নিউইয়র্ক ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে : জার্মানি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৬ বার পঠিত

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক (ফাইল ছবি)

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে সংঘাতে জার্মানির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিডাব্লিউকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলোকে একত্রে এই সংঘাতের মীমাংসা করতে হবে। আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র তৈরি না হলে ইসরায়েল-গাজা সংঘাত শেষ হবে না।’

কী এই আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র? বেয়ারবক ইউরোপের অন্য একটি সংঘাতের উদাহরণ টেনেছেন এই উত্তর দিতে। তার বক্তব্য, যেভাবে বলকান যুদ্ধের অবসান ঘটানো হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এই সংঘাতেরও সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

বেয়ারবক ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুই দেশের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। একমাত্র ওই তত্ত্বই গাজায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। তবে একইসঙ্গে বেয়ারবক মনে করেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। যেভাবে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তার প্রত্যুত্তর দেওয়ার অধিকার ইসরায়েলের আছে। এবং সে কারণেই দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি সমর্থন করছে না জার্মানি।

বস্তুত, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ কেউই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির দাবি করছে না। ইসরায়েলের কাছে স্বল্প সময়ের বিরতির আবেদন জানাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে বেয়ারবক জানিয়েছেন, সংঘাতে দীর্ঘ বিরতি হলে হামাস নিজেদের ফের ঐক্যবদ্ধ করে ফেলবে। হামাসকে কোনোভাবেই সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। সে কারণেই দীর্ঘ বিরতি সমর্থন করে না জার্মানি।

তবে একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায় জার্মানি। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি, খাবার এবং ওষুধ যাতে তাদের কাছে পৌঁছায়, জার্মানি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সে কারণেই স্বল্পমেয়াদী সংঘর্ষ বিরতি প্রয়োজন বলে মনে করে জার্মানি।

ইসরায়েল নিয়ে জার্মানির অবস্থানও এদিন স্পষ্ট করেছেন বেয়ারবক। দেশে-বিদেশে জার্মানির অবস্থান নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। বেয়ারবক বলেছেন, যারা সমালোচনা করছেন, তারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। জার্মানি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

তিনি বলেছেন, ইহুদিদের জন্য আলাদা দেশের পক্ষে ছিল জার্মানি। সে দেশকে রক্ষা করতেও দায়বদ্ধ তারা। নাৎসি আমলে জার্মানিতে যেভাবে ইহুদিদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, সে প্রসঙ্গ টেনে এনে বেয়ারবক জানিয়েছেন, নাৎসি পরবর্তী জার্মানি ইহুদিদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে দায়বদ্ধ।

তবে গাজায় সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও জার্মানি চিন্তিত। এবং সে কারণেই সাম্প্রতিক লড়াই শুরু হওয়ার পর তিনবার ইসরায়েল গেছেন বেয়ারবক। ইসরায়েলের সরকারের কাছে গাজার বেসামরিক মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া সাধারণ মানুষের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে : জার্মানি

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে সংঘাতে জার্মানির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিডাব্লিউকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলোকে একত্রে এই সংঘাতের মীমাংসা করতে হবে। আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র তৈরি না হলে ইসরায়েল-গাজা সংঘাত শেষ হবে না।’

কী এই আন্তর্জাতিক মীমাংসা সূত্র? বেয়ারবক ইউরোপের অন্য একটি সংঘাতের উদাহরণ টেনেছেন এই উত্তর দিতে। তার বক্তব্য, যেভাবে বলকান যুদ্ধের অবসান ঘটানো হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই এই সংঘাতেরও সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

বেয়ারবক ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুই দেশের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। একমাত্র ওই তত্ত্বই গাজায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। তবে একইসঙ্গে বেয়ারবক মনে করেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। যেভাবে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তার প্রত্যুত্তর দেওয়ার অধিকার ইসরায়েলের আছে। এবং সে কারণেই দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি সমর্থন করছে না জার্মানি।

বস্তুত, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ কেউই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির দাবি করছে না। ইসরায়েলের কাছে স্বল্প সময়ের বিরতির আবেদন জানাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে বেয়ারবক জানিয়েছেন, সংঘাতে দীর্ঘ বিরতি হলে হামাস নিজেদের ফের ঐক্যবদ্ধ করে ফেলবে। হামাসকে কোনোভাবেই সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। সে কারণেই দীর্ঘ বিরতি সমর্থন করে না জার্মানি।

তবে একইসঙ্গে গাজার বেসামরিক মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায় জার্মানি। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি, খাবার এবং ওষুধ যাতে তাদের কাছে পৌঁছায়, জার্মানি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সে কারণেই স্বল্পমেয়াদী সংঘর্ষ বিরতি প্রয়োজন বলে মনে করে জার্মানি।

ইসরায়েল নিয়ে জার্মানির অবস্থানও এদিন স্পষ্ট করেছেন বেয়ারবক। দেশে-বিদেশে জার্মানির অবস্থান নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। বেয়ারবক বলেছেন, যারা সমালোচনা করছেন, তারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। জার্মানি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

তিনি বলেছেন, ইহুদিদের জন্য আলাদা দেশের পক্ষে ছিল জার্মানি। সে দেশকে রক্ষা করতেও দায়বদ্ধ তারা। নাৎসি আমলে জার্মানিতে যেভাবে ইহুদিদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, সে প্রসঙ্গ টেনে এনে বেয়ারবক জানিয়েছেন, নাৎসি পরবর্তী জার্মানি ইহুদিদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে দায়বদ্ধ।

তবে গাজায় সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও জার্মানি চিন্তিত। এবং সে কারণেই সাম্প্রতিক লড়াই শুরু হওয়ার পর তিনবার ইসরায়েল গেছেন বেয়ারবক। ইসরায়েলের সরকারের কাছে গাজার বেসামরিক মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া সাধারণ মানুষের মৃত্যু কখনোই কাম্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন