নিউইয়র্ক ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে ধনী হতে কত টাকা লাগে?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৬৬ বার পঠিত

ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে যুক্তরাষ্ট্রের এক ভারতীয় ট্রাকচালক জানিয়েছেন যে তারা মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। দেশটিতে গেলেই টাকা আর টাকা এমনটি বলে থাকেন অনেকে। যে দেশ এতটা ধনী এবং কাজ করলেই মেলে বিপুল অর্থ। সেই দেশে প্রকৃত ধনী বলা হয় কাদের। কত পরিমাণ অর্থ থাকলেই ধনীদের কাতারে ফেলা হয়। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ধনী হতে আপনার কমপক্ষে ২.২ মিলিয়ন ডলার (২২ লাখ ডলার) দরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

আরোও পড়ুন । উত্তর কোরিয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দক্ষিণের

মঙ্গলবার চার্লস শোয়াবের ২০২৩ মডার্ন ওয়েলথ সার্ভে প্রকাশিত হয়েছে। সেই অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ধনীদের চিহ্নিত করতে এই পরিমাণ অর্থের কথা ভলা হয়েছে। জরিপে আমেরিকানদের কাছে ধনী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গড় নেট পরিমাণ অনুমান করতে বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ উত্তরদাতার তথ্য মিলিয়ে এই পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে। তবে এর চেয়েও অনেক কম অর্থ থাকা ব্যক্তিরাও নিজেদের ধনী মনে করেন। এই জরিপে যুক্তরাষ্ট্র সম্পদ বলতে কী বোঝায় তা নির্ধারণে অসুবিধাগুলো প্রদর্শন করে। আবাসনের দাম আকাশচুম্বী এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে নিরাপদ বোধ করতে আগের চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন। বিশেষ করে শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে।

আমেরিকানদের পরিবারের আকার, বাড়ির মালিকানা এবং ঋণের মতো ব্যক্তিগত পরিস্থিতি আর্থিক অবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। চার্লস শোয়াবের আর্থিক পরিকল্পনা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব উইলিয়ামস বলেন, ‘লোকেরা নিজেদের বনাম অন্যদের জন্য সম্পদকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে। যখন আপনি কাউকে ডলারের পরিমাণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন তারা এটিকে তাদের বাকি জীবন এবং আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে রাখে না।’ জরিপের উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক বলেছেন যে, বন্ধুদের জীবনযাত্রার সামর্থের সঙ্গে তুলনা করেই তারা ধনী কি না সেটি অনুধাবন করেন। বহুবছর ধরে এমনটি চলে আসছে। তবে অনেক আমেরিকান ধনী হওয়ার জন্য ব্যাপক ব্যাংক ব্যালান্সের দরকার নেই বলে মনে করেন। প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক অনেক ধন সম্পদের চেয়ে মূল্যবান মনে করেন তারা।

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ধনী হতে কত টাকা লাগে?

প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে যুক্তরাষ্ট্রের এক ভারতীয় ট্রাকচালক জানিয়েছেন যে তারা মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। দেশটিতে গেলেই টাকা আর টাকা এমনটি বলে থাকেন অনেকে। যে দেশ এতটা ধনী এবং কাজ করলেই মেলে বিপুল অর্থ। সেই দেশে প্রকৃত ধনী বলা হয় কাদের। কত পরিমাণ অর্থ থাকলেই ধনীদের কাতারে ফেলা হয়। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ধনী হতে আপনার কমপক্ষে ২.২ মিলিয়ন ডলার (২২ লাখ ডলার) দরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৪ কোটি টাকা।

আরোও পড়ুন । উত্তর কোরিয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দক্ষিণের

মঙ্গলবার চার্লস শোয়াবের ২০২৩ মডার্ন ওয়েলথ সার্ভে প্রকাশিত হয়েছে। সেই অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ধনীদের চিহ্নিত করতে এই পরিমাণ অর্থের কথা ভলা হয়েছে। জরিপে আমেরিকানদের কাছে ধনী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গড় নেট পরিমাণ অনুমান করতে বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ উত্তরদাতার তথ্য মিলিয়ে এই পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে। তবে এর চেয়েও অনেক কম অর্থ থাকা ব্যক্তিরাও নিজেদের ধনী মনে করেন। এই জরিপে যুক্তরাষ্ট্র সম্পদ বলতে কী বোঝায় তা নির্ধারণে অসুবিধাগুলো প্রদর্শন করে। আবাসনের দাম আকাশচুম্বী এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে নিরাপদ বোধ করতে আগের চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন। বিশেষ করে শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে।

আমেরিকানদের পরিবারের আকার, বাড়ির মালিকানা এবং ঋণের মতো ব্যক্তিগত পরিস্থিতি আর্থিক অবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। চার্লস শোয়াবের আর্থিক পরিকল্পনা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব উইলিয়ামস বলেন, ‘লোকেরা নিজেদের বনাম অন্যদের জন্য সম্পদকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে। যখন আপনি কাউকে ডলারের পরিমাণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন তারা এটিকে তাদের বাকি জীবন এবং আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে রাখে না।’ জরিপের উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক বলেছেন যে, বন্ধুদের জীবনযাত্রার সামর্থের সঙ্গে তুলনা করেই তারা ধনী কি না সেটি অনুধাবন করেন। বহুবছর ধরে এমনটি চলে আসছে। তবে অনেক আমেরিকান ধনী হওয়ার জন্য ব্যাপক ব্যাংক ব্যালান্সের দরকার নেই বলে মনে করেন। প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক অনেক ধন সম্পদের চেয়ে মূল্যবান মনে করেন তারা।

বেলী/হককথা