নিউইয়র্ক ০১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’ চন্দ্রযান-৩

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৭ বার পঠিত

চাঁদে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার । ছবি- সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর প্রায় ১১ দিন পার করলো ভারতের প্রথম মুন রোভার। ১৪ দিনের মিশন হাতে নিয়ে গেলেও সময়ের আগেই চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞানের যাবতীয় কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে। তাই রোভারটিকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। শনিবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ইসরো। ইসরো বলেছে, আরেকটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য সফলভাবে রোভারটিকে জাগানো যাবে বলে তারা আশা করছে। রোভারটিকে জাগাতে না পারলে সেটি চিরকালের জন্য ভারতের দূত হিসেবে চাঁদে রয়ে যাবে বলে জানায় ইসরো।

ইসরো জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়া হলেও রোভারটির ব্যাটারিতে পুরো চার্জ আছে। পরেরবার যখন চাঁদে সূর্য উঠবে, তখন যাতে সূর্যের আলো পায়, সেজন্য সোলার প্যানেলকে সেভাবেই রাখা হয়েছে। পৃথিবীর রিসিভার বা তথ্য গ্রহণকারী যন্ত্রটিকেও চালু রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। রোভারটিকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানান, চাঁদে রাত নামছে বলে এঁকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদে আবার আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সূর্য উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । ওড়িশায় দুই ঘণ্টায় ৬১ হাজার বার বজ্রপাত

গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর যে ১১ দিন ‘জেগে’ ছিল রোভারটি, সেই ১১ দিনে ঠাসা কাজ ছিল রোভারের। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়িয়ে সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন তথ্য। শনিবার সকালেই ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছে রোভার প্রজ্ঞান। রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হিমায়িত পানি খুঁজে পেয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু এখনো জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, হিমায়িত পানি পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযাত্রীদের সুপেয় পানির সম্ভাব্য উৎস বা রকেট জ্বালানি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ সপ্তাহের শুরুতে মহাকাশ সংস্থাটি জানায়, রোভার চাঁদের বুকে সালফারের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু উপকরণ চিহ্নিত করেছে। রোভারের লেসার-নির্ভর স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অক্সিজেন ও সিলিকন খুঁজে পেয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়।

ভারতের মহাকাশ কার্যক্রম ১৯৬০ থেকে চলছে। এ সময়ে ভারত নিজেদের ও অন্যান্য দেশের জন্য স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে এবং ২০১৪ সালে সাফল্যের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট বসিয়েছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রথম অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’ চন্দ্রযান-৩

প্রকাশের সময় : ১১:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পর প্রায় ১১ দিন পার করলো ভারতের প্রথম মুন রোভার। ১৪ দিনের মিশন হাতে নিয়ে গেলেও সময়ের আগেই চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞানের যাবতীয় কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে। তাই রোভারটিকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। শনিবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ইসরো। ইসরো বলেছে, আরেকটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য সফলভাবে রোভারটিকে জাগানো যাবে বলে তারা আশা করছে। রোভারটিকে জাগাতে না পারলে সেটি চিরকালের জন্য ভারতের দূত হিসেবে চাঁদে রয়ে যাবে বলে জানায় ইসরো।

ইসরো জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়া হলেও রোভারটির ব্যাটারিতে পুরো চার্জ আছে। পরেরবার যখন চাঁদে সূর্য উঠবে, তখন যাতে সূর্যের আলো পায়, সেজন্য সোলার প্যানেলকে সেভাবেই রাখা হয়েছে। পৃথিবীর রিসিভার বা তথ্য গ্রহণকারী যন্ত্রটিকেও চালু রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। রোভারটিকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানান, চাঁদে রাত নামছে বলে এঁকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদে আবার আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সূর্য উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । ওড়িশায় দুই ঘণ্টায় ৬১ হাজার বার বজ্রপাত

গত ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর যে ১১ দিন ‘জেগে’ ছিল রোভারটি, সেই ১১ দিনে ঠাসা কাজ ছিল রোভারের। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়িয়ে সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন তথ্য। শনিবার সকালেই ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছে রোভার প্রজ্ঞান। রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হিমায়িত পানি খুঁজে পেয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু এখনো জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, হিমায়িত পানি পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযাত্রীদের সুপেয় পানির সম্ভাব্য উৎস বা রকেট জ্বালানি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ সপ্তাহের শুরুতে মহাকাশ সংস্থাটি জানায়, রোভার চাঁদের বুকে সালফারের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু উপকরণ চিহ্নিত করেছে। রোভারের লেসার-নির্ভর স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি অ্যালুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অক্সিজেন ও সিলিকন খুঁজে পেয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়।

ভারতের মহাকাশ কার্যক্রম ১৯৬০ থেকে চলছে। এ সময়ে ভারত নিজেদের ও অন্যান্য দেশের জন্য স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে এবং ২০১৪ সালে সাফল্যের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট বসিয়েছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রথম অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া

বেলী/হককথা