নিউইয়র্ক ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাইলফলক ছুঁয়ে জন্মদিন রাঙাতে পারবেন কোহলি?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮৪ বার পঠিত

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের গড়া অসংখ্য কীর্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। সেই ধারণা এখন আর অক্ষুণ্ন নেই। মাঠের পারফরম্যান্সে ‘শচীন, শচীন’ স্লোগান এখন রূপ নিয়েছে ‘বিরাট, বিরাট’—এ। শচীনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে চলা বিরাট কোহলি আজ (৫ নভেম্বর) ৩৬ বছরে পা দিয়েছেন। এমন দিনে তার সামনে রয়েছে মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ।

বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও এদিন গ্যালারির স্লোগানের কেন্দ্রে থাকতে পারেন কোহলি। ওয়ানডেতে শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯তম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ফরম্যাটটিতে কোহলির সেঞ্চুরি ৪৮টি। এর আগে দুই ম্যাচে তিনি ৯৫ এবং ৮৮ রান করে ফিরেছেন। সবমিলিয়ে তার এই বিশেষ দিনকে রাঙাতে প্রস্তুত ‘সিটি অফ জয়’খ্যাত কলকাতা।

বিশ্বক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করে চলা কোহলি ১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ক্রিমিনাল ল’ইয়ার ও মা গৃহিণী। যে তারকার নামটা আজ সর্বত্র আলোচিত তিনি নাকি দিল্লির স্থানীয় ক্রিকেটের রাজনীতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে জায়গা পাননি। এরপর ‘লেগে থাকা’র মানসিকতা ও পরিশ্রমে কোহলি দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর উঠেছিল জাতীয় দলের আর্মব্যান্ডও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরাট কোহলি মানেই পরিশ্রম, সংকল্প, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও অনুশীলনের মিশেলে সাফল্যের দারুণ এক ভাণ্ডার!

অসাধারণ সব ক্রিকেটীয় সাজানো তার ইনিংস ও একের পর এক রেকর্ড কোহলিকে অনেকেই তুলনায় নিয়ে যান শচীনের সঙ্গে। যদিও কোহলি সে তুলনা মানতে নারাজ। তার মতে— শচীনকে দেখে তিনি ক্রিকেট শিখেছেন। ৩৫ বছর বয়সে ওয়ানডে ফরম্যাটে শচীন করেছিলেন ১৬ হাজার ৩৬১ রান। কোহলির ব্যাটে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৫ রান। তবে মনে রাখতে হবে যে, শচীন ততদিনে ৪০৭টি ওয়ানডে ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন। সেখানে কোহলি খেলেছেন ২৭৬টি। তাই শচীনের থেকে রান কম হলেও গড় অনেকটাই বেশি। ৩৫-এর শচীনের গড় ছিল ৪৪.৩৩। সেখানে কোহলির ৫৮.০৪। অর্থাৎ শচীনের সমান ম্যাচ খেললে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারতেন কোহলি।

শচীন যখন জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখেন, তার সবমিলিয়ে সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ১০০টি। সেই রেকর্ডের দিকেও ছুটে চলেছেন কোহলি। বর্তমানে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৮টি। টেস্ট ফরম্যাটে শচীন থেকে বেশ দূরত্বে অবস্থান করলেও ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরির নাগাল সমান দূরত্বে আছেন কোহলি। যা তিনি জন্মদিনেই ছুঁয়ে ফেলতে পারেন বলে সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার ভবিষদ্বাণী দিয়েছেন।

কোহলি তার বিশেষ এই দিনকে কতটা রাঙাতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে। চলতি বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটিতে উড়ছেন ভারতীয় এই তারকা। এর ভেতর তিনটি ইনিংসই ছিল ৮০ রানের ওপরে। সবমিলিয়ে তিনি আসরের ৭ ম্যাচে ৮৮.৪০ গড়ে ৪৪২ রান করেছেন। সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় কোহলির অবস্থান তিনে। তার সামনে রয়েছেন যথাক্রমে কুইন্টন ডি কক (৫৪৫ রান) ও রাচিন রবীন্দ্র (৫২৩ রান)।

ঘরের মাঠে চলমান বিশ্বকাপে কোহলির মতোই উড়ছে ভারত। এখন পর্যন্ত তারা সাতটি ম্যাচেই জিতেছে। তাদের আজকের প্রতিপক্ষ প্রোটিয়ারা জিতেছে ৭ ম্যাচের ছয়টিতে। ফলে বলতে গেলে কলকাতায় লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে! তার কতটা আলো নিজের দিকে কেড়ে নিতে পারবেন বার্থডে-বয় কোহলি? সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাইলফলক ছুঁয়ে জন্মদিন রাঙাতে পারবেন কোহলি?

প্রকাশের সময় : ০৬:২১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের গড়া অসংখ্য কীর্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। সেই ধারণা এখন আর অক্ষুণ্ন নেই। মাঠের পারফরম্যান্সে ‘শচীন, শচীন’ স্লোগান এখন রূপ নিয়েছে ‘বিরাট, বিরাট’—এ। শচীনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে চলা বিরাট কোহলি আজ (৫ নভেম্বর) ৩৬ বছরে পা দিয়েছেন। এমন দিনে তার সামনে রয়েছে মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ।

বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও এদিন গ্যালারির স্লোগানের কেন্দ্রে থাকতে পারেন কোহলি। ওয়ানডেতে শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯তম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ফরম্যাটটিতে কোহলির সেঞ্চুরি ৪৮টি। এর আগে দুই ম্যাচে তিনি ৯৫ এবং ৮৮ রান করে ফিরেছেন। সবমিলিয়ে তার এই বিশেষ দিনকে রাঙাতে প্রস্তুত ‘সিটি অফ জয়’খ্যাত কলকাতা।

বিশ্বক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করে চলা কোহলি ১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ক্রিমিনাল ল’ইয়ার ও মা গৃহিণী। যে তারকার নামটা আজ সর্বত্র আলোচিত তিনি নাকি দিল্লির স্থানীয় ক্রিকেটের রাজনীতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে জায়গা পাননি। এরপর ‘লেগে থাকা’র মানসিকতা ও পরিশ্রমে কোহলি দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর উঠেছিল জাতীয় দলের আর্মব্যান্ডও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরাট কোহলি মানেই পরিশ্রম, সংকল্প, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও অনুশীলনের মিশেলে সাফল্যের দারুণ এক ভাণ্ডার!

অসাধারণ সব ক্রিকেটীয় সাজানো তার ইনিংস ও একের পর এক রেকর্ড কোহলিকে অনেকেই তুলনায় নিয়ে যান শচীনের সঙ্গে। যদিও কোহলি সে তুলনা মানতে নারাজ। তার মতে— শচীনকে দেখে তিনি ক্রিকেট শিখেছেন। ৩৫ বছর বয়সে ওয়ানডে ফরম্যাটে শচীন করেছিলেন ১৬ হাজার ৩৬১ রান। কোহলির ব্যাটে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৫ রান। তবে মনে রাখতে হবে যে, শচীন ততদিনে ৪০৭টি ওয়ানডে ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন। সেখানে কোহলি খেলেছেন ২৭৬টি। তাই শচীনের থেকে রান কম হলেও গড় অনেকটাই বেশি। ৩৫-এর শচীনের গড় ছিল ৪৪.৩৩। সেখানে কোহলির ৫৮.০৪। অর্থাৎ শচীনের সমান ম্যাচ খেললে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারতেন কোহলি।

শচীন যখন জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখেন, তার সবমিলিয়ে সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ১০০টি। সেই রেকর্ডের দিকেও ছুটে চলেছেন কোহলি। বর্তমানে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৮টি। টেস্ট ফরম্যাটে শচীন থেকে বেশ দূরত্বে অবস্থান করলেও ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরির নাগাল সমান দূরত্বে আছেন কোহলি। যা তিনি জন্মদিনেই ছুঁয়ে ফেলতে পারেন বলে সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার ভবিষদ্বাণী দিয়েছেন।

কোহলি তার বিশেষ এই দিনকে কতটা রাঙাতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে। চলতি বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটিতে উড়ছেন ভারতীয় এই তারকা। এর ভেতর তিনটি ইনিংসই ছিল ৮০ রানের ওপরে। সবমিলিয়ে তিনি আসরের ৭ ম্যাচে ৮৮.৪০ গড়ে ৪৪২ রান করেছেন। সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় কোহলির অবস্থান তিনে। তার সামনে রয়েছেন যথাক্রমে কুইন্টন ডি কক (৫৪৫ রান) ও রাচিন রবীন্দ্র (৫২৩ রান)।

ঘরের মাঠে চলমান বিশ্বকাপে কোহলির মতোই উড়ছে ভারত। এখন পর্যন্ত তারা সাতটি ম্যাচেই জিতেছে। তাদের আজকের প্রতিপক্ষ প্রোটিয়ারা জিতেছে ৭ ম্যাচের ছয়টিতে। ফলে বলতে গেলে কলকাতায় লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে! তার কতটা আলো নিজের দিকে কেড়ে নিতে পারবেন বার্থডে-বয় কোহলি? সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন