নিউইয়র্ক ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কচুয়ায় কমে যাচ্ছে মাটির ঘর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১১৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : চাঁদপুরের কচুয়ায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর। প্রচণ্ড গরম ও শীতে বসবাসের উপযোগী ছিল মাটির ঘর। এক সময় এলাকার ধনী-গরিব সবাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। তবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘর।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও প্রধানীয়া বাড়িতে একটি মাটির দেওয়ালের টিনের চালের বসতঘর এখনো রয়েছে। এই মাটির ঘর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে তৈরি করেন। সেই মাটির ঘরে এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে মাটির ঘর তৈরি করেন। বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে পরিবার নিয়ে আজও এই ঘরে বসবাস করছি। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।

আরামদায়ক মাটির ঘরে দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও একসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এসব ঘর অনেক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।

বর্তমানে মানুষের আধুনিক জীবনযাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচি বোধের মধ্যে ও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবাই মাটির ঘর ভেঙে টিন আর ইটের পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে অতীতের মাটির ঘর। বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন শুধুই স্মৃতি মাত্র। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কচুয়ায় কমে যাচ্ছে মাটির ঘর

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : চাঁদপুরের কচুয়ায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর। প্রচণ্ড গরম ও শীতে বসবাসের উপযোগী ছিল মাটির ঘর। এক সময় এলাকার ধনী-গরিব সবাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। তবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘর।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও প্রধানীয়া বাড়িতে একটি মাটির দেওয়ালের টিনের চালের বসতঘর এখনো রয়েছে। এই মাটির ঘর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে তৈরি করেন। সেই মাটির ঘরে এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে মাটির ঘর তৈরি করেন। বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে পরিবার নিয়ে আজও এই ঘরে বসবাস করছি। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।

আরামদায়ক মাটির ঘরে দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও একসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এসব ঘর অনেক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে।

বর্তমানে মানুষের আধুনিক জীবনযাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচি বোধের মধ্যে ও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবাই মাটির ঘর ভেঙে টিন আর ইটের পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে অতীতের মাটির ঘর। বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন শুধুই স্মৃতি মাত্র। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

হককথা/নাছরিন