নিউইয়র্ক ১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

লোহিত সাগরে চার যুদ্ধজাহাজ, বড় সংঘাতের আলামত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১১৭ বার পঠিত

লোহিত সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের কাছে থাকা চারটি কর্ভেট সা’র ৬-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের তিনটি লোহিত সাগরে মোতায়েন করা ছিল। এবার চতুর্থ যুদ্ধজাহাজটিকেও মোতায়েন করা হলো।

এসব কর্ভেট বা ছোট যুদ্ধজাহাজের একেকটির ওজন ২০০০ টনেরও বেশি। ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে এর ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার দুই বছর পর এ যুদ্ধজাহাজগুলো লোহিত সাগরে মোতায়েন করা হলো।

কেন এ ব্যবস্থা?
ইয়েমেনের হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরায়েলের কয়েকটি জাহাজ আটক এবং ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে হামলার পর আইডিএফ এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধজাহাজ এর আগে ইসরাইলের গ্যাসক্ষেত্র এবং জাহাজ চলাচল রুটের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করত।

ইসরায়েল জার্মানির কাছ থেকে এসব যুদ্ধজাহাজ কিনেছে। তবে ইসরায়েলি অস্ত্রে সজ্জিত করা হযেছে এগুলো। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানি তেল আবিবের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। লোহিত সাগরে ইসরায়েলের এ সমস্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ফলে ওই এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন কর্নেল এবং একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল রয়েছেন। গাজায় স্থল অভিযান শুরু করার পর এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যতম বড় প্রাণহানি। খবর রয়টার্সের।

অক্টোবরে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৫ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০০। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অধিকাংশ সেনা অবরুদ্ধ অঞ্চলটির রাজধানী গাজা সিটির উত্তরে শেজাইয়া জেলায় নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় আহত সেনাদের উদ্ধারে গেলে অতর্কিত হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, এই ঘটনায় ইসরায়েলকে খুব ভারী মূল্য দিতে হয়েছে।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, এই হামলা দেখিয়েছে যে ইসরায়েলি বাহিনী কখনো গাজাকে পরাজিত করতে পারবে না। তারা যত বেশি সময় এখানে থাকবে, তাদের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়তে থাকবে। তারা হতাশা ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র : কালবেলা।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

লোহিত সাগরে চার যুদ্ধজাহাজ, বড় সংঘাতের আলামত

প্রকাশের সময় : ০৩:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

লোহিত সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের কাছে থাকা চারটি কর্ভেট সা’র ৬-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজের তিনটি লোহিত সাগরে মোতায়েন করা ছিল। এবার চতুর্থ যুদ্ধজাহাজটিকেও মোতায়েন করা হলো।

এসব কর্ভেট বা ছোট যুদ্ধজাহাজের একেকটির ওজন ২০০০ টনেরও বেশি। ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে এর ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার দুই বছর পর এ যুদ্ধজাহাজগুলো লোহিত সাগরে মোতায়েন করা হলো।

কেন এ ব্যবস্থা?
ইয়েমেনের হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরায়েলের কয়েকটি জাহাজ আটক এবং ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে হামলার পর আইডিএফ এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধজাহাজ এর আগে ইসরাইলের গ্যাসক্ষেত্র এবং জাহাজ চলাচল রুটের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করত।

ইসরায়েল জার্মানির কাছ থেকে এসব যুদ্ধজাহাজ কিনেছে। তবে ইসরায়েলি অস্ত্রে সজ্জিত করা হযেছে এগুলো। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানি তেল আবিবের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। লোহিত সাগরে ইসরায়েলের এ সমস্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ফলে ওই এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন কর্নেল এবং একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল রয়েছেন। গাজায় স্থল অভিযান শুরু করার পর এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যতম বড় প্রাণহানি। খবর রয়টার্সের।

অক্টোবরে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৫ জন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০০। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অধিকাংশ সেনা অবরুদ্ধ অঞ্চলটির রাজধানী গাজা সিটির উত্তরে শেজাইয়া জেলায় নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় আহত সেনাদের উদ্ধারে গেলে অতর্কিত হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, এই ঘটনায় ইসরায়েলকে খুব ভারী মূল্য দিতে হয়েছে।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, এই হামলা দেখিয়েছে যে ইসরায়েলি বাহিনী কখনো গাজাকে পরাজিত করতে পারবে না। তারা যত বেশি সময় এখানে থাকবে, তাদের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়তে থাকবে। তারা হতাশা ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র : কালবেলা।