নিউইয়র্ক ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শেখ হাসিনাকে যে দুই নির্বাচনি বার্তা দিতে পারে ভারত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৯ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশে আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দু’টি বার্তা দিতে পারে ভারত। আগামী মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে এই বার্তাগুলো দেওয়া হতে পারে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, এখন প্রশ্ন হলো শক্তিশালী নেতা শেখ হাসিনা, যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে, তিনি এসব পরামর্শ মানবেন কিনা। ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বার্তা দুটি হচ্ছে-বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং তার দল আওয়ামী লীগকে চীন ও ইসলামপন্থীদের বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে। এসব বার্তার বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে। এসব বৈঠক ভারত এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে হয়।

অতীতে (২০১৮ সালের মতো) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। তবে এবার দেশ দুটির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ছায়া এবারের নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই নির্বাচন মানসম্মত হয়নি বলে মনে করা হয়। বিপরীতে নির্বাচন ঘিরে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি দিল্লি।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের অন্যতম প্রধান দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না থাকায় বিষয়টি নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্নীতি এবং ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উভয় পক্ষেরই ঐকমত্য রয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে; যা সাধারণ বাংলাদেশিদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রাথমিক এজেন্ডা বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় আনবে এবং এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জো বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ করা উচিত বলে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির এমন মিল কেবল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের অতীতের পার্থক্যের কারণে নয়।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনাকে যে দুই নির্বাচনি বার্তা দিতে পারে ভারত

প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশে আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দু’টি বার্তা দিতে পারে ভারত। আগামী মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে এই বার্তাগুলো দেওয়া হতে পারে। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, এখন প্রশ্ন হলো শক্তিশালী নেতা শেখ হাসিনা, যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে, তিনি এসব পরামর্শ মানবেন কিনা। ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বার্তা দুটি হচ্ছে-বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং তার দল আওয়ামী লীগকে চীন ও ইসলামপন্থীদের বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে। এসব বার্তার বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুই দেশের (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে। এসব বৈঠক ভারত এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে হয়।

অতীতে (২০১৮ সালের মতো) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। তবে এবার দেশ দুটির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ছায়া এবারের নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই নির্বাচন মানসম্মত হয়নি বলে মনে করা হয়। বিপরীতে নির্বাচন ঘিরে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি দিল্লি।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের অন্যতম প্রধান দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না থাকায় বিষয়টি নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্নীতি এবং ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উভয় পক্ষেরই ঐকমত্য রয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে; যা সাধারণ বাংলাদেশিদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রাথমিক এজেন্ডা বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় আনবে এবং এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জো বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ করা উচিত বলে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির এমন মিল কেবল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের অতীতের পার্থক্যের কারণে নয়।
সুমি/হককথা