মেক্সিকো সীমান্ত আবারও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসী ঢল ঠেকাতে সম্প্রতি মেক্সিকোর সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কয়েক হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। এত মানুষ একসঙ্গে সীমান্তে এসে এর আগে কখনো দাঁড়াননি। তারা সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চান।

এমন অবস্থায় সেখানে যান যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। এরপরেই একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো জানায়, সীমান্ত আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ঘরে বাইরে তুমুল চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসন। একদিকে মেক্সিকো সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে; অন্যদিকে রিপাবলিকানদের দাবি, সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে ইউক্রেনে যে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে, সেই বাজেট কমিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষিত করতে হবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষে এখন রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে প্রবল চাপের মুখে বাইডেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে নিয়মিত ট্রেন চলে। একাধিক সেতু আছে। যেখান দিয়ে সীমান্ত পারাপার হয়। বৈধ সেই রাস্তাগুলো নতুন করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকো তাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দুদেশ ঠিক করেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে দুদেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হবে।

মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা মেক্সিকোয় এসে ভিড় জমান। তারা মেক্সিকো দিয়ে অবৈধ রাস্তা ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে সম্প্রতি যে পরিমাণ মানুষকে সীমান্তে মিছিল করে আসতে দেখা গেছে, তা অভূতপূর্ব। ওই দৃশ্য দেখেই প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ

সায়মা/হককথা