যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসা নীতি ভুয়া কি না বিষয়টি নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের (ভিসা নীতি) আওতায় পড়ে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছে, এখন এ প্রশ্নটা তাদেরকেই করা উচিত। এ প্রশ্নের জবাব আমার দেওয়ার কিছু নাই। সেটার জবাবে তারা কোন কৌশল অবলম্বন করেছে, জানি না। আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার, পিসফুল, ক্রেডিবল ইলেকশন চাই।’

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ‘ভুয়া’ কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনো সময় আছে। তারা যা বলেছে, কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না—সেটা দেখার এখনো সময় আছে। একটু ধৈর্য ধরুন। সেটা দেখার এখনো সময় আছে।’

‘এখন রুটিন ওয়ার্ক, প্রার্থীদের আয় অস্বাভাবিক হলেও সরকারের কিছু করার নেই’‘এখন রুটিন ওয়ার্ক, প্রার্থীদের আয় অস্বাভাবিক হলেও সরকারের কিছু করার নেই’
নির্বাচনে ভোটার টানার কৌশল জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে কোনো জবরদস্তি নাই। কৌশলটা মানুষকে বোঝানো যে আপনাদের ভোটকেন্দ্রে আসা প্রয়োজন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। দেশের পরিস্থিতিতে, এই জনগণের অসহযোগিতা বা জনসমর্থনের অভাবেই বিএনপি আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। জনসমর্থন ছিল না বলেই তারা তাদের আন্দোলনকে আর টেনে নিয়ে যেতে পারেনি।’

অনেক স্থানে নৌকার প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধা দিয়েছে বা দিচ্ছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী কেউ বয়কট করবে না। ইলেকশনে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, সে জন্য বয়কট করতে হবে না।’

দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনকার বার্নিং ইস্যু দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি আছে। পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরে ২০ লাখ। এটা আমাদের একটা লক্ষ্য।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা

সায়মা/হককথা