নিউইয়র্ক ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কারাবন্দি দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিলো ইরান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৭ বার পঠিত

জামিনে মুক্ত সাংবাদিক নিলুফার হামিদি ও এলাহেহ মোহাম্মাদি ছবি : বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় এক বছর পর কারাবন্দি দুই নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান সরকার। এর আগে ইরানি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু ও তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনের খবর প্রকাশ করার কারণে তাদের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত।

দুই নারী সাংবাদিক নিলুফার হামিদি (৩১) ও এলাহেহ মোহাম্মাদি (৩৬) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে ইরানের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই সাংবাদিক তাদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবেন।

হিজাব ঠিকমতো না পরা ও দেশটির কঠোর নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি তরুণী মাশা আমিনিকে গ্রেফতার করে তেহরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিন দিন কোমায় থাকার পর মারা যান তিনি।

মাশা আমিনিকে দাফন করার পর থেকে তার শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পুরো ইরানে ছড়িয়ে পড়ে। মাশার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন নারী স্বাধীনতা ও ইরান সরকারের পতনের দাবিতে পরিণত হয়। ২০২২ সালের শেষের দিকে টানা কয়েক মাস ধরে চলে তীব্র এ আন্দোলন।

মাশার পরিবার অভিযোগ করেছিল, গ্রেফতারের সময় পুলিশ মাশার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যান। সেখান থেকে আর জেগে ওঠেননি এই কুর্দি তরুণী। ইরান সরকারের প্রধান চিকিৎসক মাশা আমিনির মৃত্যু আগে থেকেই অসুস্থতার জন্য হয়েছে দাবি করলেও, জাতিসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে মাশা মারা গেছেন পুলিশের পিটুনির কারণে।

মুক্তি পাওয়া নিলুফার হামিদি দেশটির সংস্কারপন্থি একটি পত্রিকায় কাজ করতেন। তিনিই প্রথম মাশা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন।

আর এলাহেহ মোহাম্মাদি কাজ করতেন একটি সংস্কারপন্থি পত্রিকায়। তিনি মাশার দাফনের দিন তার নিজ শহর সাকেজ থেকে খবর সংগ্রহ করে জানান কীভাবে শত শত মানুষ মাশার দাফনের দিন তার জন্য কেঁদেছে এবং ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদ করেছিল।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই হামিদি ও মোহাম্মাদিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইরানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়। হামিদিকে ১৩ বছর ও মোহাম্মাদিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিবিসি আরও জানায়, দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে হামিদি ও মোহাম্মাদি জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কারাবন্দি দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিলো ইরান

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় এক বছর পর কারাবন্দি দুই নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান সরকার। এর আগে ইরানি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু ও তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনের খবর প্রকাশ করার কারণে তাদের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত।

দুই নারী সাংবাদিক নিলুফার হামিদি (৩১) ও এলাহেহ মোহাম্মাদি (৩৬) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে ইরানের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই সাংবাদিক তাদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং আদালতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবেন।

হিজাব ঠিকমতো না পরা ও দেশটির কঠোর নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি তরুণী মাশা আমিনিকে গ্রেফতার করে তেহরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিন দিন কোমায় থাকার পর মারা যান তিনি।

মাশা আমিনিকে দাফন করার পর থেকে তার শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পুরো ইরানে ছড়িয়ে পড়ে। মাশার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন নারী স্বাধীনতা ও ইরান সরকারের পতনের দাবিতে পরিণত হয়। ২০২২ সালের শেষের দিকে টানা কয়েক মাস ধরে চলে তীব্র এ আন্দোলন।

মাশার পরিবার অভিযোগ করেছিল, গ্রেফতারের সময় পুলিশ মাশার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে কোমায় চলে যান। সেখান থেকে আর জেগে ওঠেননি এই কুর্দি তরুণী। ইরান সরকারের প্রধান চিকিৎসক মাশা আমিনির মৃত্যু আগে থেকেই অসুস্থতার জন্য হয়েছে দাবি করলেও, জাতিসংঘের এক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে মাশা মারা গেছেন পুলিশের পিটুনির কারণে।

মুক্তি পাওয়া নিলুফার হামিদি দেশটির সংস্কারপন্থি একটি পত্রিকায় কাজ করতেন। তিনিই প্রথম মাশা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন।

আর এলাহেহ মোহাম্মাদি কাজ করতেন একটি সংস্কারপন্থি পত্রিকায়। তিনি মাশার দাফনের দিন তার নিজ শহর সাকেজ থেকে খবর সংগ্রহ করে জানান কীভাবে শত শত মানুষ মাশার দাফনের দিন তার জন্য কেঁদেছে এবং ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদ করেছিল।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই হামিদি ও মোহাম্মাদিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইরানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়। হামিদিকে ১৩ বছর ও মোহাম্মাদিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিবিসি আরও জানায়, দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে হামিদি ও মোহাম্মাদি জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

হককথা/নাছরিন