নিউইয়র্ক ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৭ লাখ ফি বকেয়া, জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ এক মাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সার্ভার এক মাস ধরে বন্ধ করে রয়েছে। সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অতি দপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান টাকা বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া তা অস্বীকার করেছেন। মেয়র জানান, সার্ভারে সমস্যা থাকার কারণে তা বন্ধ রয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌরসভাটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ২ মাস ধরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আগের নিবন্ধন ও সংশোধনের ফি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছেই জমা হতো। সেই ফি এর প্রায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। গত ৩ জুন পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে গেলে আইডিটি পরিবর্তন করতে গিয়ে আগের বকেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর ১১ জুন থেকে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জনগণকে। অনেকেই নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধন এবং শিক্ষার্থীদের বাংলা থেকে ইংরেজি জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন কার্যক্রম করেন পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর জান্নাতুল লোভা। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি নতুন নিবন্ধন ও সংশোধনের আবেদ আসে। ১১ জুন থেকে ৪০০ সংশোধন ও নতুন আবেদন জমা হয়ে রয়েছে।

সেবা নিতে এসে অনেকের মতো ফিরে যেতে হয়েছে পৌরশহরের নগুয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এম এ আজিজকে। তিনি বলেন, গত ২১ জুন আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বিল পরিশোধ করি। পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ থাকায় এখনও জন্ম নিবন্ধন করতে পারিনি।

পৌরসভার গাইটাল এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানা আক্তার তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম তাকরিমের জন্ম নিবন্ধনে মায়ের নাম পরিবর্তন করতে এসেও সার্ভার বন্ধ দেখায় ঘুরে গেছেন। জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সার্ভার বন্ধ থাকায় তিনি তা করতে পারছেন না।

বকেয়া টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, আমাদের কোনো বকেয়া নেই। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তবে সার্ভারের সমস্যার কারণে তা বন্ধ রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজ্বে রয়েছে তাই কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার অতিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্রায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল পৌরসভাকেই পরিশোধ করতে হবে। বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন আইডি তৈরি করা যাচ্ছে না। যে কর্মকর্তা হজে গিয়েছেন তিনি এলেই পুনরায় তার আইডি থেকে কার্যক্রম চালানো যাবে।- সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৭ লাখ ফি বকেয়া, জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ এক মাস

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সার্ভার এক মাস ধরে বন্ধ করে রয়েছে। সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অতি দপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান টাকা বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া তা অস্বীকার করেছেন। মেয়র জানান, সার্ভারে সমস্যা থাকার কারণে তা বন্ধ রয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌরসভাটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ২ মাস ধরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন ফি জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আগের নিবন্ধন ও সংশোধনের ফি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছেই জমা হতো। সেই ফি এর প্রায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে আছে। গত ৩ জুন পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে গেলে আইডিটি পরিবর্তন করতে গিয়ে আগের বকেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর ১১ জুন থেকে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জনগণকে। অনেকেই নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধন এবং শিক্ষার্থীদের বাংলা থেকে ইংরেজি জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন কার্যক্রম করেন পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর জান্নাতুল লোভা। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি নতুন নিবন্ধন ও সংশোধনের আবেদ আসে। ১১ জুন থেকে ৪০০ সংশোধন ও নতুন আবেদন জমা হয়ে রয়েছে।

সেবা নিতে এসে অনেকের মতো ফিরে যেতে হয়েছে পৌরশহরের নগুয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এম এ আজিজকে। তিনি বলেন, গত ২১ জুন আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বিল পরিশোধ করি। পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ থাকায় এখনও জন্ম নিবন্ধন করতে পারিনি।

পৌরসভার গাইটাল এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানা আক্তার তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম তাকরিমের জন্ম নিবন্ধনে মায়ের নাম পরিবর্তন করতে এসেও সার্ভার বন্ধ দেখায় ঘুরে গেছেন। জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সার্ভার বন্ধ থাকায় তিনি তা করতে পারছেন না।

বকেয়া টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, আমাদের কোনো বকেয়া নেই। জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তবে সার্ভারের সমস্যার কারণে তা বন্ধ রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজ্বে রয়েছে তাই কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার অতিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্রায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল পৌরসভাকেই পরিশোধ করতে হবে। বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন আইডি তৈরি করা যাচ্ছে না। যে কর্মকর্তা হজে গিয়েছেন তিনি এলেই পুনরায় তার আইডি থেকে কার্যক্রম চালানো যাবে।- সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাসরিন /হককথা