নিউইয়র্ক ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের একমাত্র সমাধান’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৭ বার পঠিত

ফাইল ছবি

হককথা ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধানের পথ বলে নিজের মত পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সেখানে চলমান সংঘাত নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর প্রসঙ্গটি ফের টেনে আনেন জো বাইডেন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গটি নতুন নয়। এর আগেও বহুবার আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বাইডেন লিখেছেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের ‘দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার একমাত্র উপায়’ হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছানো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা সমানভাবে স্বাধীনতা এবং মর্যাদার সঙ্গে সমানভাবে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে কাজ করা ছেড়ে দেব না।

এর আগেও বেশ কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি অচলাবস্থা নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের’ প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের লক্ষ্যের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে। কারণ আলোচনা উঠলেও বছরের পর বছর ধরে স্থগিত রয়েছে এবং ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি বৃদ্ধি করেই চলেছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের’ বিষয়টি নতুন নয়। প্রথমবারের মতো বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল ১৯৯০-এর দশকে। সে সময় নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা নিজস্ব অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল।

তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ওই শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের সমাধান বর্তমানে অসম্ভব।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের নিউইয়র্ক অফিসের প্রাক্তন পরিচালক ক্রেগ মোখিবারও শান্তি প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের একমাত্র সমাধান’

প্রকাশের সময় : ০৩:২৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধানের পথ বলে নিজের মত পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সেখানে চলমান সংঘাত নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর প্রসঙ্গটি ফের টেনে আনেন জো বাইডেন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গটি নতুন নয়। এর আগেও বহুবার আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বাইডেন লিখেছেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের ‘দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার একমাত্র উপায়’ হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছানো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা সমানভাবে স্বাধীনতা এবং মর্যাদার সঙ্গে সমানভাবে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে কাজ করা ছেড়ে দেব না।

এর আগেও বেশ কয়েকটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি অচলাবস্থা নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের’ প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের লক্ষ্যের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে। কারণ আলোচনা উঠলেও বছরের পর বছর ধরে স্থগিত রয়েছে এবং ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি বৃদ্ধি করেই চলেছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের’ বিষয়টি নতুন নয়। প্রথমবারের মতো বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল ১৯৯০-এর দশকে। সে সময় নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা নিজস্ব অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল।

তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ওই শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের সমাধান বর্তমানে অসম্ভব।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের নিউইয়র্ক অফিসের প্রাক্তন পরিচালক ক্রেগ মোখিবারও শান্তি প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন।

হককথা/নাছরিন