পরিকল্পনা করে নতুন গান তৈরিতে বসি না : ফাহমিদা নবী

- প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৭০ বার পঠিত
বিনোদন ডেস্ক : ফাহমিদা নবী। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার। স্কয়ার পরিবারের খুদে শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত মাছরাঙা টিভির গানের রিয়েলিটি শো ‘সুরের সেরা জুনিয়র’-এ বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
খুদে শিল্পীদের নিয়ে একাধিক চ্যানেলে নানা রকম প্রতিযোগিতা চোখে পড়ে। ‘সুরের সেরা জুনিয়র’ কি সেসব আয়োজন থেকে আলাদা?
‘সুরের সেরা জুনিয়র’-এ অংশ নেওয়া ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা স্কয়ার গ্রুপের কর্মীদের সন্তান; পার্থক্য এটুকুই। এ ছাড়া খুদে শিল্পীদের অন্যান্য গানের রিয়েলিটি শো থেকে এটি কোনোভাবেই আলাদা নয়। এখানেও খুদে শিল্পীরা তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা যারা বিচারক, তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছি ওদের মধ্য থেকে মেধাবী ও সম্ভাবনাময় শিল্পীকে খুঁজে নেওয়ার।
বিচারক হিসেবে আগামীর শিল্পীকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
আমি তো ভীষণ আশাবাদী। ‘সুরের সেরা জুনিয়র’ রিয়েলিটি শোর বিচারকের আসনে বসে যে বিষয়টি সবার আগে মনোযোগ কেড়েছে, তা হলো প্রতিযোগীদের বাংলা গানের চর্চা। বিনোদনের নানা মাধ্যম যখন হাতের মুঠোয়, বিশ্ব সংস্কৃতি হাতছানি দিচ্ছে, তখনও তারা নিজ ভাষা-সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যায়নি। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো, তারা যে গানগুলো গাইছে, তা দরুণভাবে আত্মস্থ করেই রিয়েলিটি শোতে এসেছে। তাই অস্বীকারের উপায় নেই, এই খুদে প্রতিযোগীদের গায়কিতে আমি মুগ্ধ।
রিয়েলিটি শো থেকে অনেক প্রতিযোগীকে উঠে আসতে দেখা গেছে। কিন্তু গানের ভুবনে তাদের অনেকেই আজ নেই, এর কারণ কী?
রিয়েলিটি শো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে প্রতিযোগীরা তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পায়। কিন্তু রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে পেয়ে যাওয়া পরিচিতি ও স্বীকৃতিই সব নয়। গানের ভুবনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হলে সংগীতের চর্চা আর সাধনা করে যেতে হবে। হয়তো জনপ্রিয়তার মোহে সে পথে হাঁটতে চায়নি বলেই প্রতিভার বিকাশ থেমে গেছে। যে জন্য তাদের আমরা আর খুঁজে পাই না।
এবার বলুন, নতুন কোনো গানের আয়োজন করছেন?
আগে থেকে পরিকল্পনা করে নতুন গান তৈরি করতে বসি না। বেশির ভাগ সময় কোনো গীতিকার, সুরকার বা সংগীতায়োজক নতুন গানের আয়োজন করে শোনাতে আসেন। তা ভালো লাগলে, মানসম্পন্ন মনে হলে স্টুডিওতে গিয়ে কণ্ঠ দিই। তাই কোনো কিছুই আগে থেকে দিন-তারিখ চূড়ান্ত করে হয় না। এ ছাড়া নিজে কোনো গানের সুর তখনই করি, যখন আপনা-আপনি মনের মধ্যে সাত সুর খেলা করে যায়। তবে অনেক সময় ভালো গীতিকথা পেলে অবসরে তাতে সুর বসানোর চেষ্টা করি।
এখনও কি সুরকার হিসেবে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন?
সুর করাও এক ধরনের নেশা। এই সত্যটা আগে জানা ছিল না। তাই সুরকার হিসেবে কাজ শুরুর পর থেমে থাকার উপায় নেই। এর মধ্যে কিছু গানের সুর করা হয়ে গেছে। সেই গানগুলো নিজে এবং বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে রেকর্ড করার ইচ্ছা আছে। রেকর্ডিংয়ের পর নিজের চ্যানেলে গানগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করব। সূত্র : সমকাল
হককথা/নাছরিন