নিউইয়র্ক ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্যের অর্থভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫২ বার পঠিত

হোয়াইট হাউজের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক শালান্দা ইয়াং। ছবি: সংগৃহীত

হককথা ডেস্ক : হোয়াইট হাউজের বাজেট প্রধান সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে সতর্ক করে বলেছেন, বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য নতুন তহবিল পাস করাতে না পারলে যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভকে অসহায় আত্মসমর্থন করতে হবে। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক শালান্দা ইয়াং বলেছেন, ‘রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধকে সমর্থন করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ ছাড়া বছরের শেষ দিকে ইউক্রেনকে সামরিক রসদ জোগানের বাজেট শেষ হয়ে যাবে। আর যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যুদ্ধক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়বে ইউক্রেন।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অক্টোবরে কংগ্রেসকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা তহবিল থেকে ১০৬ বিলিয়ন ডলার সাহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলেছিলেন।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে রিপাবলিকান দ্বন্দ্বের কারণে সংকটে ভুগছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। কট্টর-ডানপন্থী আইন প্রণেতারা বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভকে যেন আর কোনো সহায়তা না দেওয়া হয় তার বিরোধিতা করেছেন।

বর্তমানের রিপাবলিকান হাউজ স্পিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বল্প পরিচিত মিত্র মাইক জনসন। ডানপন্থী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাবেক স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে অক্টোবরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

কঠোর ভাষায় হোয়াইট হাউজের বাজেট ডিরেক্টরের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাবে ও ইউক্রেনের জন্য তহবিল ফুরিয়ে যাবে। তহবিল ছাড়া এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো কোনো জাদুকরী রাস্তা জানা নেই। আমাদের অর্থের অভাব একইসঙ্গে সময়ও প্রায় শেষ।

তিনি বলেন, আরও তহবিলের জোগান দিতে না পারলে শুধু যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যাবে তা নয়, বরং রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। আগামী বছর টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এটি নয়। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্য করার সময় এখনই। কংগ্রেসের কাজ করার সময় এসেছে।

ইউক্রেনও মরিয়া হয়ে আরও বিদেশি সাহায্যের জন্য চাপ দিচ্ছে কারণ রুশি বাহিনী কিয়েভের বহুমুখী পাল্টা আক্রমণ বন্ধ রেখে পূর্ব দিকে আক্রমণ বাড়িয়েছে। যুদ্ধ তৃতীয় শীতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা সামরিক সরঞ্জামসহ এই গ্রীষ্মে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক চাপ সত্ত্বেও ফ্রন্টলাইন স্থির রয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও হামাসকে তাদের প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে বাইডেন অক্টোবরে যে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি করেছিলেন তাতে ইসরায়েলের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার ও ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্ধ রাখার কথা ছিল।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৪০ বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুও বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জরিপ বলছে ভোটাররা মনে করছেন কিয়েভকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্যের অর্থভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : হোয়াইট হাউজের বাজেট প্রধান সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে সতর্ক করে বলেছেন, বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য নতুন তহবিল পাস করাতে না পারলে যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভকে অসহায় আত্মসমর্থন করতে হবে। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক শালান্দা ইয়াং বলেছেন, ‘রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধকে সমর্থন করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ ছাড়া বছরের শেষ দিকে ইউক্রেনকে সামরিক রসদ জোগানের বাজেট শেষ হয়ে যাবে। আর যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যুদ্ধক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়বে ইউক্রেন।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অক্টোবরে কংগ্রেসকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা তহবিল থেকে ১০৬ বিলিয়ন ডলার সাহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলেছিলেন।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে রিপাবলিকান দ্বন্দ্বের কারণে সংকটে ভুগছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। কট্টর-ডানপন্থী আইন প্রণেতারা বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভকে যেন আর কোনো সহায়তা না দেওয়া হয় তার বিরোধিতা করেছেন।

বর্তমানের রিপাবলিকান হাউজ স্পিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বল্প পরিচিত মিত্র মাইক জনসন। ডানপন্থী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাবেক স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে অক্টোবরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

কঠোর ভাষায় হোয়াইট হাউজের বাজেট ডিরেক্টরের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাবে ও ইউক্রেনের জন্য তহবিল ফুরিয়ে যাবে। তহবিল ছাড়া এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো কোনো জাদুকরী রাস্তা জানা নেই। আমাদের অর্থের অভাব একইসঙ্গে সময়ও প্রায় শেষ।

তিনি বলেন, আরও তহবিলের জোগান দিতে না পারলে শুধু যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যাবে তা নয়, বরং রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। আগামী বছর টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এটি নয়। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্য করার সময় এখনই। কংগ্রেসের কাজ করার সময় এসেছে।

ইউক্রেনও মরিয়া হয়ে আরও বিদেশি সাহায্যের জন্য চাপ দিচ্ছে কারণ রুশি বাহিনী কিয়েভের বহুমুখী পাল্টা আক্রমণ বন্ধ রেখে পূর্ব দিকে আক্রমণ বাড়িয়েছে। যুদ্ধ তৃতীয় শীতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা সামরিক সরঞ্জামসহ এই গ্রীষ্মে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক চাপ সত্ত্বেও ফ্রন্টলাইন স্থির রয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও হামাসকে তাদের প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে বাইডেন অক্টোবরে যে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি করেছিলেন তাতে ইসরায়েলের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার ও ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্ধ রাখার কথা ছিল।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৪০ বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুও বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জরিপ বলছে ভোটাররা মনে করছেন কিয়েভকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

হককথা/নাছরিন