নিউইয়র্ক ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাঁধন হিনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : খুফিয়া’ মানে হলো গুপ্ত। এই পরিচালক এক শব্দের নামে অনেক সিনেমা বানিয়েছেন। এটাও তাই। বিশাল ভরদ্বাজ বিশাল পরিচালক সন্দেহ নেই। নানা কারণেই তিনি বড়, এসব আলাদা করে আমার বলবার দরকার নেই। তার সিনেমা বানানোর কথা শুনলে দর্শকের অনেক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। তারা অপেক্ষা করে থাকেন তার সিনেমা নিয়ে। থাকারই কথা – ‘মকবুল’, ‘ওমকারা’ বা ‘হায়দার’ -এর মতো মাস্টারপিস সিনেমা যিনি বানান; কিংবা ‘ইশকিয়া’র মতো ছবি, ওদিকে ‘কামিনে’র মতো ব্লকবাস্টারও বানিয়ে ফেলেন, তাকে নিয়ে আগ্রহ থাকারই কথা।

‘খুফিয়া’ বাংলাদেশের মানুষ দেখবেন আগ্রহ নিয়ে। তার কারণও স্পষ্ট। ছোট কারণটা হলো গল্পের কিছুটা প্লট বাংলাদেশের। আর বড় কারণটা অবশ্যই আজমেরী হক বাঁধন। তবে আমি বলতে চাই, জিওপলিটিক্যাল দিক থেকে ‘খুফিয়া’ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা নয়। এমনকি ওইভাবে পলিটিক্যাল ছবিও না। এটা একটা সিম্পল ফিকশন এবং বিশাল ভরদ্বাজের অন্যান্য সিনেমার থেকে আমি এটাকে কম দামই দেব। বরং তিনি পলিটিক্যাল মেজাজের সিনেমা আগে বানিয়েছেন। অন্যের বানানো ছবিতে মিউজিক করেছেন, যেমন ‘মাচিস’। এটাকে কম দাম যে দেব সেটার কারণও খুব স্পষ্ট। কারণ অতো অতো এজেন্সির মধ্য দিয়ে দেশের রওনক রক্ষা করার যে আইডিয়া তা খুবই পুরোনো। অনেক লোক বানাচ্ছেন। বিশাল ভরদ্বাজ এটা না করলেও চলত।

অনেক কথা হচ্ছে প্লটে বাংলাদেশের অংশটুকু নিয়ে। ফেসবুকেই হচ্ছে। আবার এমনি আড্ডা-কথাবার্তাতেও হচ্ছে। অথচ গল্পে বাংলাদেশের অংশ যা, তা আসলে খুব সহজেই ইগনোর করা যায়। এর থেকে খারাপ করে বাংলাদেশের উপস্থাপন ভারতের অনেক ছবিতে আছে। আর কাস্টিং নিয়ে যা যা বলা হচ্ছে, তা খুব অহেতুক মনে হচ্ছে আমার কাছে। কাকে চরিত্র করতে বলা হয়েছিল, কে সেটা করতে চাননি, কেন করতে চাননি – এগুলোও অহেতুক আলাপ। বিশালকে ফিরিয়ে দেওয়া অত সহজ কাজ না। তাই ঐসব আলাপে আমি ঢুকব না।


সিনেমাতে তিনটা নারী চরিত্রই খুব শক্ত পোক্ত – কৃষ্ণা (টাবু), চারু (ওয়ামিকা), হিনা (বাঁধন)। আরেকজন যে মায়ের চরিত্র, চারুর শাশুড়ি ললিতা সেটাও অত্যন্ত বলিষ্ঠ। এগুলো লক্ষ করার মতো, আর আমি সেখান থেকে দেখেছি। টাবু মেইন প্রটাগনিস্ট এবং তিনি নামকরা অভিনেতা – তার সাথে বাঁধনের চরিত্রের যে রসায়ন আর বাঁধন সেখানে তার সাথে যে তাল মিলিয়ে অভিনয় দক্ষতা হাজির করলেন সেটাই আমার কাছে বড় বিষয়। অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন যে তার উপস্থিতি অল্প। আমার একেবারেই তেমন মনে হয়নি। ছবির শুরু হয় তাকে দিয়ে। আর সেই শুরুতেই তিনি চমকে দিয়েছেন আমাদের – সেটাই বিবেচ্য। আর ছবির সারাটা সময়েই তাকে দেখতে দেখতে যে আমি হিনাকে দেখতে পেলাম সেটার মানেই তিনি সমস্ত ছবি জুড়েই আছেন। ‘খুফিয়া’ একটা সাধারণ ফর্মুলা ফিকশন। এই সিনেমা নিয়ে আমার আশা আকাঙ্ক্ষার কিছু নেই। যখন বাংলাদেশের অভিনেতারা একটা অন্য দেশের বড় একটা ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেন, এবং তা সফলতার সাথে করেন সেটা আমাকে আলাদা করে ভাবায় এবং রাজনৈতিকভাবে ভাবায়। আর সেটা আমি বুঝবার চেষ্টা করি।


না হলে এইসব সিক্রেট এজেন্সির গল্পভিত্তিক সিনেমা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। এগুলোকে আমি অতি জাতীয়তাবাদী নজরেও দেখি না। এবং আমি মনে করি, বহুভাবে বাংলাদেশের নানান বীরত্ব রচনা করা হচ্ছে। তার মধ্যে এরকম একটা ফিকশন নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত হবার কিছু নেই

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাঁধন হিনা

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : খুফিয়া’ মানে হলো গুপ্ত। এই পরিচালক এক শব্দের নামে অনেক সিনেমা বানিয়েছেন। এটাও তাই। বিশাল ভরদ্বাজ বিশাল পরিচালক সন্দেহ নেই। নানা কারণেই তিনি বড়, এসব আলাদা করে আমার বলবার দরকার নেই। তার সিনেমা বানানোর কথা শুনলে দর্শকের অনেক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। তারা অপেক্ষা করে থাকেন তার সিনেমা নিয়ে। থাকারই কথা – ‘মকবুল’, ‘ওমকারা’ বা ‘হায়দার’ -এর মতো মাস্টারপিস সিনেমা যিনি বানান; কিংবা ‘ইশকিয়া’র মতো ছবি, ওদিকে ‘কামিনে’র মতো ব্লকবাস্টারও বানিয়ে ফেলেন, তাকে নিয়ে আগ্রহ থাকারই কথা।

‘খুফিয়া’ বাংলাদেশের মানুষ দেখবেন আগ্রহ নিয়ে। তার কারণও স্পষ্ট। ছোট কারণটা হলো গল্পের কিছুটা প্লট বাংলাদেশের। আর বড় কারণটা অবশ্যই আজমেরী হক বাঁধন। তবে আমি বলতে চাই, জিওপলিটিক্যাল দিক থেকে ‘খুফিয়া’ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা নয়। এমনকি ওইভাবে পলিটিক্যাল ছবিও না। এটা একটা সিম্পল ফিকশন এবং বিশাল ভরদ্বাজের অন্যান্য সিনেমার থেকে আমি এটাকে কম দামই দেব। বরং তিনি পলিটিক্যাল মেজাজের সিনেমা আগে বানিয়েছেন। অন্যের বানানো ছবিতে মিউজিক করেছেন, যেমন ‘মাচিস’। এটাকে কম দাম যে দেব সেটার কারণও খুব স্পষ্ট। কারণ অতো অতো এজেন্সির মধ্য দিয়ে দেশের রওনক রক্ষা করার যে আইডিয়া তা খুবই পুরোনো। অনেক লোক বানাচ্ছেন। বিশাল ভরদ্বাজ এটা না করলেও চলত।

অনেক কথা হচ্ছে প্লটে বাংলাদেশের অংশটুকু নিয়ে। ফেসবুকেই হচ্ছে। আবার এমনি আড্ডা-কথাবার্তাতেও হচ্ছে। অথচ গল্পে বাংলাদেশের অংশ যা, তা আসলে খুব সহজেই ইগনোর করা যায়। এর থেকে খারাপ করে বাংলাদেশের উপস্থাপন ভারতের অনেক ছবিতে আছে। আর কাস্টিং নিয়ে যা যা বলা হচ্ছে, তা খুব অহেতুক মনে হচ্ছে আমার কাছে। কাকে চরিত্র করতে বলা হয়েছিল, কে সেটা করতে চাননি, কেন করতে চাননি – এগুলোও অহেতুক আলাপ। বিশালকে ফিরিয়ে দেওয়া অত সহজ কাজ না। তাই ঐসব আলাপে আমি ঢুকব না।


সিনেমাতে তিনটা নারী চরিত্রই খুব শক্ত পোক্ত – কৃষ্ণা (টাবু), চারু (ওয়ামিকা), হিনা (বাঁধন)। আরেকজন যে মায়ের চরিত্র, চারুর শাশুড়ি ললিতা সেটাও অত্যন্ত বলিষ্ঠ। এগুলো লক্ষ করার মতো, আর আমি সেখান থেকে দেখেছি। টাবু মেইন প্রটাগনিস্ট এবং তিনি নামকরা অভিনেতা – তার সাথে বাঁধনের চরিত্রের যে রসায়ন আর বাঁধন সেখানে তার সাথে যে তাল মিলিয়ে অভিনয় দক্ষতা হাজির করলেন সেটাই আমার কাছে বড় বিষয়। অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন যে তার উপস্থিতি অল্প। আমার একেবারেই তেমন মনে হয়নি। ছবির শুরু হয় তাকে দিয়ে। আর সেই শুরুতেই তিনি চমকে দিয়েছেন আমাদের – সেটাই বিবেচ্য। আর ছবির সারাটা সময়েই তাকে দেখতে দেখতে যে আমি হিনাকে দেখতে পেলাম সেটার মানেই তিনি সমস্ত ছবি জুড়েই আছেন। ‘খুফিয়া’ একটা সাধারণ ফর্মুলা ফিকশন। এই সিনেমা নিয়ে আমার আশা আকাঙ্ক্ষার কিছু নেই। যখন বাংলাদেশের অভিনেতারা একটা অন্য দেশের বড় একটা ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেন, এবং তা সফলতার সাথে করেন সেটা আমাকে আলাদা করে ভাবায় এবং রাজনৈতিকভাবে ভাবায়। আর সেটা আমি বুঝবার চেষ্টা করি।


না হলে এইসব সিক্রেট এজেন্সির গল্পভিত্তিক সিনেমা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। এগুলোকে আমি অতি জাতীয়তাবাদী নজরেও দেখি না। এবং আমি মনে করি, বহুভাবে বাংলাদেশের নানান বীরত্ব রচনা করা হচ্ছে। তার মধ্যে এরকম একটা ফিকশন নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত হবার কিছু নেই

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক