নিউইয়র্ক ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিখোঁজ টাইটানের অনুসন্ধানে এবার যুক্ত হলো রোবট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের অনুসন্ধান অভিযানে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে ৩টি রোবটচালিত জলযানও। এই তিনটির মধ্যে দু’টি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান তৎপরতা চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ।

অপরটি অত্যাধুনি সোনার প্রযুক্তি সম্বলিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান।

গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল বা সংক্ষেপে ‘রোভ’। কানাডীয় কোস্টগার্ড বাহিনী জলযান দু’টিকে নিয়োগ করেছে টাইটানের অনুসন্ধান তৎপরতায়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী যৌথভাবে এই রোভ দু’টি পরিচালনা করছে।

এখন পর্যন্ত অবশ্য আশা জাগানোর মতো কোনো ফলাফল জানাতে পারেনি রোভ, তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী দু’টি রোভের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যে সর্বক্ষণ নজর রাখছে।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসগারে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় জাহাজটির ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রীর মধ্যে সাগরের হিমশীতল পানিতে ডুবে মারা যান দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতে গত রোববার কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর দ্বীপের উপকূল থেকে টাইটান নামের একটি ডুবোজাহাজে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট ৫ জন আরোহী।

এই আরোহীরা হলেন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯), টাইটান প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) এবং সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)।

এ অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেক অভিযাত্রীর ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

কিন্তু রোববার রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবমেরিন ও জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত সমস্ত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে টাইটান। তারপর থেকে তন্ন তন্ন করে এই ডুবোজাহাজটি খুঁজছে

আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের অনুসন্ধান অভিযানে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে ৩টি রোবটচালিত জলযানও। এই তিনটির মধ্যে দু’টি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান তৎপরতা চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ।

অপরটি অত্যাধুনি সোনার প্রযুক্তি সম্বলিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান।

গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল বা সংক্ষেপে ‘রোভ’। কানাডীয় কোস্টগার্ড বাহিনী জলযান দু’টিকে নিয়োগ করেছে টাইটানের অনুসন্ধান তৎপরতায়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী যৌথভাবে এই রোভ দু’টি পরিচালনা করছে।

এখন পর্যন্ত অবশ্য আশা জাগানোর মতো কোনো ফলাফল জানাতে পারেনি রোভ, তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী দু’টি রোভের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যে সর্বক্ষণ নজর রাখছে।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসগারে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় জাহাজটির ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রীর মধ্যে সাগরের হিমশীতল পানিতে ডুবে মারা যান দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতে গত রোববার কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর দ্বীপের উপকূল থেকে টাইটান নামের একটি ডুবোজাহাজে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট ৫ জন আরোহী।

এই আরোহীরা হলেন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯), টাইটান প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) এবং সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)।

এ অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেক অভিযাত্রীর ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

কিন্তু রোববার রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবমেরিন ও জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত সমস্ত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে টাইটান। তারপর থেকে তন্ন তন্ন করে এই ডুবোজাহাজটি খুঁজছে মার্কিন ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, সম্ভাব্য যে এলাকায় টাইটান নিখোঁজ হয়েছে, সেটি তার আশপাশের প্রায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত রোববার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চষে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনীর বিমান ও জাহাজগুলো। এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে , টাইটানের সন্ধান পেতে সাগরের যতখানি এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ।

সমুদ্রে পানির নিচে রেডিও কম্পন ও রাডার কাজ করে না। তবে ভূপৃষ্ঠের তুলনায় সমুদ্রে শব্দের গতি অনেক বেশি। অত্যাধুনিক যে সোনার প্রযুক্তি এই অনুসন্ধান তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত শব্দ থেকে আসা প্রতিধ্বনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে টাইটানের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যে গতকাল অনুসন্ধানস্থল থেকে আসা এক ধরণের শব্দ নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল— নিখোঁজ টাইটানের ইঞ্জিন চালু রয়েছে এবং সেখান থেকেই আসছে শব্দ। তবে শব্দটি ঠিক কোথা থেকে আসছে— তা এখনও জানা যায়নি।

পানির যত গভীরে যাওয়া যায়— ততই বাড়তে থাকে পানির চাপ। আটলান্টির যে এলাকায় টাইটানিক ডুবেছে— সেখানকার পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে চারশ’গুন বেশি। টানা দীর্ঘক্ষণ গভীর পানির নিচে থাকলে টাইটানের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।

তাছাড়া যে পরিমাণ অক্সিজেন নিয়ে রওনা হয়েছিল টাইটান, তাতে বড়জোর আর কয়েক ঘণ্টা চলবে। যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরোহীদের উদ্ধার করা না যায়— সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হবে তাদের। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন আরোহীরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী তাই টাইটানের আরোহীদের বাঁচাতে মরিয়া অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এএফপি প্রতিবেদককে জেমি ফ্রেডরিক বলেন, ‘আপনাকে খোলাখুলিভাবেই বলছি, ভবিষ্যতে কী হবে— তা আমরা এখনও জানিনা। তবে আমাদেরকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ’ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, সম্ভাব্য যে এলাকায় টাইটান নিখোঁজ হয়েছে, সেটি তার আশপাশের প্রায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত রোববার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চষে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনীর বিমান ও জাহাজগুলো। এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে , টাইটানের সন্ধান পেতে সাগরের যতখানি এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ।

সমুদ্রে পানির নিচে রেডিও কম্পন ও রাডার কাজ করে না। তবে ভূপৃষ্ঠের তুলনায় সমুদ্রে শব্দের গতি অনেক বেশি। অত্যাধুনিক যে সোনার প্রযুক্তি এই অনুসন্ধান তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত শব্দ থেকে আসা প্রতিধ্বনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে টাইটানের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যে গতকাল অনুসন্ধানস্থল থেকে আসা এক ধরণের শব্দ নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল— নিখোঁজ টাইটানের ইঞ্জিন চালু রয়েছে এবং সেখান থেকেই আসছে শব্দ। তবে শব্দটি ঠিক কোথা থেকে আসছে— তা এখনও জানা যায়নি।

পানির যত গভীরে যাওয়া যায়— ততই বাড়তে থাকে পানির চাপ। আটলান্টির যে এলাকায় টাইটানিক ডুবেছে— সেখানকার পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে চারশ’গুন বেশি। টানা দীর্ঘক্ষণ গভীর পানির নিচে থাকলে টাইটানের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।

তাছাড়া যে পরিমাণ অক্সিজেন নিয়ে রওনা হয়েছিল টাইটান, তাতে বড়জোর আর কয়েক ঘণ্টা চলবে। যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরোহীদের উদ্ধার করা না যায়— সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হবে তাদের। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন আরোহীরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী তাই টাইটানের আরোহীদের বাঁচাতে মরিয়া অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এএফপি প্রতিবেদককে জেমি ফ্রেডরিক বলেন, ‘আপনাকে খোলাখুলিভাবেই বলছি, ভবিষ্যতে কী হবে— তা আমরা এখনও জানিনা। তবে আমাদেরকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকতে হবে।’

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিখোঁজ টাইটানের অনুসন্ধানে এবার যুক্ত হলো রোবট

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের অনুসন্ধান অভিযানে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে ৩টি রোবটচালিত জলযানও। এই তিনটির মধ্যে দু’টি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান তৎপরতা চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ।

অপরটি অত্যাধুনি সোনার প্রযুক্তি সম্বলিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান।

গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল বা সংক্ষেপে ‘রোভ’। কানাডীয় কোস্টগার্ড বাহিনী জলযান দু’টিকে নিয়োগ করেছে টাইটানের অনুসন্ধান তৎপরতায়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী যৌথভাবে এই রোভ দু’টি পরিচালনা করছে।

এখন পর্যন্ত অবশ্য আশা জাগানোর মতো কোনো ফলাফল জানাতে পারেনি রোভ, তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী দু’টি রোভের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যে সর্বক্ষণ নজর রাখছে।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসগারে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় জাহাজটির ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রীর মধ্যে সাগরের হিমশীতল পানিতে ডুবে মারা যান দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতে গত রোববার কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর দ্বীপের উপকূল থেকে টাইটান নামের একটি ডুবোজাহাজে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট ৫ জন আরোহী।

এই আরোহীরা হলেন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯), টাইটান প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) এবং সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)।

এ অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেক অভিযাত্রীর ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

কিন্তু রোববার রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবমেরিন ও জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত সমস্ত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে টাইটান। তারপর থেকে তন্ন তন্ন করে এই ডুবোজাহাজটি খুঁজছে

আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের অনুসন্ধান অভিযানে জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে ৩টি রোবটচালিত জলযানও। এই তিনটির মধ্যে দু’টি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান তৎপরতা চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ।

অপরটি অত্যাধুনি সোনার প্রযুক্তি সম্বলিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান।

গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল বা সংক্ষেপে ‘রোভ’। কানাডীয় কোস্টগার্ড বাহিনী জলযান দু’টিকে নিয়োগ করেছে টাইটানের অনুসন্ধান তৎপরতায়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী যৌথভাবে এই রোভ দু’টি পরিচালনা করছে।

এখন পর্যন্ত অবশ্য আশা জাগানোর মতো কোনো ফলাফল জানাতে পারেনি রোভ, তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনী দু’টি রোভের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্যে সর্বক্ষণ নজর রাখছে।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউথ হ্যাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথ হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসগারে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় জাহাজটির ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রীর মধ্যে সাগরের হিমশীতল পানিতে ডুবে মারা যান দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।

আটলান্টিক সাগরের যে এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে। সাগরের গভীরে এই ধ্বংসাবশেষটি দেখতে গত রোববার কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর দ্বীপের উপকূল থেকে টাইটান নামের একটি ডুবোজাহাজে চেপে রওনা হন চালকসহ মোট ৫ জন আরোহী।

এই আরোহীরা হলেন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯), টাইটান প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওশনগেটের শীর্ষ নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১) এবং সাবমেরিনটির চালক ও ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পল হেনরি নারগিওলেট (৭৭)।

এ অভিযানে অংশ নেওয়া প্রত্যেক অভিযাত্রীর ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ ডলার।

কিন্তু রোববার রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবমেরিন ও জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত সমস্ত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে টাইটান। তারপর থেকে তন্ন তন্ন করে এই ডুবোজাহাজটি খুঁজছে মার্কিন ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, সম্ভাব্য যে এলাকায় টাইটান নিখোঁজ হয়েছে, সেটি তার আশপাশের প্রায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত রোববার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চষে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনীর বিমান ও জাহাজগুলো। এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে , টাইটানের সন্ধান পেতে সাগরের যতখানি এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ।

সমুদ্রে পানির নিচে রেডিও কম্পন ও রাডার কাজ করে না। তবে ভূপৃষ্ঠের তুলনায় সমুদ্রে শব্দের গতি অনেক বেশি। অত্যাধুনিক যে সোনার প্রযুক্তি এই অনুসন্ধান তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত শব্দ থেকে আসা প্রতিধ্বনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে টাইটানের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যে গতকাল অনুসন্ধানস্থল থেকে আসা এক ধরণের শব্দ নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল— নিখোঁজ টাইটানের ইঞ্জিন চালু রয়েছে এবং সেখান থেকেই আসছে শব্দ। তবে শব্দটি ঠিক কোথা থেকে আসছে— তা এখনও জানা যায়নি।

পানির যত গভীরে যাওয়া যায়— ততই বাড়তে থাকে পানির চাপ। আটলান্টির যে এলাকায় টাইটানিক ডুবেছে— সেখানকার পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে চারশ’গুন বেশি। টানা দীর্ঘক্ষণ গভীর পানির নিচে থাকলে টাইটানের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।

তাছাড়া যে পরিমাণ অক্সিজেন নিয়ে রওনা হয়েছিল টাইটান, তাতে বড়জোর আর কয়েক ঘণ্টা চলবে। যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরোহীদের উদ্ধার করা না যায়— সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হবে তাদের। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন আরোহীরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী তাই টাইটানের আরোহীদের বাঁচাতে মরিয়া অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এএফপি প্রতিবেদককে জেমি ফ্রেডরিক বলেন, ‘আপনাকে খোলাখুলিভাবেই বলছি, ভবিষ্যতে কী হবে— তা আমরা এখনও জানিনা। তবে আমাদেরকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ’ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, সম্ভাব্য যে এলাকায় টাইটান নিখোঁজ হয়েছে, সেটি তার আশপাশের প্রায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত রোববার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চষে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনীর বিমান ও জাহাজগুলো। এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে , টাইটানের সন্ধান পেতে সাগরের যতখানি এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ।

সমুদ্রে পানির নিচে রেডিও কম্পন ও রাডার কাজ করে না। তবে ভূপৃষ্ঠের তুলনায় সমুদ্রে শব্দের গতি অনেক বেশি। অত্যাধুনিক যে সোনার প্রযুক্তি এই অনুসন্ধান তৎপরতায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত শব্দ থেকে আসা প্রতিধ্বনি বিশ্লেষণের মাধ্যমে টাইটানের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর মধ্যে গতকাল অনুসন্ধানস্থল থেকে আসা এক ধরণের শব্দ নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল— নিখোঁজ টাইটানের ইঞ্জিন চালু রয়েছে এবং সেখান থেকেই আসছে শব্দ। তবে শব্দটি ঠিক কোথা থেকে আসছে— তা এখনও জানা যায়নি।

পানির যত গভীরে যাওয়া যায়— ততই বাড়তে থাকে পানির চাপ। আটলান্টির যে এলাকায় টাইটানিক ডুবেছে— সেখানকার পানির চাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে চারশ’গুন বেশি। টানা দীর্ঘক্ষণ গভীর পানির নিচে থাকলে টাইটানের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।

তাছাড়া যে পরিমাণ অক্সিজেন নিয়ে রওনা হয়েছিল টাইটান, তাতে বড়জোর আর কয়েক ঘণ্টা চলবে। যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরোহীদের উদ্ধার করা না যায়— সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হবে তাদের। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন আরোহীরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোস্টগার্ড বাহিনী তাই টাইটানের আরোহীদের বাঁচাতে মরিয়া অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এএফপি প্রতিবেদককে জেমি ফ্রেডরিক বলেন, ‘আপনাকে খোলাখুলিভাবেই বলছি, ভবিষ্যতে কী হবে— তা আমরা এখনও জানিনা। তবে আমাদেরকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকতে হবে।’

নাসরিন /হককথা