নিউইয়র্ক ১১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভোটকেন্দ্রে হিরো আলমকে পেটাল দুর্বৃত্তরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৬৯ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : ঢাকা- ১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় মারধরের শিকার হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম।

সোমবার (১৭ জুলাই) বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হন। দুপুরের দিকে তিনি ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বাইরে অবস্থান করা একদল লোক চিৎকার করে তাকে মারধর করে।

হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে হামলাকারীদের বলতে শোনা যায়, সে করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে? কেউ কেউ আবার বলছিলেন, তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।

হিরো আলম চলে যাওয়ার পর পুলিশ হিরো আলমকে মারধরকারীদের একজনকে আটক করে।

এঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আমি সারাদিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়।

এদিকে, আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে হিরো আলমকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলমের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস বলেন, আমরা সারাদিন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয় হিরো আলমকে। চিকিৎসা চলছে। পরে সব কিছু জানা যাবে।

এর আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে হিরো আলমের এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় ভোট পুরোপুরি সুষ্ঠু হচ্ছে না দাবি করে হিরো আলম বলেন, যেহেতু আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে ভোট কীভাবে সুষ্ঠু হবে? যেখানে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে ভোটাররা আসবেন কীভাবে? একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। একতরফা সিল মারার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নানান কারণে দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টি-জাপার সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।- সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভোটকেন্দ্রে হিরো আলমকে পেটাল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : ঢাকা- ১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় মারধরের শিকার হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম।

সোমবার (১৭ জুলাই) বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হন। দুপুরের দিকে তিনি ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বাইরে অবস্থান করা একদল লোক চিৎকার করে তাকে মারধর করে।

হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে হামলাকারীদের বলতে শোনা যায়, সে করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে? কেউ কেউ আবার বলছিলেন, তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।

হিরো আলম চলে যাওয়ার পর পুলিশ হিরো আলমকে মারধরকারীদের একজনকে আটক করে।

এঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আমি সারাদিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়।

এদিকে, আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে হিরো আলমকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলমের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস বলেন, আমরা সারাদিন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয় হিরো আলমকে। চিকিৎসা চলছে। পরে সব কিছু জানা যাবে।

এর আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে হিরো আলমের এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় ভোট পুরোপুরি সুষ্ঠু হচ্ছে না দাবি করে হিরো আলম বলেন, যেহেতু আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে ভোট কীভাবে সুষ্ঠু হবে? যেখানে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানে ভোটাররা আসবেন কীভাবে? একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। একতরফা সিল মারার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নানান কারণে দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টি-জাপার সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।- সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

নাসরিন /হককথা