নিউইয়র্ক ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, বন্যা, ধস, মৃত বেড়ে ২৮

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১ বার পঠিত

ছবি- সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারী বৃষ্টি, বন্যা আর ভূমিধসে ভারতের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দু-একদিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গসহ দেশটির একাধিক রাজ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দিল্লি, হিমাচল প্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্য। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) সোমবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, নয়াদিল্লি এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে।

তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণে কোথাও ভূমিধস, কোথায় আকস্মিক বন্যা এবং তীব্র জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিল্লিতে এরই মধ্যে ভেঙেছে ৪১ বছরের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। যা ১৯৮২ সালের পর জুলাইয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

অতিবৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায় দিল্লির পার্ক, আন্ডারপাস, মার্কেট, হাসপাতাল চত্বর। রাস্তায় দেখা দেয় যানজট। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশের সাড়ে তিন হাজার সদস্য।

দিল্লির এক বাসিন্দা জানান, আমি স্কুটারে জিনিসপত্র আনা-নেয়া করি। বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আমার স্কুটার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন স্কুটার ছেড়ে যেতেও পারছি না।

আরও দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে শনিবার থেকে ১৪টি ভূমিধস ও ১৩ জায়গায় বন্যা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। সোম ও মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ কয়েকটি রাজ্যও।

হিমাচল প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, বিয়াস নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিনি।

দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, বন্যা, ধস, মৃত বেড়ে ২৮

প্রকাশের সময় : ০৫:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারী বৃষ্টি, বন্যা আর ভূমিধসে ভারতের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দু-একদিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গসহ দেশটির একাধিক রাজ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা এড়াতে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দিল্লি, হিমাচল প্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্য। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) সোমবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, নয়াদিল্লি এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে আগামী কয়েক দিন আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে।

তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণে কোথাও ভূমিধস, কোথায় আকস্মিক বন্যা এবং তীব্র জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিল্লিতে এরই মধ্যে ভেঙেছে ৪১ বছরের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। যা ১৯৮২ সালের পর জুলাইয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

অতিবৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যায় দিল্লির পার্ক, আন্ডারপাস, মার্কেট, হাসপাতাল চত্বর। রাস্তায় দেখা দেয় যানজট। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশের সাড়ে তিন হাজার সদস্য।

দিল্লির এক বাসিন্দা জানান, আমি স্কুটারে জিনিসপত্র আনা-নেয়া করি। বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আমার স্কুটার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন স্কুটার ছেড়ে যেতেও পারছি না।

আরও দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে শনিবার থেকে ১৪টি ভূমিধস ও ১৩ জায়গায় বন্যা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। সোম ও মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ কয়েকটি রাজ্যও।

হিমাচল প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, বিয়াস নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। ২০ বছরের মধ্যে আমরা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিনি।

দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া

নাসরিন /হককথা