নিউইয়র্ক ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভারতে বৈষম্যের স্থান নেই : বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / ৫৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, গণতন্ত্র ভারতের শিরায় প্রবাহিত। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে ভারতে কোনো বৈষম্যের স্থান নেই। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) হোয়াইট হাউজে প্রেসডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমসের।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমরা প্রত্যেক নাগরিকের সম্মান এবং মর্যাদায় বিশ্বাস করি। ভারত এবং আমেরিকার ডিএনএর মধ্যেই গণতন্ত্র রয়েছে। গণতন্ত্রই আমাদের চেতনা। এর মধ্য দিয়েই আমরা বেঁচে আছি। আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের সংবিধানে এটি গেঁথে গেছেন। গণতন্ত্র নিয়ে সংবিধানের নীতিই আমরা মেনে চলি। তাই ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে ভারতে কোনো ধরনের বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, এ কারণেই ভারত বিশ্বাস করে সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ, সবার বিশ্বাস, সবার প্রয়াস মিলে সবাই একসঙ্গে সামনে এগিয়ে চলি। সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, ‘গণতন্ত্রই দিতে পারে’। আর যখন আমি দেওয়ার কথা বলছি তখন বৈষম্যের সুযোগ থাকে না। ভারত সরকার যে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, দেশের সব জনগণই তা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, মানুষের মূল্য, মানবতা আর মানবাধিকার না থাকলে কোনো দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। আপনি যখন ভারতকে গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন, তখন সেখানে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দুজনই একমত হয়েছি যে কৌশলগত প্রযুক্তির অংশীদারত্ব পরিপূর্ণ করতে আমাদের সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ এবং জলবায়ু প্রসঙ্গে মোদি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে পরিবেশ এবং জলবায়ুর গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তিনি বলেন, পরিবেশ আমাদের কাছে একটা বিশ্বাসের বস্তু। আমরা প্রকৃতির সঙ্গে বিরূপ আচরণে বিশ্বাস করি না। ভারত কেবল নিজের দেশের পরিবেশ রক্ষায়ই কাজ করছে না, বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায়ও ভারত কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা বিশ্বব্যাপী নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। পরিবেশ রক্ষায় প্যারিসে যে প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়েছিল জি২০ দেশের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ যে সেই প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি, অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে অংশীদারত্বকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুদেশের এ সম্পর্ককে তিনি অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি জোরদার, ঘনিষ্ঠ এবং গতিশীল বলে উল্লেখ করেন। বাইডেন জানান, ভারতের কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির এবার ওয়াশিংটন সফরের সময়ই এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে হোয়াইট হাউজের সবুজ লনে অসাধারণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় মোদিকে। ১৯টি গান স্যালুট দেওয়া হয়। আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন নরেন্দ্র মোদি।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভারতে বৈষম্যের স্থান নেই : বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদি

প্রকাশের সময় : ০১:১৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, গণতন্ত্র ভারতের শিরায় প্রবাহিত। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে ভারতে কোনো বৈষম্যের স্থান নেই। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) হোয়াইট হাউজে প্রেসডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমসের।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমরা প্রত্যেক নাগরিকের সম্মান এবং মর্যাদায় বিশ্বাস করি। ভারত এবং আমেরিকার ডিএনএর মধ্যেই গণতন্ত্র রয়েছে। গণতন্ত্রই আমাদের চেতনা। এর মধ্য দিয়েই আমরা বেঁচে আছি। আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের সংবিধানে এটি গেঁথে গেছেন। গণতন্ত্র নিয়ে সংবিধানের নীতিই আমরা মেনে চলি। তাই ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের ভিত্তিতে ভারতে কোনো ধরনের বৈষম্যের প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, এ কারণেই ভারত বিশ্বাস করে সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ, সবার বিশ্বাস, সবার প্রয়াস মিলে সবাই একসঙ্গে সামনে এগিয়ে চলি। সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, ‘গণতন্ত্রই দিতে পারে’। আর যখন আমি দেওয়ার কথা বলছি তখন বৈষম্যের সুযোগ থাকে না। ভারত সরকার যে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, দেশের সব জনগণই তা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, মানুষের মূল্য, মানবতা আর মানবাধিকার না থাকলে কোনো দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। আপনি যখন ভারতকে গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন, তখন সেখানে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দুজনই একমত হয়েছি যে কৌশলগত প্রযুক্তির অংশীদারত্ব পরিপূর্ণ করতে আমাদের সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ এবং জলবায়ু প্রসঙ্গে মোদি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে পরিবেশ এবং জলবায়ুর গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তিনি বলেন, পরিবেশ আমাদের কাছে একটা বিশ্বাসের বস্তু। আমরা প্রকৃতির সঙ্গে বিরূপ আচরণে বিশ্বাস করি না। ভারত কেবল নিজের দেশের পরিবেশ রক্ষায়ই কাজ করছে না, বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায়ও ভারত কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা বিশ্বব্যাপী নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। পরিবেশ রক্ষায় প্যারিসে যে প্রতিশ্রæতি দেওয়া হয়েছিল জি২০ দেশের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ যে সেই প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি, অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে অংশীদারত্বকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুদেশের এ সম্পর্ককে তিনি অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি জোরদার, ঘনিষ্ঠ এবং গতিশীল বলে উল্লেখ করেন। বাইডেন জানান, ভারতের কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির এবার ওয়াশিংটন সফরের সময়ই এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে হোয়াইট হাউজের সবুজ লনে অসাধারণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় মোদিকে। ১৯টি গান স্যালুট দেওয়া হয়। আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন নরেন্দ্র মোদি।