নিউইয়র্ক ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কোন পথে দেশ?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৭২ বার পঠিত

ড. মারুফ মল্লিক: কোনোভাবেই সংঘাত এড়ানো গেল না। বিএনপি’র শনিবারের (২৯ অক্টোবর) মহাসমাবেশ নিয়ে সারা দেশ এখন উত্তপ্ত। বিএনপি’র সমাবেশে হামলা করেছে পুলিশ। বিএনপিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। হামলা, পাল্টা হামলায় পুলিশসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। হামলা ও যুবদল কর্মী হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি রোববার হরতাল পালন করেছে। হামলা, মামলা, ধরপাকড়ের মুখে হরতালের দিন বিএনপিসহ অন্যান্য দল মাঠে ছিল না তেমন। এরপরও সারা দেশেই হরতাল পালিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে যানবাহন তেমন চলেনি। মানুষজনও ছিল কম।
যদিও হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তি মিছিল করেছে। বিএনপি’র পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্রান্তে সব সময়ই আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু উপস্থিতির তুলনা করলে আকাশ পাতাল পার্থক্য এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলোতে। আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে নানাভাবে বিএনপিমুখী সমাবেশের জনস্রোত ঠেকাতে।
হামলা, মামলা কোনো কিছুই বাদ রাখছে না। ফলে সব মিলিয়ে দেশের রাজনীতি এখন মুখোমুখি অবস্থানে। বিএনপি দাবিতে অটল রয়েছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করবে। এই দাবি নিয়ে বিএনপি গত প্রায় এক দশক ধরেই আন্দোলন করছে। কিন্তু তারা এখনো দাবি আদায় করতে পারেনি। বিপরীতে আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানের বাইরে কিছুই করার নেই। সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগও এক সময় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। অবরোধ করেছে। অফিসগামী সরকারি কর্মচারীকে দিগম্বর করেছে। বিএনপি ওই সময় আওয়ামী লীগের দাবি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ কোনো ক্রমেই বিএনপি’র দাবি মানতে চাইছে না। আওয়ামী লীগ বলছে- সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। আমার মনে হয় না সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিএনপি বা অন্যরা নির্বাচনের দাবি করেছে। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে। বিএনপি’র দাবি মানার জন্য সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু সংবিধান সংশোধন করলেই হয়। সংবিধানে তো নতুন নতুন বিধিবিধান সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ আছে। আর সংবিধান অপরিবর্তন যোগ্য কোনো বিষয় না। সংবিধান জনগণের জন্য তৈরি করা হয়। আর এই সংবিধান তৈরি করে জনগণ। সংসদ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কেবল। দিন শেষে এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। তাই জনগণের সুবিধার্থে সংবিধান, আইনকানুন সবই পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়। তাই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কিছু নেই এখানে। (দৈনিক মানবজমিন)

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কোন পথে দেশ?

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

ড. মারুফ মল্লিক: কোনোভাবেই সংঘাত এড়ানো গেল না। বিএনপি’র শনিবারের (২৯ অক্টোবর) মহাসমাবেশ নিয়ে সারা দেশ এখন উত্তপ্ত। বিএনপি’র সমাবেশে হামলা করেছে পুলিশ। বিএনপিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। হামলা, পাল্টা হামলায় পুলিশসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। হামলা ও যুবদল কর্মী হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি রোববার হরতাল পালন করেছে। হামলা, মামলা, ধরপাকড়ের মুখে হরতালের দিন বিএনপিসহ অন্যান্য দল মাঠে ছিল না তেমন। এরপরও সারা দেশেই হরতাল পালিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে যানবাহন তেমন চলেনি। মানুষজনও ছিল কম।
যদিও হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তি মিছিল করেছে। বিএনপি’র পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্রান্তে সব সময়ই আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। কিন্তু উপস্থিতির তুলনা করলে আকাশ পাতাল পার্থক্য এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলোতে। আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে নানাভাবে বিএনপিমুখী সমাবেশের জনস্রোত ঠেকাতে।
হামলা, মামলা কোনো কিছুই বাদ রাখছে না। ফলে সব মিলিয়ে দেশের রাজনীতি এখন মুখোমুখি অবস্থানে। বিএনপি দাবিতে অটল রয়েছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করবে। এই দাবি নিয়ে বিএনপি গত প্রায় এক দশক ধরেই আন্দোলন করছে। কিন্তু তারা এখনো দাবি আদায় করতে পারেনি। বিপরীতে আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানের বাইরে কিছুই করার নেই। সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগও এক সময় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। অবরোধ করেছে। অফিসগামী সরকারি কর্মচারীকে দিগম্বর করেছে। বিএনপি ওই সময় আওয়ামী লীগের দাবি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ কোনো ক্রমেই বিএনপি’র দাবি মানতে চাইছে না। আওয়ামী লীগ বলছে- সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। আমার মনে হয় না সংবিধানের বাইরে গিয়ে বিএনপি বা অন্যরা নির্বাচনের দাবি করেছে। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে। বিএনপি’র দাবি মানার জন্য সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু সংবিধান সংশোধন করলেই হয়। সংবিধানে তো নতুন নতুন বিধিবিধান সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ আছে। আর সংবিধান অপরিবর্তন যোগ্য কোনো বিষয় না। সংবিধান জনগণের জন্য তৈরি করা হয়। আর এই সংবিধান তৈরি করে জনগণ। সংসদ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কেবল। দিন শেষে এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। তাই জনগণের সুবিধার্থে সংবিধান, আইনকানুন সবই পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়। তাই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কিছু নেই এখানে। (দৈনিক মানবজমিন)