নিউইয়র্ক ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘গাজায় জুটছে না একটি রুটিও’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৫ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বৃহস্পতিবার বলেছে, একটি রুটিও জুটছে না অনাহারে থাকা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ভাগ্যে। খাদ্যের অভাবে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে নবজাতক ও অবুঝ শিশুরা। বাবা-মায়েরাও পারছেন না অবুঝ শিশুদের মুখে কিছু দিতে। এমনই অবস্থা বিরাজ করছে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা এলাকায়। খবর এএফপির।

রোমভিত্তিক এ খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা অনাহারে ভুগছে। কারণ সেখানে একেবারে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, শীত দ্রুত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনিরাপদ ও জনাকীর্ণ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের বেশিরভাগ সময় অনাহারে থাকতে হচ্ছে।

গাজায় সপ্তাহ ধরেই প্রয়োজনীয় খাবারের অভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে এ সংস্থা বলেছে, সেখানে এখন একটি রুটিও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে বা রুটির দেখাই মিলছে না। কেবলমাত্র একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে আসা খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গাজার মানুষের বর্তমান ক্ষুধার চাহিদা মেটানো একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তারা বলেছে, গাজায় খাদ্যসামগ্রী আনার জন্য দ্বিতীয় নিরাপদ পথ দ্রুত খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডব্লিউএফপি বলেছে, জ্বালানির অভাব খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার মিসর থেকে আসা ট্রাকগুলো অপর্যাপ্ত জ্বালানির কারণে বেসামরিক লোকদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারেনি।

গাজায় পাঠানো খাদ্যের চাহিদার তুলনায় পরিমাণ ‘একেবারেই অপর্যাপ্ত’। সংস্থাটি বলেছে, এসব খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গাজার জনগণের ন্যূনতম দৈনিক ক্যালোরি চাহিদার মাত্র সাত শতাংশ পূরণ করা সম্ভব।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘গাজায় জুটছে না একটি রুটিও’

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বৃহস্পতিবার বলেছে, একটি রুটিও জুটছে না অনাহারে থাকা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ভাগ্যে। খাদ্যের অভাবে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে নবজাতক ও অবুঝ শিশুরা। বাবা-মায়েরাও পারছেন না অবুঝ শিশুদের মুখে কিছু দিতে। এমনই অবস্থা বিরাজ করছে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা এলাকায়। খবর এএফপির।

রোমভিত্তিক এ খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা অনাহারে ভুগছে। কারণ সেখানে একেবারে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, শীত দ্রুত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনিরাপদ ও জনাকীর্ণ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের বেশিরভাগ সময় অনাহারে থাকতে হচ্ছে।

গাজায় সপ্তাহ ধরেই প্রয়োজনীয় খাবারের অভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে এ সংস্থা বলেছে, সেখানে এখন একটি রুটিও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে বা রুটির দেখাই মিলছে না। কেবলমাত্র একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে আসা খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গাজার মানুষের বর্তমান ক্ষুধার চাহিদা মেটানো একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তারা বলেছে, গাজায় খাদ্যসামগ্রী আনার জন্য দ্বিতীয় নিরাপদ পথ দ্রুত খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডব্লিউএফপি বলেছে, জ্বালানির অভাব খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার মিসর থেকে আসা ট্রাকগুলো অপর্যাপ্ত জ্বালানির কারণে বেসামরিক লোকদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারেনি।

গাজায় পাঠানো খাদ্যের চাহিদার তুলনায় পরিমাণ ‘একেবারেই অপর্যাপ্ত’। সংস্থাটি বলেছে, এসব খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গাজার জনগণের ন্যূনতম দৈনিক ক্যালোরি চাহিদার মাত্র সাত শতাংশ পূরণ করা সম্ভব।

হককথা/নাছরিন