতা পাঠ করেন মোহাম্মদ সাদেক এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ফায়েক উদ্দিন।

সভায় সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিবাদ এবং বিরোধীতা করতে হবে। আতিকুর রহমান সালু দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই ফারাক্কা নিয়ে লড়াই করেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তাঁর সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধুর সময় আমাদের ফাক্কার পানি চুক্তি হয়েছিল ভারতের সঙ্গে, পরবর্তীতেও চুক্তি হয় কিন্তু ভারত কখনো আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। রাষ্ট্র কখনো এর প্রতিবাদ করতে পারেনি, তবে এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল। এসবের বিরোধিতা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার থাকতে হবে। তিনি বলেন, আতিকু রহমান সালুর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু তিনি ছিলে এক খাঁটি দেশপ্রেমিক।

তিনি প্রবাসের রাজনীতি নিয়ে বলেন, প্রবাসে প্রায় দেড় লাখ প্রবাসী রয়েছেন তারাও দেশের ন্যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিভক্ত দেশের স্বার্থে আমরা এক হতে পারছি না। এ নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।মঈনুদ্দীন নাসের বলেন, আতিকুর রহমান সালু সবকিছু স্বচ্ছভাবে দেখলে পারতেন। আল্লাহ তাকে সেই রাডার দিয়েছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন এটাই করতেন এবং বলতেন। তিনি বলেন, আমি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলতে পারি, এখন ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজকেও একজন বললেন মাওলানা ভাসানী উর্দু জানতেন না, এটা ঠিক নয়, তিনি কয়েকটি ভাষা জানতেন। পরে তিনি আতিকুর রহমান সালুকে নিয়ে তার বন্ধু ড. মনিরুল কাদের মির্জার লেখা অসমাপ্ত একটি কবিতা পাঠ করে শুনান।

ফখরুল আলম বলেন, আমরা শুনে আসছি মৃত্যু নাকি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ কলে কিন্তু আজকে আমার কাছে তা মনে হচ্ছে না। কারণ আমি এখানের উপস্থিতিতে বিভাজনের চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, অসুস্থ্য আতিকুর রহমান সালুকে আমরা কয়জন দেখতে গিয়েছি? আমারও যাওয়া হয়নি, তকে তার মেয়ের মৃত্যুর পর গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আতিকুর রহমান সালু একজন সংগ্রামী মানুষ ছিলেন। সারা জীবন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

শোক সভার সভাপতি সৈয়দ টিপু সুলতান অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান সালু ইউসুফজাই স্মরণে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এই প্রকাশনা কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন মনজুর আহমদ, বেলাল মোহাম্মদ ও মঈনুদ্দীন নাসের।