নিউইয়র্ক ১০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় সংঘাত থামাতে আরব-ইসলামিক সম্মেলনের ডাক সৌদির

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮ বার পঠিত

সৌদির বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়ে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতা সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চল ও বিশ্বের সব ইসলামি দেশকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানো হবে।

সৌদির বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনমি ফোরামের সম্মেলনে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেই সম্মেলনের অবসরে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খালিদ আল ফালিহ বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছি। আরব অঞ্চল ও ইসলামি বিশ্বের সব দেশকে সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

‘সৌদি আরব ও ইসলামি বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত সব দেশ— আমরা সবাই যাই গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আসুক। কীভাবে সেই সমাধান আসতে পারে— সে সংক্রান্ত আলোচনাই হবে সেই সম্মেলনে মূল এজেন্ডা। আমরা আশা করছি, যে উদ্দেশে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে— তা সফল হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। বিমান বাহিনীর হামলায় গত এক মাসে গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আনরোয়া পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েরের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে; সেই সঙ্গে গাজার বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া ও সেখানে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সেখানে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণার ডাক দিয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ যুদ্ধে এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সূত্র : রয়টার্স

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় সংঘাত থামাতে আরব-ইসলামিক সম্মেলনের ডাক সৌদির

প্রকাশের সময় : ০২:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়ে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতা সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চল ও বিশ্বের সব ইসলামি দেশকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানো হবে।

সৌদির বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গ নিউ ইকোনমি ফোরামের সম্মেলনে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেই সম্মেলনের অবসরে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খালিদ আল ফালিহ বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে আরব-ইসলামিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছি। আরব অঞ্চল ও ইসলামি বিশ্বের সব দেশকে সেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

‘সৌদি আরব ও ইসলামি বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত সব দেশ— আমরা সবাই যাই গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আসুক। কীভাবে সেই সমাধান আসতে পারে— সে সংক্রান্ত আলোচনাই হবে সেই সম্মেলনে মূল এজেন্ডা। আমরা আশা করছি, যে উদ্দেশে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে— তা সফল হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। বিমান বাহিনীর হামলায় গত এক মাসে গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আনরোয়া পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েরের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে; সেই সঙ্গে গাজার বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া ও সেখানে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সেখানে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণার ডাক দিয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল এবং জাতিসংঘ যুদ্ধে এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সূত্র : রয়টার্স

হককথা/নাছরিন