আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি সেনারা বলছে ‘এটি বিশ্বাসঘাতকতা’।

এমন সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে অবস্থান করছেন, যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত সেনারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে ফিরেছে। ইয়ার নেতানিয়াহু (৩২) অন্তত এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে আমেরিকায় আছেন। অপরদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত সেনারা তাদের সবকিছু ছেড়ে দিয়ে – এমনকি মধুচন্দ্রিমা ত্যাগ করে ইসরায়েলে ফিরে এসেছেন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।

দ্যা টাইমস ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুসারে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর সামরিক আগ্রাসন চালানোর জন্য ইসরায়েল যে তিন লাখ ৬০ হাজার সেনা তলব করেছে তার মধ্যে নেই যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর। এতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বলছে, দেশকে ত্যাগ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। নেতানিয়াহুর ছেলের যুদ্ধে যোগ না দিয়ে আমেরিকায় থেকে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে তারা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছেন।

লেবানন সীমান্তে মোতায়েন ইসরায়েলের একজন স্বেচ্ছাসেবী সেনা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যখন ফ্লোরিডার মিয়ামি বিচে জীবনকে উপভোগ করছেন, তখন সীমান্তে আমি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।” ইসরায়েলের এই ক্ষুব্ধ সেনা ব্রিটিশ পত্রিকাকে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, তার পরিচয় প্রকাশ করলে নিরাপত্তাগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইসরায়েলের এই রিজার্ভ (সংরক্ষিত) সেনা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী লোকেরা তাদের ভাগের বোঝা বহন করছে না, এতে অবিশ্বাস ও ক্রোধ সৃষ্টি হচ্ছে। আরেক সেনা টাইমসকে বলেন, “আমাদের ভাই, আমাদের বাবা, ছেলেরা সবাই যুদ্ধের সামনের সারিতে অবস্থান করছে, কিন্তু ইয়াইর এখনও এখানে নেই। এটা দেশের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা তৈরিতে সাহায্য করছে না।”

হামাসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ফ্রন্টে মোতায়েন অন্য আরেক রিজার্ভ সেনা জানান, তিনি চাকরি ও পরিবার ছেড়ে আমেরিকা থেকে ফিরে এসেছেন। সূত্র : দ্যা টাইমস, ডেইলি মেই