নিউইয়র্ক ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গণমাধ্যমের নিজস্ব নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন জরুরি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : ভালো মানের ব্যতিক্রম সংবাদ ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যম টিকে রাখার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা বলেছেন, বর্তমানে গণমাধ্যম যেভাবে টিকে আছে, তাতে করে তারা একসময় অস্তিত্বসংকটে পড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গণমাধ্যমের নিজেদের একটি নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন জরুরি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেনসির (সিডা) সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ‘ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ’—(এমআরডিআই) ও দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে তিনটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার বিষয়—‘গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইন, নীতি, বিধি-বিধান বিশ্লেষণ’, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে টেকসই সাংবাদিকতার ধারণা, চর্চা ও গণমাধ্যমের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে টেকসই সাংবাদিকতার ভূমিকা’ এবং ‘ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে স্ব-ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি’। এই বিষয়গুলোর ওপর বিস্তর আলোচনা করেন উপস্থিত গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকতা অবস্থা বোঝাতে উল্লেখ করেন যে, ‘একটি কুমির ভর্তি পুকুরে সাংবাদিকদের সাঁতার কাটতে দেওয়ার মতো অবস্থা, বর্তমান সাংবাদিকতার’। আমরা এক জনকে ভালো সাংবাদিকতা করতে বলব, অথচ তার বেতন-ভাতা দিব না, তা হলে তার কাছ থেকে ভালো কাজ আশা করা যায় না। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কোনো বেতন কাঠামো নেই। এ ধরনের নানাবিধ কারণে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে জনগণ। এখন আর কেউ নিয়মিত পত্রিকা পড়ে না, টিভিতে খবরও দেখে না। আরও আছে আইনের জটিলতা—গণমাধ্যমের এ ধরনের অস্থির পরিবেশে অনেক মেধাবী সাংবাদিক অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

গবেষক দলের সদস্যরা বলছেন, বর্তমানে বিভিন্ন আইনের জটিলতা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারছেন না। ভালো অনুসন্ধানী সংবাদ তুলে আনতে পারছেন না। অনলাইনের প্রতিযোগিতামূলক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল তথ্য, অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দ্রুত সংবাদ পরিবেশন করছেন সংবাদকর্মীরা। এসব সমস্যা সমাধানে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে নিজস্ব আইন ও নীতি নৈতিকতা জানা খুব দরকার। অন্যদিকে এই গবেষক দল মনে করছেন, ব্যতিক্রমী, ভিন্ন ধারায় উপস্থাপনের ভেতর দিয়ে পাঠককে ফেরানো সম্ভব। তারা বলছেন, বস্তুনিষ্ঠ এবং ভালো মানের সংবাদের গুরুত্ব সব সময়েই থাকবে। এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আইনি ইসলাম, সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম, মীর মাশরুর জামান রনি, রিয়াজ আহমেদ, তালাত মামুন, মানস ঘোষ, গৌতম মণ্ডল প্রমুখ। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যমের নিজস্ব নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন জরুরি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : ভালো মানের ব্যতিক্রম সংবাদ ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যম টিকে রাখার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা বলেছেন, বর্তমানে গণমাধ্যম যেভাবে টিকে আছে, তাতে করে তারা একসময় অস্তিত্বসংকটে পড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গণমাধ্যমের নিজেদের একটি নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন জরুরি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেনসির (সিডা) সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ‘ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ’—(এমআরডিআই) ও দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে তিনটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার বিষয়—‘গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইন, নীতি, বিধি-বিধান বিশ্লেষণ’, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে টেকসই সাংবাদিকতার ধারণা, চর্চা ও গণমাধ্যমের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে টেকসই সাংবাদিকতার ভূমিকা’ এবং ‘ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে স্ব-ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি’। এই বিষয়গুলোর ওপর বিস্তর আলোচনা করেন উপস্থিত গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকতা অবস্থা বোঝাতে উল্লেখ করেন যে, ‘একটি কুমির ভর্তি পুকুরে সাংবাদিকদের সাঁতার কাটতে দেওয়ার মতো অবস্থা, বর্তমান সাংবাদিকতার’। আমরা এক জনকে ভালো সাংবাদিকতা করতে বলব, অথচ তার বেতন-ভাতা দিব না, তা হলে তার কাছ থেকে ভালো কাজ আশা করা যায় না। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কোনো বেতন কাঠামো নেই। এ ধরনের নানাবিধ কারণে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে জনগণ। এখন আর কেউ নিয়মিত পত্রিকা পড়ে না, টিভিতে খবরও দেখে না। আরও আছে আইনের জটিলতা—গণমাধ্যমের এ ধরনের অস্থির পরিবেশে অনেক মেধাবী সাংবাদিক অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।

গবেষক দলের সদস্যরা বলছেন, বর্তমানে বিভিন্ন আইনের জটিলতা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারছেন না। ভালো অনুসন্ধানী সংবাদ তুলে আনতে পারছেন না। অনলাইনের প্রতিযোগিতামূলক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল তথ্য, অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দ্রুত সংবাদ পরিবেশন করছেন সংবাদকর্মীরা। এসব সমস্যা সমাধানে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে নিজস্ব আইন ও নীতি নৈতিকতা জানা খুব দরকার। অন্যদিকে এই গবেষক দল মনে করছেন, ব্যতিক্রমী, ভিন্ন ধারায় উপস্থাপনের ভেতর দিয়ে পাঠককে ফেরানো সম্ভব। তারা বলছেন, বস্তুনিষ্ঠ এবং ভালো মানের সংবাদের গুরুত্ব সব সময়েই থাকবে। এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আইনি ইসলাম, সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম, মীর মাশরুর জামান রনি, রিয়াজ আহমেদ, তালাত মামুন, মানস ঘোষ, গৌতম মণ্ডল প্রমুখ। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক