নিউইয়র্ক ১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দেশ ও প্রবাসের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক-কবির অংশগ্রহণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১৩৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার থেকে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী ‘নিউইয়র্ক বইমেলা-২০২৩’। চলবে সোমবার পর্যন্ত। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জ্যামাইকা পারফমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এবারের বইমেলা হচ্ছে ৩২তম মেলা। মেলার প্রথম দিন শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সেতারা রহমান (বীর প্রতীক) পাশে নিয়ে কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় মেলা কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিত সাহা। খবর ইউএনএ’র।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ছাড়াও ‘ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের একাধিক বাঙালী এই মেলায় অংশগ্রহণ করায় এবং মেলার ব্যপ্তি বিস্তৃত হয়েছে বলে ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা’র নাম পরিবর্তন করে ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’র ঘোষণা দেওয়া হলো। উদ্বোদনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বইমেলা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এটিকে আন্তর্জাতিক বইমেলা নামকরণে কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না। অনুষ্ঠানে বিপুল করতালির মধ্যে উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে প্রথমে এই ঘোষণা দেন বইমেলার আহবায়ক, বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুন নূর এবং এরপরই ঘোষনার সাথে একাত্ততা প্রকাশ করেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী। আগামী বছর থেকে অর্থাৎ ৩৩তম বইমেলার নামকরণ হলো ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’।

বইমেলার উদ্বোধনের পর মিলনায়তনের ভেতরের মূলমঞ্চে উঠার সময় ৩২ বছরের মেলার মূলপর্বের আগে ৩২ জন খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক-লেখক-প্রকাশককে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় এবং তারা ৩২টি প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। প্রদীপ প্রজ্জলকারীদের মধ্যে ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান, কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, ‘মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’র প্রবর্তক, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক এবং শিল্পপতি গোলাম ফারুক ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার, অভিনেত্রী রেখা আহমদ, লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, লেখক ফেরদৌস সাজেদীন, জসীম মল্লিক, প্রকাশ মনিরুল হক, নালন্দা প্রকাশনী’র রেদয়ানুর রহমান জুয়েল, কাহিনীক-এর কর্ণধার ইফতেখার ইভান, কথা প্রকাশ-এর জসিম উদ্দিন, অন্বয় প্রকাশ-এর কর্ণধার ছড়াকার হুমায়ুন কবীর ঢালী, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বইমেলার প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের জীবিত একমাত্র বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান বলেন, ‘আমি এখানে এসে এতো আনন্দিত, খুশি এবং গর্বিত। মনে হচ্ছে যে, আমার বীর প্রতীক খেতাব পাওয়াটা বোধহয় স্বার্থকই হয়েছে। কারণ, এখানে এত বাঙালী-বাংলাদেশ, কলকাতা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানী, অস্ট্রিলিয়া থেকে এসেছেন, সবারই একটি পরিচয়, তা হচ্ছে বাঙালী।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৭৮ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বলে চেয়ারে বসে বক্তব্য প্রদান করেন।

মেলার উদ্বোধনী পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বইমেলা শব্দটি আমার কাছে মনে হয় এটি একটি প্রবেশদ্বার, এটি বইয়ের জগতকে আপনার সামনে উম্মুক্ত করে দেয়। যখনই কেউ বইয়ের জগতে প্রবেশ করেন তখনই তার কল্পনাজগত এবং সৃজনশীলতার জগতে প্রবেশ করেন। যার মাধ্যমে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন এবং নিজের সম্ভাবনাগুলোকে নতুন করে আবিষ্কারের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। আর এমন একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে বহুজাতিক এ সমাজে।’

ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের লেখক-কবি-সাহিত্যিকগণের মধ্যে যারা এই প্রবাসে স্থায়ীভাবে বাস করছেন তাদের সেই সত্ত্বা অটুট রেখে বাঙালী সংস্কৃতির ফল্গুধারা নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপনের চমৎকার একটি পরিবেশ তৈরি করেছে এই বইমেলা। একইসাথে আমি আরো মনে করছি, যারা বাংলাদেশে থাকতে লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন না, তাদেরও একটি অংশ এই প্রবাসে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এবং উৎসাহবোধ করছেন গত ৩২ বছরের এই মেলা থেকে। প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা, আবেগ, যে অনুভূতি তা প্রকাশ করার জন্য অনেকে লেখছেন অথবা উদ্যোগী হয়েছেন। তাই এই বইমেলা শুধু বই পড়ার জন্যই নয়, নতুন লেখক সৃষ্টিতেও অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছে।’

লেখক-সাংবাদিক শামীম আল আমীন এবং উর্বি হাই’র উপস্থাপনায় উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, আবৃত্তি শিল্পী আহকাম উল্লাহ, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন, কলকাতা বইমেলার সভাপতি সুধাংশ শেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিকে মেলার আয়োজন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এবারের মেলায় নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ দিন থাকছে মেলার শেষ দিন সোমবার।

বিশিষ্ট লেখক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় মেলার আহ্বায়ক ড. আব্দুর নূর সহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. নূরুরন্নবী, সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার, নিনি ওয়াহিদ, লুৎফুর রহমান রিটন, সঙ্গীত শিল্পী পবন দাস, ঢাকার অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হক, লেখক ফাহিম রেজা নূর, নতুন প্রজন্মের সেমন্তী ওয়াহেদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, এবারের বইমেলায় দেশ ও প্রবাসের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক-কবি-প্রাবন্ধিক যোগ দিয়েছেন বলে মেলার কর্মকর্তারা জানান। মেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা দুই হাজার। মেলায় বাংলাদেশ, কলকাতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিল্পীরা বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন। রয়েছে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে ‘শিশু-কিশোর যুব উৎসব’।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দেশ ও প্রবাসের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক-কবির অংশগ্রহণ

প্রকাশের সময় : ০১:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

হককথা ডেস্ক : উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার থেকে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী ‘নিউইয়র্ক বইমেলা-২০২৩’। চলবে সোমবার পর্যন্ত। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জ্যামাইকা পারফমিং আর্টস সেন্টারে আয়োজিত এবারের বইমেলা হচ্ছে ৩২তম মেলা। মেলার প্রথম দিন শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সেতারা রহমান (বীর প্রতীক) পাশে নিয়ে কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় মেলা কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিত সাহা। খবর ইউএনএ’র।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক ছাড়াও ‘ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের একাধিক বাঙালী এই মেলায় অংশগ্রহণ করায় এবং মেলার ব্যপ্তি বিস্তৃত হয়েছে বলে ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা’র নাম পরিবর্তন করে ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’র ঘোষণা দেওয়া হলো। উদ্বোদনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বইমেলা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এটিকে আন্তর্জাতিক বইমেলা নামকরণে কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না। অনুষ্ঠানে বিপুল করতালির মধ্যে উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে প্রথমে এই ঘোষণা দেন বইমেলার আহবায়ক, বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুন নূর এবং এরপরই ঘোষনার সাথে একাত্ততা প্রকাশ করেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী। আগামী বছর থেকে অর্থাৎ ৩৩তম বইমেলার নামকরণ হলো ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’।

বইমেলার উদ্বোধনের পর মিলনায়তনের ভেতরের মূলমঞ্চে উঠার সময় ৩২ বছরের মেলার মূলপর্বের আগে ৩২ জন খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক-লেখক-প্রকাশককে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় এবং তারা ৩২টি প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। প্রদীপ প্রজ্জলকারীদের মধ্যে ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান, কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, ‘মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’র প্রবর্তক, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক এবং শিল্পপতি গোলাম ফারুক ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার, অভিনেত্রী রেখা আহমদ, লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, লেখক ফেরদৌস সাজেদীন, জসীম মল্লিক, প্রকাশ মনিরুল হক, নালন্দা প্রকাশনী’র রেদয়ানুর রহমান জুয়েল, কাহিনীক-এর কর্ণধার ইফতেখার ইভান, কথা প্রকাশ-এর জসিম উদ্দিন, অন্বয় প্রকাশ-এর কর্ণধার ছড়াকার হুমায়ুন কবীর ঢালী, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বইমেলার প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের জীবিত একমাত্র বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান বলেন, ‘আমি এখানে এসে এতো আনন্দিত, খুশি এবং গর্বিত। মনে হচ্ছে যে, আমার বীর প্রতীক খেতাব পাওয়াটা বোধহয় স্বার্থকই হয়েছে। কারণ, এখানে এত বাঙালী-বাংলাদেশ, কলকাতা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানী, অস্ট্রিলিয়া থেকে এসেছেন, সবারই একটি পরিচয়, তা হচ্ছে বাঙালী।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৭৮ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা রহমান বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বলে চেয়ারে বসে বক্তব্য প্রদান করেন।

মেলার উদ্বোধনী পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বইমেলা শব্দটি আমার কাছে মনে হয় এটি একটি প্রবেশদ্বার, এটি বইয়ের জগতকে আপনার সামনে উম্মুক্ত করে দেয়। যখনই কেউ বইয়ের জগতে প্রবেশ করেন তখনই তার কল্পনাজগত এবং সৃজনশীলতার জগতে প্রবেশ করেন। যার মাধ্যমে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন এবং নিজের সম্ভাবনাগুলোকে নতুন করে আবিষ্কারের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। আর এমন একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে বহুজাতিক এ সমাজে।’

ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের লেখক-কবি-সাহিত্যিকগণের মধ্যে যারা এই প্রবাসে স্থায়ীভাবে বাস করছেন তাদের সেই সত্ত্বা অটুট রেখে বাঙালী সংস্কৃতির ফল্গুধারা নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপনের চমৎকার একটি পরিবেশ তৈরি করেছে এই বইমেলা। একইসাথে আমি আরো মনে করছি, যারা বাংলাদেশে থাকতে লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন না, তাদেরও একটি অংশ এই প্রবাসে লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এবং উৎসাহবোধ করছেন গত ৩২ বছরের এই মেলা থেকে। প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা, আবেগ, যে অনুভূতি তা প্রকাশ করার জন্য অনেকে লেখছেন অথবা উদ্যোগী হয়েছেন। তাই এই বইমেলা শুধু বই পড়ার জন্যই নয়, নতুন লেখক সৃষ্টিতেও অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছে।’

লেখক-সাংবাদিক শামীম আল আমীন এবং উর্বি হাই’র উপস্থাপনায় উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, আবৃত্তি শিল্পী আহকাম উল্লাহ, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন, কলকাতা বইমেলার সভাপতি সুধাংশ শেখর দে, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিকে মেলার আয়োজন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এবারের মেলায় নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ দিন থাকছে মেলার শেষ দিন সোমবার।

বিশিষ্ট লেখক হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় মেলার আহ্বায়ক ড. আব্দুর নূর সহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. নূরুরন্নবী, সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার, নিনি ওয়াহিদ, লুৎফুর রহমান রিটন, সঙ্গীত শিল্পী পবন দাস, ঢাকার অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হক, লেখক ফাহিম রেজা নূর, নতুন প্রজন্মের সেমন্তী ওয়াহেদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, এবারের বইমেলায় দেশ ও প্রবাসের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও শতাধিক লেখক-সাহিত্যিক-কবি-প্রাবন্ধিক যোগ দিয়েছেন বলে মেলার কর্মকর্তারা জানান। মেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা দুই হাজার। মেলায় বাংলাদেশ, কলকাতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিল্পীরা বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন। রয়েছে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে ‘শিশু-কিশোর যুব উৎসব’।