নিউইয়র্ক ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ লেখা আমন্ত্রণপত্র ঘিরে নতুন জল্পনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৬ বার পঠিত

‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ লেখা আমন্ত্রণপত্র ঘিরে নতুন জল্পনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য কী? তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের আয়োজনে জি-২০ বৈঠকে একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে যা লেখা হয়েছে, তা নিয়ে দেশের নামবদলের জল্পনায় আরো গতি বেড়েছে।

বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, ঐ আমন্ত্রণপত্রে চিরাচরিতভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কি এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার? আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের প্রেসিডেন্ট কাউকে কোনো চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিতভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি-২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, আকস্মিকভাবে এমন বদলের কারণ কি? এই বিষয় নিয়েই বিজেপির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) রমেশের কটাক্ষ, তাহলে যেটা শুনেছিলাম, সেটাই সত্যি! আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ভবনে জি-২০ নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’, অথচ চিরাচরিতভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ লেখাই দস্তুর।’

কংগ্রেসের এই আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই আরো একটি জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলো, পার্লামেন্টের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কি দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে সব ভাষাতেই ভারত করার প্রস্তাব আনতে চলেছে মোদি সরকার? বিশেষ অধিবেশন কী কারণে তা এখনো স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। অনেকের দাবি, ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হতে পারে। অনেকেরই আবার দাবি, মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ হতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই জি-২০ নেতাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণের চিঠিতে ভারতের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র ঘিরে নতুন জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে জোট তৈরি করেছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। তাতে কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির), এনসিপি, এসপি, জেডিইউ, ডিএমকের মতো একাধিক বিজেপিবিরোধী দল রয়েছে। প্রথমে পাটনা, তারপর বেঙ্গালুরু হয়ে ইন্ডিয়ার নেতারা সম্প্রতি মুম্বাইয়েও মিলিত হয়ে বিশদে আলোচনা সেরেছেন। তৈরি হয়েছে সমন্বয় কমিটিও। আগামী লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া মোদির বিজেপিকে কড়া টক্করের মুখে ফেলতে চলেছে বলে বিশ্বাস বিরোধী নেতাদের। চুপ নেই বিজেপিও। ‘ইন্ডিয়া’ নামটি নিয়ে একাধিকবার সরাসরি কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাতে সুর মিলিয়েছেন বিজেপির অনেক নেতা। এবার কি সেই ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে দেশের নাম শুধু ভারত করার লক্ষ্যে হাঁটতে শুরু করলো মোদি সরকার? জল্পনা বাড়ছে। —আনন্দবাজার পত্রিকা

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ লেখা আমন্ত্রণপত্র ঘিরে নতুন জল্পনা

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য কী? তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের আয়োজনে জি-২০ বৈঠকে একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে যা লেখা হয়েছে, তা নিয়ে দেশের নামবদলের জল্পনায় আরো গতি বেড়েছে।

বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, ঐ আমন্ত্রণপত্রে চিরাচরিতভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কি এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার? আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের প্রেসিডেন্ট কাউকে কোনো চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিতভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি-২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, আকস্মিকভাবে এমন বদলের কারণ কি? এই বিষয় নিয়েই বিজেপির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) রমেশের কটাক্ষ, তাহলে যেটা শুনেছিলাম, সেটাই সত্যি! আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ভবনে জি-২০ নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’, অথচ চিরাচরিতভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ লেখাই দস্তুর।’

কংগ্রেসের এই আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই আরো একটি জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলো, পার্লামেন্টের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে কি দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে সব ভাষাতেই ভারত করার প্রস্তাব আনতে চলেছে মোদি সরকার? বিশেষ অধিবেশন কী কারণে তা এখনো স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। অনেকের দাবি, ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিল আনা হতে পারে। অনেকেরই আবার দাবি, মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ হতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই জি-২০ নেতাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণের চিঠিতে ভারতের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র ঘিরে নতুন জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে জোট তৈরি করেছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। তাতে কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির), এনসিপি, এসপি, জেডিইউ, ডিএমকের মতো একাধিক বিজেপিবিরোধী দল রয়েছে। প্রথমে পাটনা, তারপর বেঙ্গালুরু হয়ে ইন্ডিয়ার নেতারা সম্প্রতি মুম্বাইয়েও মিলিত হয়ে বিশদে আলোচনা সেরেছেন। তৈরি হয়েছে সমন্বয় কমিটিও। আগামী লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া মোদির বিজেপিকে কড়া টক্করের মুখে ফেলতে চলেছে বলে বিশ্বাস বিরোধী নেতাদের। চুপ নেই বিজেপিও। ‘ইন্ডিয়া’ নামটি নিয়ে একাধিকবার সরাসরি কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাতে সুর মিলিয়েছেন বিজেপির অনেক নেতা। এবার কি সেই ‘ইন্ডিয়া’ নাম বদলে দেশের নাম শুধু ভারত করার লক্ষ্যে হাঁটতে শুরু করলো মোদি সরকার? জল্পনা বাড়ছে। —আনন্দবাজার পত্রিকা

বেলী/হককথা