নিউইয়র্ক ০৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মুকুট পরার লড়াই বাংলাদেশের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৮ বার পঠিত

হোক না যুব এশিয়া কাপ, তবু ফাইনাল তো। দুবাইয়ে ছোট ভাইদের সাফল্য তাই ছুঁয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডে থাকা বড় ভাইদের। এক ভিডিও বার্তায় সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর জন্য মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তদের শুভেচ্ছা বার্তায় সিক্ত হয়েছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি, মারুফ মৃধারা। বড় ভাইয়েরা আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফাইনালের জন্যও শুভ কামনা জানিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

সবার শুভেচ্ছা বার্তার সারমর্ম, সবচেয়ে বড় বাধা ভারতকে তো সেমিফাইনালেই রুখে দেওয়া গেছে। শেষ ধাপে এসে শিরোপাটা যেন হাতছাড়া না করেন বাংলাদেশের যুবারা। এর মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের কথাটার একটি আলাদা তাৎপর্য আছে। তা কী বলেছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটার? ছোট ভাইদের উদ্দেশে তাওহিদ বলেছেন, ‘আশা করি, তোমরা এশিয়া কাপটা জিততে পারবা।

সবচেয়ে বড় কথা, আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কখনো এশিয়া কাপ জিতিনি। একবার ফাইনালে হেরেছিলাম। আশা করি, তোমরা এবার এশিয়া কাপের ট্রফিটা জিতবে।’ প্রেক্ষাপট জানা থাকলে তাওহিদের কথার অন্তর্নিহিত ব্যাপারটা যে কারো অনুভব করতে পারার কথা।

বিস্ময়কর হলেও তো সত্য, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেলেও এশিয়া কাপের শিরোপা ছোঁয়া হয়নি। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপ শিরোপা উৎসব করে বাংলাদেশ। ঠিক এর আগের বছর শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের যুবাদের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরেছিল বাংলাদেশ। ৫ রানের সেই হারে হৃদয় ভেঙেছিল তাওহিদদের। হৃদয়ভাঙার গল্পটা পরে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁরা বিশ্ব জয়ের গল্পে রূপ দিতে পেরেছিলেন।

ওই একবারই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এই আসরে বরাবরই ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য। ৯ আসরের আটটিতেই ফাইনাল খেলেছে তারা। আটটিতেই শিরোপা উৎসব করেছেন ভারতের যুবারা। একটিতে অবশ্য পাকিস্তানের যুবাদের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়েছিল। ২০১২ সালে সেই আসরে মালয়েশিয়ার কিনারা ওভালে ম্যাচ টাই হওয়ার পর দুই দল ট্রফি ভাগাভাগি করেছিল।

বাকি একটি আসরের শিরোপা গেছে আফগানিস্তানের ঘরে। উপমহাদেশের টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে পারেনি। এবার সেই খরা ঘোচানোর পালা। আর এক ধাপ পেরোলে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপা উৎসবের উপলক্ষ পাবে বাংলাদেশ। যুব বিশ্বকাপের আগে যেটা বড় টনিক হবে মাহফুজুর-মারুফদের জন্য। যে দাপুটে ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে, শিরোপা তারা ‘ডিজার্ভ’ করে বলে শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন মুশফিক। মুশফিক খুব একটা ভুল বলেননি।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ দল। একদিন ব্যাটাররা তো আরেক দিন বোলাররা জয়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের আশিকুর রহমান শিবলি (২৪৯)। সেমিতে রান না পেলেও আজ তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে সেরা সাতের মধ্যে আছেন মাহফুজুর ও মারুফ।

তবে আমিরাতকেও একদম উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ফাইনালের আগে চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে তারা। একদিক দিয়ে তারাও অপরাজিত। টুর্নামেন্টে তাদের একমাত্র হারটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে সেই হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতেছেন আমিরাতের যুবারা। তাঁদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তো টাটকাই। সেমিফাইনালে অল্প পুঁজি নিয়েও পাকিস্তান যুবাদের বিপক্ষে প্রাণপণ লড়াই করেছেন তাঁরা, যেটা তাঁদের ১১ রানের ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছে। দুই দলই প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ট্রফিটা কোন দলকে খুঁজে নেয়! সূত্র : কালের কণ্ঠ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মুকুট পরার লড়াই বাংলাদেশের

প্রকাশের সময় : ১১:০৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

হোক না যুব এশিয়া কাপ, তবু ফাইনাল তো। দুবাইয়ে ছোট ভাইদের সাফল্য তাই ছুঁয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডে থাকা বড় ভাইদের। এক ভিডিও বার্তায় সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর জন্য মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তদের শুভেচ্ছা বার্তায় সিক্ত হয়েছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি, মারুফ মৃধারা। বড় ভাইয়েরা আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফাইনালের জন্যও শুভ কামনা জানিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

সবার শুভেচ্ছা বার্তার সারমর্ম, সবচেয়ে বড় বাধা ভারতকে তো সেমিফাইনালেই রুখে দেওয়া গেছে। শেষ ধাপে এসে শিরোপাটা যেন হাতছাড়া না করেন বাংলাদেশের যুবারা। এর মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের কথাটার একটি আলাদা তাৎপর্য আছে। তা কী বলেছেন বাংলাদেশ দলের তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটার? ছোট ভাইদের উদ্দেশে তাওহিদ বলেছেন, ‘আশা করি, তোমরা এশিয়া কাপটা জিততে পারবা।

সবচেয়ে বড় কথা, আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কখনো এশিয়া কাপ জিতিনি। একবার ফাইনালে হেরেছিলাম। আশা করি, তোমরা এবার এশিয়া কাপের ট্রফিটা জিতবে।’ প্রেক্ষাপট জানা থাকলে তাওহিদের কথার অন্তর্নিহিত ব্যাপারটা যে কারো অনুভব করতে পারার কথা।

বিস্ময়কর হলেও তো সত্য, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেলেও এশিয়া কাপের শিরোপা ছোঁয়া হয়নি। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপ শিরোপা উৎসব করে বাংলাদেশ। ঠিক এর আগের বছর শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের যুবাদের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরেছিল বাংলাদেশ। ৫ রানের সেই হারে হৃদয় ভেঙেছিল তাওহিদদের। হৃদয়ভাঙার গল্পটা পরে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁরা বিশ্ব জয়ের গল্পে রূপ দিতে পেরেছিলেন।

ওই একবারই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এই আসরে বরাবরই ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য। ৯ আসরের আটটিতেই ফাইনাল খেলেছে তারা। আটটিতেই শিরোপা উৎসব করেছেন ভারতের যুবারা। একটিতে অবশ্য পাকিস্তানের যুবাদের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়েছিল। ২০১২ সালে সেই আসরে মালয়েশিয়ার কিনারা ওভালে ম্যাচ টাই হওয়ার পর দুই দল ট্রফি ভাগাভাগি করেছিল।

বাকি একটি আসরের শিরোপা গেছে আফগানিস্তানের ঘরে। উপমহাদেশের টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে পারেনি। এবার সেই খরা ঘোচানোর পালা। আর এক ধাপ পেরোলে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপা উৎসবের উপলক্ষ পাবে বাংলাদেশ। যুব বিশ্বকাপের আগে যেটা বড় টনিক হবে মাহফুজুর-মারুফদের জন্য। যে দাপুটে ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে, শিরোপা তারা ‘ডিজার্ভ’ করে বলে শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন মুশফিক। মুশফিক খুব একটা ভুল বলেননি।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ দল। একদিন ব্যাটাররা তো আরেক দিন বোলাররা জয়ের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের আশিকুর রহমান শিবলি (২৪৯)। সেমিতে রান না পেলেও আজ তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে সেরা সাতের মধ্যে আছেন মাহফুজুর ও মারুফ।

তবে আমিরাতকেও একদম উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ফাইনালের আগে চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে তারা। একদিক দিয়ে তারাও অপরাজিত। টুর্নামেন্টে তাদের একমাত্র হারটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে সেই হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতেছেন আমিরাতের যুবারা। তাঁদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তো টাটকাই। সেমিফাইনালে অল্প পুঁজি নিয়েও পাকিস্তান যুবাদের বিপক্ষে প্রাণপণ লড়াই করেছেন তাঁরা, যেটা তাঁদের ১১ রানের ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছে। দুই দলই প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ট্রফিটা কোন দলকে খুঁজে নেয়! সূত্র : কালের কণ্ঠ।