নিউইয়র্ক ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

উত্তর আমেরিকার ১৮টি রাজ্যের ২২টি শহরের ৬২টি সংগঠন সহ প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশীর অংশগ্রহণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি : বিভক্ত ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)-এর একাংশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের ডালাসে। ৩৭তম এই সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন ছিলো বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট)। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে ৪/৫ হাজার প্রবাসী অংশ নেন বলে আয়োজকদের দাবী। গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ‘উত্তর আমেরিকার প্রবাসীরে বাঙালীদের মিলনমেলা খ্যাত’ ফোবানা সম্মেলন শেষ হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর রোববার। ডালাস শহরের প্রাণকেন্দ্রের ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার। এরপর সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষনা করেন বান্ট-এর সভাপতি ও ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন। সম্মেলনে টেক্সাস রাজ্যের নানা প্রান্ত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার প্রবাসী যোগ দেন। আয়োজকদের দাবী এবারের সম্মেলনে উত্তর আমেরিকার ৬৪টি সংগঠন অংশ নেয়।


এদিকে ২০২৫ সালে ফোবানা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টার বাংলাধারা সংগঠন। নাহিুল খান সাহেলকে আহবায়ক ও মাহবুবর রহমান ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। এজন্য বাংলাধারা সংগঠনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ২০২৪ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন হিসেবে গত বছরই দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাশে আমেরিকান এসোশিয়েশন অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)। এ বছরের সম্মেলন থেকে আগামী ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠনের নাম ঘোষনা করা হয়। ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আটলান্টায়। স্বাগতিক সম্মেলন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলা ধারা। বাগডিসি ও বাংলা ধারার নেতা-কর্মীরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে অনুষ্ঠতব্য সম্মেলনের প্রস্তুতি ও তারে পরিকল্পনার কথা শিগগির প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন।


সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের অতিথিদের সম্মানে ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্টিন হোটেলের বল রুমে আয়োজন করা হয় ‘ব্ল্যাক টাই ডিনার’ পার্টি। এ অনুষ্ঠানে বান্ট-এর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আহসান চৌধুরী হিরো, নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, সদস্য সচিব শাম সুদ্দোহা সাগর ও ফোবানার সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ।


সম্মেলনের শুরুতেই ডালাসের ইরভিং কনভেশন সেন্টারে বান্ট’র শিল্পীরা বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ বাস করেন। এ দেশে রয়েছে বহু সংস্কৃতি। এই ডালাস শহর বিনির্মাণে বাংলাদেশীদের রয়েছে যথেষ্ট ভূমিকা। এরই মধ্যে এই শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ফোবানা সম্মেলন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের এ অনুষ্ঠানটি শহরবাসী চিরদিন মনে রাখবেন বলে আশা করেন তিনি। বলেন, এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য একটি সেতু বন্ধনও তৈরি হবে।


ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন পিপলস এন টেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি ড. বেনু রায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডার সবুর খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউশনের পরিচালক হাকিম আরিফ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন, ফোবানার চেয়ারম্যান ড. এহসান চৌধুরী হিরো, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী, ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, হোস্ট কমিটির পক্ষে ৩৭তম ফোবানার কনভেনর হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগর।


সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ বলেন, ফোবানা একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন, প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে। ড. বেনু রায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি উন্নত দেশে বসে এ কনভেশনে আমরা সবাই বাংলায় কথা বলছি, ফোবানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন, যা অনুকরণীয়। ৩৭ বছরের ধারাবাহিতায় ফোবানা আজ সমৃদ্ধ। সবুর খান বলেন, ফোবানা চাইলে ডেফোডিল এর সাথে এন্টারপ্রোনার তৈরীতে ভুমিকা রাখতে পারবে। ফোবানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্কলারশীপ চালু করতে পারে।হাকিম আরিফ বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে ফোবানা পেট্রন করছে, যা আনন্দের ও গৌরবের। যৌথভাবে অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন দিবা সাহা, সাদমান ফারিব, ফারহানাজ রেজা,শারমিনা সোনিয়া, আর জে রাহী ও আবীর আলমগীর।


সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবারের (১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানমালার মদ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিলনায়তনে গত ৩৬ বছরের ফোবানার ইতিহাস সম্বলিত একটি ভিন্নধর্মী ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর বান্টের শিল্পীরা পরিবেশন করেন কোরাস গান, ড্যান্স ড্রামা ও ওয়াশিংটন ডিসি’র কালচারাল গ্রুপ পরিবেশন করেন তাদের পরিবেশনা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী শাফিন আহমেদ, শিল্পী কনক চাঁপা, আজরিন, লিপি হোসেন, স্বপ্নিল সজীব। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন ফরিদা খান, নাবিলা রিফাত, লাজ, দিনা সামাদ ও ইশান গিবরান। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি ছিল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা, বিষয়ভিত্তিক সভা-সেমিনার, ব্যবসা-বানিজ্য বিষয়ক আলোচনা, বই মেলা, প্রবাসী কবি-সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, ব্যান্ড শো, গীতি নাট্য, ফ্যাশন শো, ইয়ুথ ফোরাম ও শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান। এছাড়াও ছিলো নারীদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সেমিনার এবং দেশে ব্যবসার উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানির উপর সেমিনারসহ প্রায় ২০টির মত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় শনি ও রোববারের অনুষ্ঠানে। উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালী ব্যাবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ‘বিজনেস নেটওয়ার্ক লাঞ্চ, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা,


এদিকে শনি ও রোববার মূলমঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় জনপ্রিয় শিল্পী মিতালী মুখার্জী ও রিজিয়া পারভীন ছাড়াও ইমরান, কনা, শাহনাজ বেলী, মুজা, নির্ঝর, রোমেল আহমদ ও মোমোসহ প্রায় ৫০জন শিল্পী। এছাড়াও ’দিনের অনুষ্ঠানে ছিলো নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে চমৎকার পরিবেশনা। আরো ছিলো প্রবাসী বাংলাশেী কমিউনিটিকে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান।সম্মেলনের সফলতা সম্পর্কে ৩৭তম ফোবানা’র আহবায়ক ও বান্ট-এর সভাপতি হাসমত মোবিন জানান, এবারের সম্মেলন সম্পর্কে এতটুকুই বলবো যে, আমি এবং আমার সাথে যারা কাজ করেছেন আমরা সবাই খুব খুশি যে ডালাসে এত মানুষের সমাগম করতে পেরেছি। আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো তা সার্বিকভাবেই সফল হয়েছি। তিনদিনের সম্মেলনে সবাই অনেক আনন্দ বিনোদনে মেতে উঠেছিল। সবাই প্রবাসের কথা ভুলে গিয়ে তিনদিন শুধু বাংলাদেশের কথাই ভেবেছে। সম্মেলন সফল করায় তিনি আয়োজক কমিটির সকল নেতাকর্মীসহ সকল শিল্পী-কলা কুশলী এবং উপস্থিত র্শকশ্রোতারে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল বলেন, ২০২৩ সালে বান্ট আয়োজিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ফোবানা সম্মেলন জনসমাগম ও সফলতার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্হাপন করেছে বলে তিনি মনে করেন। ধারণা মতে সম্মেলনের তিনদিনে বার হাজারের (১২,০০০) অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। সামান্য ভুল ত্রুটি ছাড়া সাংগঠনিকভাবে আয়োজক কমিটি অত্যন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। ফোবানা’র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


ডালাসে ফোবানা সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফোবানা নির্বাহী কমিটির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ডালাসের ফোবানা সম্মেলনের মত র্শকশ্রোতা এর আগে কোথাও দেখিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে? তা আমি ভেবেও কূল পাচ্ছিলাম না। যুক্তরাষ্ট্রের ৬২টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একমঞ্চে এনে তাদের পরিবেশনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এতটা সহজ কাজ নয়। এটা সম্ভব হয়েছে স্বাগতিক সংগঠনের আহাবায়ক হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মুদ্ধিমত্তায়।


ফোবানা’র নব নির্বাচিত নির্বাহী সচিব আবীর আলমগীর বলেন, ডালাসে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনটি ছিলো গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা সম্মেলন। তিন দিনের সম্মেলনে প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশীদের উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে সকলকে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১৮টি রাজ্যের ২২টি শহর থেকে মোট ৬২টি সংগঠনের কয়েক হাজার সংগঠক অংশগ্রহন করেছিলেন সম্মেলনে। অতীতের সম্মেলনগুলোতে দেখা গেছে সাধারনত মূল মঞ্চের অনুষ্ঠানগুলোতেই র্শকরে উপস্থিতি এবং আকর্ষনটা বেশি থাকে, কিন্তু এবারের সম্মেলনে মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান ছাড়াও কনভেনশন হলের ৪টি ফ্লোরেই নানান অনুষ্ঠান গুলিতে সারাদিন ধরেই উপচে পরা র্শকরে উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহন ছিলো উল্লেখযোগ্য। ইয়ুথ ফোরাম, কাব্য জলসা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক সেমিনারগুলোতে ছিলো হলভর্তি দর্শক।


তিনি আরো জানান, এবারের সম্মেলনে যে ক’জন শিল্পীদের আসার কথা ছিলো তারা প্রত্যেকেই অংশগ্রহন করেছেন এবং উত্তর আমেরিকার প্রায় ৩৪টি সংগঠন পরিবেশন করেছে তাদের চমৎকার লীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যা ছিলো অন্যতম সর্বাধিক অংশগ্রহন। এবারের সম্মেলনে ৫৫টি সংগঠনের ভোটাধিকার ছিলো, সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী এক বছরের জন্য নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি নির্বাচিত করেছেন। প্রায় ১৬টি রাজ্যের সংগঠকরে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এবারের কমিটিতে। নতুন এই টিম নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমার বিশ্বাস একটি চমৎকার টিম ওয়ার্কের মধ্যে পরবর্তী একটি বছর ফোবানাকে সুন্দরভাবে আরো গতিশীল করতে পারবো আমরা।স্বাগতিক সংগঠন বান্ট-এর মিডিয়া এবং যোগাযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজা রহমান বলেন, ডালাসের ফোবানা সম্মেলন অসম্ভব সুর এবং সার্থক সম্মেলন হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার লোকের উপস্থিতিতে শনিবার ও রোববার সবাইকে রাত ২ টা পর্যন্ত ধরে রাখা কম কথা নয়। বান্ট-এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ৩৭তম ফোবানার কালচারাল চেয়ারম্যান শেইখ লিমন বলেন, ফোবানার ইতিহাসে এরকম সফল ফোবানা আর হয়নি আর ভবিষ্যতে হবে বলে মনে হয় না। তিন দিনে প্রায় ১০ হাজারের অধিক সংখক বাঙালীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ডালাসের ইরভিং কনভেনশন সেন্টার। ডালাস ফোবানা নিয়ে গেলো এক অন্য উচ্চতায়। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ডালাসের ফোবানার কথা। সৈয়দ হোসেন জানান, এবারের ডালাস ফোবানাকে সর্বাত্মকভাবেই সফল বলতে হবে। কারন গত কয়েক বছরে এমন ফোবানা কেউ উপহার দিতে পারেনি। আমার দৃষ্টিতে এবারের ফোবানা একটি সফল ফোবানা সম্মেলন।

নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আসলেই একটি সফল ফোবানা সম্মেলন হয়েছে ডালাসে। সুন্দর ও গোছানো অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম এর আগে কোথাও দেখা যায়নি। সুবর্না ডিউক জানান, আমরা শুধু ভালো ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলাম, কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসিত হয়েছিলাম। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের আমাদের সম্পর্কে পড়ার জন্য, কীভাবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং কীভাবে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শক্তিশালী সম্প্রদায় তৈরি করেছি, তা নতুন প্রজন্ম জানতে পেরেছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে। সূত্র : বাংলা প্রেস,

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

উত্তর আমেরিকার ১৮টি রাজ্যের ২২টি শহরের ৬২টি সংগঠন সহ প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশীর অংশগ্রহণ

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : বিভক্ত ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)-এর একাংশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের ডালাসে। ৩৭তম এই সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন ছিলো বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট)। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে ৪/৫ হাজার প্রবাসী অংশ নেন বলে আয়োজকদের দাবী। গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ‘উত্তর আমেরিকার প্রবাসীরে বাঙালীদের মিলনমেলা খ্যাত’ ফোবানা সম্মেলন শেষ হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর রোববার। ডালাস শহরের প্রাণকেন্দ্রের ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার। এরপর সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষনা করেন বান্ট-এর সভাপতি ও ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন। সম্মেলনে টেক্সাস রাজ্যের নানা প্রান্ত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার প্রবাসী যোগ দেন। আয়োজকদের দাবী এবারের সম্মেলনে উত্তর আমেরিকার ৬৪টি সংগঠন অংশ নেয়।


এদিকে ২০২৫ সালে ফোবানা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টার বাংলাধারা সংগঠন। নাহিুল খান সাহেলকে আহবায়ক ও মাহবুবর রহমান ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে। এজন্য বাংলাধারা সংগঠনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ২০২৪ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন হিসেবে গত বছরই দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাশে আমেরিকান এসোশিয়েশন অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)। এ বছরের সম্মেলন থেকে আগামী ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠনের নাম ঘোষনা করা হয়। ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আটলান্টায়। স্বাগতিক সম্মেলন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলা ধারা। বাগডিসি ও বাংলা ধারার নেতা-কর্মীরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে অনুষ্ঠতব্য সম্মেলনের প্রস্তুতি ও তারে পরিকল্পনার কথা শিগগির প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন।


সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের অতিথিদের সম্মানে ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্টিন হোটেলের বল রুমে আয়োজন করা হয় ‘ব্ল্যাক টাই ডিনার’ পার্টি। এ অনুষ্ঠানে বান্ট-এর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আহসান চৌধুরী হিরো, নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, সদস্য সচিব শাম সুদ্দোহা সাগর ও ফোবানার সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ।


সম্মেলনের শুরুতেই ডালাসের ইরভিং কনভেশন সেন্টারে বান্ট’র শিল্পীরা বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ বাস করেন। এ দেশে রয়েছে বহু সংস্কৃতি। এই ডালাস শহর বিনির্মাণে বাংলাদেশীদের রয়েছে যথেষ্ট ভূমিকা। এরই মধ্যে এই শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ফোবানা সম্মেলন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের এ অনুষ্ঠানটি শহরবাসী চিরদিন মনে রাখবেন বলে আশা করেন তিনি। বলেন, এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য একটি সেতু বন্ধনও তৈরি হবে।


ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন পিপলস এন টেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি ড. বেনু রায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডার সবুর খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউশনের পরিচালক হাকিম আরিফ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন, ফোবানার চেয়ারম্যান ড. এহসান চৌধুরী হিরো, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী, ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, হোস্ট কমিটির পক্ষে ৩৭তম ফোবানার কনভেনর হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগর।


সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ বলেন, ফোবানা একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন, প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে। ড. বেনু রায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি উন্নত দেশে বসে এ কনভেশনে আমরা সবাই বাংলায় কথা বলছি, ফোবানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন, যা অনুকরণীয়। ৩৭ বছরের ধারাবাহিতায় ফোবানা আজ সমৃদ্ধ। সবুর খান বলেন, ফোবানা চাইলে ডেফোডিল এর সাথে এন্টারপ্রোনার তৈরীতে ভুমিকা রাখতে পারবে। ফোবানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্কলারশীপ চালু করতে পারে।হাকিম আরিফ বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে ফোবানা পেট্রন করছে, যা আনন্দের ও গৌরবের। যৌথভাবে অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন দিবা সাহা, সাদমান ফারিব, ফারহানাজ রেজা,শারমিনা সোনিয়া, আর জে রাহী ও আবীর আলমগীর।


সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবারের (১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানমালার মদ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিলনায়তনে গত ৩৬ বছরের ফোবানার ইতিহাস সম্বলিত একটি ভিন্নধর্মী ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর বান্টের শিল্পীরা পরিবেশন করেন কোরাস গান, ড্যান্স ড্রামা ও ওয়াশিংটন ডিসি’র কালচারাল গ্রুপ পরিবেশন করেন তাদের পরিবেশনা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী শাফিন আহমেদ, শিল্পী কনক চাঁপা, আজরিন, লিপি হোসেন, স্বপ্নিল সজীব। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন ফরিদা খান, নাবিলা রিফাত, লাজ, দিনা সামাদ ও ইশান গিবরান। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি ছিল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা, বিষয়ভিত্তিক সভা-সেমিনার, ব্যবসা-বানিজ্য বিষয়ক আলোচনা, বই মেলা, প্রবাসী কবি-সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, ব্যান্ড শো, গীতি নাট্য, ফ্যাশন শো, ইয়ুথ ফোরাম ও শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান। এছাড়াও ছিলো নারীদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সেমিনার এবং দেশে ব্যবসার উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানির উপর সেমিনারসহ প্রায় ২০টির মত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় শনি ও রোববারের অনুষ্ঠানে। উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালী ব্যাবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ‘বিজনেস নেটওয়ার্ক লাঞ্চ, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা,


এদিকে শনি ও রোববার মূলমঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় জনপ্রিয় শিল্পী মিতালী মুখার্জী ও রিজিয়া পারভীন ছাড়াও ইমরান, কনা, শাহনাজ বেলী, মুজা, নির্ঝর, রোমেল আহমদ ও মোমোসহ প্রায় ৫০জন শিল্পী। এছাড়াও ’দিনের অনুষ্ঠানে ছিলো নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে চমৎকার পরিবেশনা। আরো ছিলো প্রবাসী বাংলাশেী কমিউনিটিকে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান।সম্মেলনের সফলতা সম্পর্কে ৩৭তম ফোবানা’র আহবায়ক ও বান্ট-এর সভাপতি হাসমত মোবিন জানান, এবারের সম্মেলন সম্পর্কে এতটুকুই বলবো যে, আমি এবং আমার সাথে যারা কাজ করেছেন আমরা সবাই খুব খুশি যে ডালাসে এত মানুষের সমাগম করতে পেরেছি। আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো তা সার্বিকভাবেই সফল হয়েছি। তিনদিনের সম্মেলনে সবাই অনেক আনন্দ বিনোদনে মেতে উঠেছিল। সবাই প্রবাসের কথা ভুলে গিয়ে তিনদিন শুধু বাংলাদেশের কথাই ভেবেছে। সম্মেলন সফল করায় তিনি আয়োজক কমিটির সকল নেতাকর্মীসহ সকল শিল্পী-কলা কুশলী এবং উপস্থিত র্শকশ্রোতারে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল বলেন, ২০২৩ সালে বান্ট আয়োজিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ফোবানা সম্মেলন জনসমাগম ও সফলতার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্হাপন করেছে বলে তিনি মনে করেন। ধারণা মতে সম্মেলনের তিনদিনে বার হাজারের (১২,০০০) অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। সামান্য ভুল ত্রুটি ছাড়া সাংগঠনিকভাবে আয়োজক কমিটি অত্যন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। ফোবানা’র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


ডালাসে ফোবানা সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফোবানা নির্বাহী কমিটির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ডালাসের ফোবানা সম্মেলনের মত র্শকশ্রোতা এর আগে কোথাও দেখিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে? তা আমি ভেবেও কূল পাচ্ছিলাম না। যুক্তরাষ্ট্রের ৬২টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একমঞ্চে এনে তাদের পরিবেশনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এতটা সহজ কাজ নয়। এটা সম্ভব হয়েছে স্বাগতিক সংগঠনের আহাবায়ক হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মুদ্ধিমত্তায়।


ফোবানা’র নব নির্বাচিত নির্বাহী সচিব আবীর আলমগীর বলেন, ডালাসে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনটি ছিলো গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা সম্মেলন। তিন দিনের সম্মেলনে প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশীদের উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে সকলকে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১৮টি রাজ্যের ২২টি শহর থেকে মোট ৬২টি সংগঠনের কয়েক হাজার সংগঠক অংশগ্রহন করেছিলেন সম্মেলনে। অতীতের সম্মেলনগুলোতে দেখা গেছে সাধারনত মূল মঞ্চের অনুষ্ঠানগুলোতেই র্শকরে উপস্থিতি এবং আকর্ষনটা বেশি থাকে, কিন্তু এবারের সম্মেলনে মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান ছাড়াও কনভেনশন হলের ৪টি ফ্লোরেই নানান অনুষ্ঠান গুলিতে সারাদিন ধরেই উপচে পরা র্শকরে উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহন ছিলো উল্লেখযোগ্য। ইয়ুথ ফোরাম, কাব্য জলসা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক সেমিনারগুলোতে ছিলো হলভর্তি দর্শক।


তিনি আরো জানান, এবারের সম্মেলনে যে ক’জন শিল্পীদের আসার কথা ছিলো তারা প্রত্যেকেই অংশগ্রহন করেছেন এবং উত্তর আমেরিকার প্রায় ৩৪টি সংগঠন পরিবেশন করেছে তাদের চমৎকার লীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যা ছিলো অন্যতম সর্বাধিক অংশগ্রহন। এবারের সম্মেলনে ৫৫টি সংগঠনের ভোটাধিকার ছিলো, সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী এক বছরের জন্য নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি নির্বাচিত করেছেন। প্রায় ১৬টি রাজ্যের সংগঠকরে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এবারের কমিটিতে। নতুন এই টিম নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমার বিশ্বাস একটি চমৎকার টিম ওয়ার্কের মধ্যে পরবর্তী একটি বছর ফোবানাকে সুন্দরভাবে আরো গতিশীল করতে পারবো আমরা।স্বাগতিক সংগঠন বান্ট-এর মিডিয়া এবং যোগাযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজা রহমান বলেন, ডালাসের ফোবানা সম্মেলন অসম্ভব সুর এবং সার্থক সম্মেলন হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার লোকের উপস্থিতিতে শনিবার ও রোববার সবাইকে রাত ২ টা পর্যন্ত ধরে রাখা কম কথা নয়। বান্ট-এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ৩৭তম ফোবানার কালচারাল চেয়ারম্যান শেইখ লিমন বলেন, ফোবানার ইতিহাসে এরকম সফল ফোবানা আর হয়নি আর ভবিষ্যতে হবে বলে মনে হয় না। তিন দিনে প্রায় ১০ হাজারের অধিক সংখক বাঙালীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ডালাসের ইরভিং কনভেনশন সেন্টার। ডালাস ফোবানা নিয়ে গেলো এক অন্য উচ্চতায়। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ডালাসের ফোবানার কথা। সৈয়দ হোসেন জানান, এবারের ডালাস ফোবানাকে সর্বাত্মকভাবেই সফল বলতে হবে। কারন গত কয়েক বছরে এমন ফোবানা কেউ উপহার দিতে পারেনি। আমার দৃষ্টিতে এবারের ফোবানা একটি সফল ফোবানা সম্মেলন।

নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আসলেই একটি সফল ফোবানা সম্মেলন হয়েছে ডালাসে। সুন্দর ও গোছানো অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম এর আগে কোথাও দেখা যায়নি। সুবর্না ডিউক জানান, আমরা শুধু ভালো ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলাম, কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসিত হয়েছিলাম। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের আমাদের সম্পর্কে পড়ার জন্য, কীভাবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং কীভাবে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শক্তিশালী সম্প্রদায় তৈরি করেছি, তা নতুন প্রজন্ম জানতে পেরেছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে। সূত্র : বাংলা প্রেস,

বেলী/হককথা