নিউইয়র্ক ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর কানাডায় শিখ নেতা হত্যাকাণ্ড নিয়ে নরম সুর ভারতের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮২ বার পঠিত

এক ফ্রেমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: এক্স

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার মাটিতে এক শিখ নেতাকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত ছিল—অটোয়া এমন অভিযোগ তুললেও বিষয়টি খুব একটা আমলে নেয়নি ভারত। কিন্তু কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আরেক শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের যোগসাজশ আবিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগের পর থেকেই কানাডার অভিযোগের বিষয়েও সুর বদলে গেছে ভারতের। এমনটাই দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

কানাডার সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, দুই মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন, তার বিপরীতে ভারত যেভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করার পর ভারত যথেষ্ট সংযম দেখানো শুরু করেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অবস্থায় আমি মনে করি, এখন একটি বোঝাপড়ার সূচনা হয়েছে। তারা (ভারত) বুঝতে পেরেছে যে, তারা যেভাবে কাজ করছিল, এর মাধ্যমে তাদের পথ পরিষ্কার করতে পারবে না। তারা এটিও বুঝতে পেরেছে যে, এমনভাবে সহযোগিতা করার জন্য একটি পথ উন্মুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় তারা আগে আরও বেশি সংকীর্ণ অবস্থানে ছিল।’

বিষয়টি খোলাসা করতে বললে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ভারত) সম্ভবত এখন বুঝতে পেরেছে যে, কানাডার বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণানোর মাধ্যমে এই সমস্যা দূর হবে না।’ এই অবস্থায় নয়াদিল্লির এ বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, ‘আমি বলব না যে পরিবর্তন এসেছে, তবে সম্ভবত তাদের সুর আগের চেয়ে নরম হয়েছে।’ এ সময় তিনি জানান, কানাডা ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চায় না, তবে আইনের শাসন বজায় রাখা কানাডার অন্যতম মৌলিক অগ্রাধিকার।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে চাই না। আমরা সেই বাণিজ্য চুক্তিতে কাজ করতে চাই। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু কানাডার জন্য জনগণের অধিকার, জনগণের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়ানো অন্যতম মৌলিক অগ্রাধিকার এবং আমরা এটিকে সমুন্নত রাখব।’

গত সেপ্টেম্বরে ট্রুডো কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে, কানাডীয় নাগরিক হরদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টদের হাত রয়েছে এবং এসংক্রান্ত প্রমাণ কানাডার কাছে রয়েছে। সেই ঘটনার জের ধরে উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। ভারত তো এক ধাপ এগিয়ে কানাডীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।

সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা নতুন অভিযোগে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং এই পরিকল্পনার সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্ত জড়িত ছিলেন। নিখিলের সূত্র ধরে এই পরিকল্পনার সঙ্গে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা। তবে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর কানাডায় শিখ নেতা হত্যাকাণ্ড নিয়ে নরম সুর ভারতের

প্রকাশের সময় : ০৬:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার মাটিতে এক শিখ নেতাকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত ছিল—অটোয়া এমন অভিযোগ তুললেও বিষয়টি খুব একটা আমলে নেয়নি ভারত। কিন্তু কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আরেক শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের যোগসাজশ আবিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগের পর থেকেই কানাডার অভিযোগের বিষয়েও সুর বদলে গেছে ভারতের। এমনটাই দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

কানাডার সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, দুই মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন, তার বিপরীতে ভারত যেভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করার পর ভারত যথেষ্ট সংযম দেখানো শুরু করেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অবস্থায় আমি মনে করি, এখন একটি বোঝাপড়ার সূচনা হয়েছে। তারা (ভারত) বুঝতে পেরেছে যে, তারা যেভাবে কাজ করছিল, এর মাধ্যমে তাদের পথ পরিষ্কার করতে পারবে না। তারা এটিও বুঝতে পেরেছে যে, এমনভাবে সহযোগিতা করার জন্য একটি পথ উন্মুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় তারা আগে আরও বেশি সংকীর্ণ অবস্থানে ছিল।’

বিষয়টি খোলাসা করতে বললে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ভারত) সম্ভবত এখন বুঝতে পেরেছে যে, কানাডার বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণানোর মাধ্যমে এই সমস্যা দূর হবে না।’ এই অবস্থায় নয়াদিল্লির এ বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, ‘আমি বলব না যে পরিবর্তন এসেছে, তবে সম্ভবত তাদের সুর আগের চেয়ে নরম হয়েছে।’ এ সময় তিনি জানান, কানাডা ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চায় না, তবে আইনের শাসন বজায় রাখা কানাডার অন্যতম মৌলিক অগ্রাধিকার।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে চাই না। আমরা সেই বাণিজ্য চুক্তিতে কাজ করতে চাই। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু কানাডার জন্য জনগণের অধিকার, জনগণের নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়ানো অন্যতম মৌলিক অগ্রাধিকার এবং আমরা এটিকে সমুন্নত রাখব।’

গত সেপ্টেম্বরে ট্রুডো কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে, কানাডীয় নাগরিক হরদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টদের হাত রয়েছে এবং এসংক্রান্ত প্রমাণ কানাডার কাছে রয়েছে। সেই ঘটনার জের ধরে উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। ভারত তো এক ধাপ এগিয়ে কানাডীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।

সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা নতুন অভিযোগে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ আন্দোলনের নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং এই পরিকল্পনার সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্ত জড়িত ছিলেন। নিখিলের সূত্র ধরে এই পরিকল্পনার সঙ্গে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা। তবে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

হককথা/নাছরিন